যুব উৎসবে অর্জিত স্মারক খুবি উপাচার্যকে হস্তান্তর
ভারতের লখনৌতে অনুষ্ঠিত নবম দক্ষিণ এশীয় বিশ্ববিদ্যালয় যুব উৎসবে অংশগ্রহণকারী খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন শিক্ষার্থী বিভিন্ন ইভেন্টে কৃতিত্ব অর্জন করেন। সোমবার বিকেলে তারা উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামান এর হাতে সাফল্যের স্মারক হিসেবে প্রদত্ত ক্রেস্ট তুলে দেন।
উপাচার্য তাদের বিশ্ববিদ্যালয় ও তার পক্ষ থেকে আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, তোমরা শুধু এ বিশ্ববিদ্যালয়ের নয় বরং বিদেশের মাটিতে দেশের মুখ উজ্জ্বল করেছ। শিক্ষার্থীদের সাফল্যই বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম ও ভাবমূর্তি অর্জনে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রাখে।
তিনি আশা প্রকাশ করেন ভবিষ্যতেও খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জাতীয়, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে অব্যাহতভাবে নানা সাফল্য বয়ে আনবে। এ সময় ছাত্র বিষয়ক পরিচালক প্রফেসর ড. অনির্বাণ মোস্তফা ও সহকারী ছাত্র বিষয়ক পরিচালকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, গত ২৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৯ ফেব্রুয়ারি ভারতের লখনৌতে অবস্থিত বাবাসাহেব ভিমরাও আম্বেদকার বিশ্ববিদ্যালয়ে এ উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। আফগানিস্তান, বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, মালদ্বীপ, মরিশাস, মায়ানমার, নেপাল, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চার শতাধিক শিক্ষার্থী এই উৎসবে যোগ দেয়। এর মধ্যে বাংলাদেশের ৫টি সরকারি এবং ৩টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৮ জন শিক্ষার্থী এ উৎসবে অংশগ্রহণ করেন। এ উৎসবে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যোগদানকারী ৩ শিক্ষার্থী ছিলেন কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ডিসিপ্লিনের ৩য় বর্ষ ২য় সেমিস্টারের ছাত্র মো. মোস্তাফিজুর রহমান, ড্রইং অ্যান্ড পেইন্টিং ডিসিপ্লিনের ৩য় বর্ষ ২য় সেমিস্টারের ছাত্রী শাপলা সিংহ এবং স্থাপত্য ডিসিপ্লিনের ৩য় বর্ষ ২য় সেমিস্টারের ছাত্রী অনিন্দিতা উষসী। সেখানে তারা বিভিন্ন শাখায় তাদের নৈপূণ্য প্রদর্শন করেন।
উৎসবে রেজিস্ট্রেশনের ভিত্তিতে খুবির ড্রইং অ্যান্ড পেইন্টিং ডিসিপ্লিনের ছাত্রী শাপলা সিংহ বাংলাদেশ প্রতিনিধি শিক্ষার্থীদের মধ্যে এককভাবে সর্বাধিক ইভেন্ট হিসেবে ক্লে মডেলিং,স্পট ফটোগ্রাফি, পোস্টার মেকিং, ফোক ড্যান্সে অংশগ্রহণ করেন। এছাড়া কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ডিসিপ্লিনের ছাত্র মো. মোস্তাফিজুর রহমান উপস্থিত বক্তৃতা, অভিনয় এবং স্থাপত্য ডিসিপ্লিনের ছাত্রী অনিন্দিতা উষসী ফোক ড্যান্স, ক্লাসিক্যাল ড্যান্স ও দলীয় সঙ্গীতে অংশগ্রহণ করেন। বাবাসাহেব ভিমরাও আম্বেদকার বিশ্বিবিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর আর সি সবতি ও অন্যান্য প্রতিনিধি তাদের দক্ষতার ভূয়সী প্রসংশা করেন এবং উপস্থিত দর্শকদের কাছেও তা প্রশংসিত হয়।
আলমগীর হান্নান/এসএস/এবিএস