হানিফ
শেখ হাসিনা আছেন বলেই বাংলাদেশ বিশ্বে একটি আত্মমর্যাদাশীল দেশ
আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও কুষ্টিয়া-৩ আসনের সংসদ সদস্য মাহবুবউল আলম হানিফ বলেছেন, শেখ হাসিনা আছেন বলেই বাংলাদেশ বিশ্বের কাছে একটি আত্মমর্যাদাশীল দেশ। বাংলাদেশ এখন বিশ্বের কাছে উন্নয়নের রোল মডেল। এ উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে শেখ হাসিনার বিকল্প নেই, কোনো বিকল্প নেই।
বুধবার (৪ অক্টোবর) দুপুর ১২টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বঙ্গীয় সাহিত্য সংস্কৃতি সংসদের উদ্যোগে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
হানিফ বলেন, ‘শেখ হাসিনা আমাদের মুকুটমণি। আজ তিনি বাংলাদেশকে একটি মর্যাদার জায়গায় পৌঁছে দিয়েছেন। বিশ্বে কোনো রাজনৈতিক সামিট বা কনফারেন্স যদি হয়, সেখানে বিশ্বের ১০টি দেশকে যদি আমন্ত্রণ জানানো হয় তার মধ্যে বাংলাদেশ থাকে, শেখ হাসিনাকে আমন্ত্রণ করা হয়। শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই বাংলাদেশ এ জায়গা করে নিয়েছে।’

তিনি বলেন, আমাদের চেয়ে অনেক শক্তিশালী দেশ আছে। কিন্তু তাদের শেখ হাসিনার মতো নেতৃত্ব না থাকার কারণে তারা সেই মর্যাদার আসনে যেতে পারেনি।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হানিফ বলেন, ‘এ সরকারের আমলে সব কাজগুলোই যে ভালো হচ্ছে এমনটা বলার সুযোগ নেই। হয়তো আমাদের কিছু ভুল থাকতে পারে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটা ইনটেনশন আছে বাংলাদেশকে একটি আত্মমর্যাদাশীল উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করার। তিনি সেই লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছেন। সে কাজগুলো বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে যারা এ মিশনের সঙ্গে যুক্ত আছেন, তাদের মধ্যে কিছু লোকের কর্মকাণ্ডের কারণে হয়তো কিছু নেতিবাচক নিউজ চলে আসতে পারে। তবে এজন্য কিন্তু শেখ হাসিনার অঙ্গীকার বা লক্ষ্য নিয়ে প্রশ্ন করার কোনো সুযোগ নেই।’

এসময় অনুষ্ঠানে বঙ্গীয় সাহিত্য সংস্কৃতি সংসদ ইবি শাখার সভাপতি অধ্যাপক ড. মামুনুর রহমানের সভাপতিত্বে প্রধান আলোচক ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম।
অনুষ্ঠানে ফোকলোর স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমানের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মিয়া মো. রাশেদুজ্জামান। এছাড়া অন্যান্য অতিথিদের মধ্যে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সভাপতি পর্ষদের সদস্য অধ্যাপক ড. শাহিনুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক কবি কামরুল ইসলাম বক্তৃতা করেন।
রুমি নোমান/এসআর/এমএস