পাবিপ্রবি

সেকশন কর্মকর্তাকে ‘স্যার’ না বলায় ছাত্রীকে হেনস্তার অভিযোগ

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি পাবনা
প্রকাশিত: ০৯:২১ এএম, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩

‘স্যার’ সম্বোধন না করায় এক ছাত্রীকে হেনস্তার অভিযোগ উঠেছে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পাবিপ্রবি) সেকশন কর্মকর্তা শেখ মাহমুদ কাননের বিরুদ্ধে। ওই ছাত্রীর মুখ থেকে ‘স্যার’ শব্দ শোনার পর তার কাজ করে দেন। একই সঙ্গে তিনি নির্দেশনা দেন তাকে স্যার না বললে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো শিক্ষকদেরও স্যার বলা যাবে না।

এ ঘটনার প্রতিবাদে বুধবার (৬ ডিসেম্বর) দুপুরে প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী ও তার সহপাঠীরা। এর বিচার চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের কাছে একটি অভিযোগপত্রও জমা দেন তারা।

গেলো সোমবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ে রেজিস্টার অফিসের একাডেমিক শাখায় এ ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ পত্রে উল্লেখ করা হয়। অভিযুক্ত শেখ মাহমুদ কানন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অফিসের একাডেমিক শাখার সেকশন অফিসার (গ্রেড-২)। আর ভুক্তভোগী ছাত্রী রসায়ন বিভাগের তৃতীয় বর্ষের অধ্যয়নরত।

ভুক্তভোগী ছাত্রী জানান, একাডেমিক রেজিস্ট্রেশন কার্ডের সংশোধনের জন্য শেখ মাহমুদ কাননের অফিসে যান তিনি। এ সময় ভাই বলায় রেগে যান শেখ মাহমুদ কানন। তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ব্যঙ্গ করে ভাই বলতে বলেন। তর্ক-বিতর্কের এক পর্যায়ে তাকে স্যার বলতে বাধ্য করেন। তাকে স্যার না বললে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো শিক্ষকদেরও স্যার বলা যাবে না বলেও জানান তিনি। এতে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন ওই ছাত্রী।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত ওই কর্মকর্তা বলেন, ওই দিন এমন কোনো ঘটনাই ঘটেনি। বিষয়টা তিনি (ছাত্রী) হয়তো অন্যভাবে বুঝেছেন। আমি হয়তো তাকে বুঝাতে ব্যর্থ হয়েছি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা ড. মো. নাজমুল হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, বিষয়টি আমি জেনেছি। শিক্ষার্থীদের কাছে থেকে অভিযোগপত্র পেয়েছি। উপাচার্যের উপস্থিতিতে শনিবার সুষ্ঠু তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আমিন ইসলাম জুয়েল/এসজে/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।