নোবিপ্রবি
ভিসিসহ কর্মকর্তাদের পদত্যাগে ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম
নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) উপাচার্য (ভিসি), সহ–উপাচার্য, ট্রেজারার, রেজিস্ট্রার, প্রক্টরসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকা কর্মকর্তাদেরকে পদত্যাগে ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছে শিক্ষার্থীরা। এছাড়া ছাত্র পরামর্শের পরিচালক, আইকিউএসির পরিচালক, আইকিউএসির অতিরিক্ত পরিচালক, হল প্রভোস্টদেরও পদত্যাগ করতে বলা হয়েছে।
বুধবার (৭ আগস্ট) রাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সমন্বয়কদের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এছাড়াও আরও কয়েকটি দাবি তুলে ধরা হয় বিজ্ঞপ্তিতে।
দাবিগুলো হলো
১. ক্যাম্পাসে সব ধরনের সন্ত্রাস ও লেজুড়বৃত্তির ছাত্র ও শিক্ষক রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে হবে।
২. উপাচার্য, সহ–উপাচার্য, ট্রেজারার, রেজিস্ট্রার, প্রক্টর, ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা বিভাগের পরিচালক, আইকিউএসসির পরিচালক, এবং অতিরিক্ত পরিচালকসহ সব প্রভোস্টকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে প্রকাশ্যে ক্ষমা চেয়ে পদত্যাগ করতে হবে।
৩. যেসব শিক্ষার্থী বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের হুমকি দিয়েছে কিংবা আন্দোলনের বিরুদ্ধে সমর্থন দিয়েছে তাদের আবাসিক হলের আসন আজীবনের জন্য বাতিল করতে হবে।
৪. বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা এবং সাধারণ শিক্ষার্থীদের পরামর্শের ভিত্তিতে হলের নাম পরিবর্তন করতে হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ে দ্বিতীয় মেয়াদে উপচার্য হিসেবে রয়েছেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত মো. দিদার-উল-আলম, সহ-উপাচার্য আবদুল বাকি, কোষাধ্যক্ষ ড. নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর, রেজিস্ট্রার মো. জসিম উদ্দিন। এছাড়া অন্যন্য সব কর্মকর্তা আওয়ামী লীগ হিসেবেই নিয়োগপ্রাপ্ত।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নোবিপ্রবি শাখার অন্যতম সমন্বয়ক জাহিদুল ইসলাম আলটিমেটামের বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এসব ব্যক্তি শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধাচরণ করেছেন। নিহত শিক্ষার্থীদের বিষয়েও তাদের কোনো সহানুভূতি ছিল না, এছাড়া উল্লিখিত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ে নানা অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনার অভিযোগ রয়েছে। তাই বিশ্ববিদ্যালয়ের সুস্থ পরিবেশ নিশ্চিতের লক্ষ্যে শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে আমরা এ দাবি জানিয়েছি।
এদিকে বক্তব্য জানতে ফোন দিলে উপাচার্য মো. দিদার-উল-আলম, সহ-উপাচার্য আবদুল বাকি, কোষাধ্যক্ষ ড. নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর, রেজিস্ট্রার মো. জসিম উদ্দিনসহ কোনো কর্মকর্তা ফোন ধরেননি। তবে বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) দুপুর পর্যন্ত কারো পদত্যাগের খবর পাওয়া যায়নি।
ইকবাল হোসেন মজনু/এএইচ/জিকেএস