ফের কেরু কোম্পানি চত্বরে বোমাসদৃশ বস্তু, আতঙ্কিত কর্মচারীরা

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি চুয়াডাঙ্গা
প্রকাশিত: ০৩:২৪ পিএম, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

দুদিনের ব্যবধানে ফের চুয়াডাঙ্গার দর্শনায় কেরু অ্যান্ড কোম্পানি লিমিটেডের (চিনিকল) চত্বরে ঝোপের মধ্যে একটি আতঙ্কবস্তু পাওয়া গেছে। যা নিয়ে দেখা দিয়েছে আতঙ্ক।

বোমা হতে পারে এমন সন্দেহে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে যান। পরে সেনাবাহিনী চলে গেলেও পুলিশ ও কেরুর নিরাপত্তাকর্মীরা র্যাবের বোম ডিসপোজাল টিম না আসা পর্যন্ত অত্র এলাকার নিরাপত্তা নিশ্চিতে অবস্থান করছেন।

এদিকে এ ঘটনার ফলে চিনিকলটির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। এর আগের ঘটনার মামলার তদন্ত এখনো চলমান। ঘটনার সঙ্গে জড়িত কাউকে পুলিশ শনাক্ত করতে পারেনি।

জানা যায়, শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে কেরু অ্যান্ড কোম্পানি ক্লাবের সামনে ঝোপের মধ্যে কালো টেপ দিয়ে মোড়ানো একটি বোমাসদৃশ বস্তু দেখতে পান স্থানীয় স্বপন নামের এক ব্যক্তি। তিনি তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি কেরুর নিরাপত্তা কর্মীদের জানান।

চুয়াডাঙ্গা , বোমা, business, factory ফের কেরু কোম্পানি চত্বরে বোমাসদৃশ বস্তু, আতঙ্কিত কর্মচারীরা

খবর পেয়ে সহকারী পুলিশ সুপার (দামুড়হুদা সার্কেল) জাকিয়া সুলতানা, দর্শনা থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহম্মদ শহীদ তিতুমীর এবং সেনাবাহিনীর একটি দল ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়।

এ বিষয়ে দর্শনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শহীদ তিতুমীর বলেন, বস্তুটি কী হতে পারে তা এখনই বলা সম্ভব নয়। তবে র্যাবের বোম ডিসপোজাল টিমকে জানানো হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, বোম ডিসপোজাল ইউনিট এলে, বস্তুটি কি তা স্পষ্ট হবে। পরবর্তীতে বিস্তারিত জানানো যাবে। তবে গত বৃহস্পতিবার একই এলাকা থেকে লাল টেপ মোড়ানো বোমাসদৃশ আরেকটি বস্তু র্যাবের বোম ডিসপোজাল ইউনিট উদ্ধার করে। নিষ্ক্রিয় করার সময় জানা যায় সেটি ককটেল সাদৃশ্য বস্তু ছিল। আজকেরটিও ককটেল সাদৃশ্য বস্তু হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এ বিষয়ে কেরু অ্যান্ড কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপক (প্রশাসন) আল ফারুক ওমর শরীফ গালিব বলেন, কালো টেপ দিয়ে মোড়ানো বোমাসদৃশ বস্তু মিলের অফিসার কোয়াটারের সামনে রয়েছে। আমরা পুলিশকে জানিয়েছি।

হুসাইন মালিক/জেডএইচ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।