পরকীয়া সম্পর্ক জেনে যাওয়ায় কলেজছাত্রকে কুপিয়ে হত্যা

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি চুয়াডাঙ্গা
প্রকাশিত: ১১:৫৭ এএম, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা বদনপুর গ্রামের কলেজছাত্র হাসান রঞ্জু (২৩) হত্যার রহস্য উন্মোচন করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পরকীয়া সম্পর্ক জেনে যাওয়া ও বাধা দেওয়ায় কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে আদালতে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন আসামিরা।

মঙ্গলবার (১৮ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার খন্দকার গোলাম মওলা এ তথ্য জানান।

গ্রেফতাররা হলেন দামুড়হুদা বদনপুর গ্রামের মৃত নুর ইসলামের ছেলে হুমায়ূন কবির (৪০) ও একই গ্রামের মিজানুর রহমানের স্ত্রী শাহানাজ সুলতানা (২৭)।

চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার খন্দকার গোলাম মওলা এক বিজ্ঞপ্তিতে জানান, ১৬ ফেব্রুয়ারি সকালে সেচ দেওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হন রঞ্জু। দুপুর গড়িয়ে গেলেও বাড়ি না ফেরায় তার বাবা বিকেলে খাবার নিয়ে ভুট্টা ক্ষেতে যান। ছেলেকে না পেয়ে বাড়ি ফিরে যান তিনি। সন্ধ্যা নামার পরও রঞ্জুর খোঁজ না মেলায় পরিবারের সদস্য ও স্থানীয়রা তল্লাশি শুরু করেন। একপর্যায়ে ভুট্টা ক্ষেতে রক্তাক্ত অবস্থায় রঞ্জুর লাশ খুঁজে পান।

পরদিন নিহত রঞ্জুর বাবা অজ্ঞাতনামা আসামি করে দামুড়হুদা মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। পুলিশের একাধিক টিম হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্ঘাটনে মাঠে নামে এবং ওইদিন রাত সাড়ে ১২টার দিকে সন্দেহভাজন হুমায়ুন কবিরকে আটক করে।

জিজ্ঞাসাবাদে হুমায়ুন কবির হত্যার দায় স্বীকার করেন। তিনি জানান, একই গ্রামের মিজানুর রহমানের স্ত্রী শাহানাজ সুলতানার সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। রঞ্জু শাহানাজের মেয়েকে প্রাইভেট পড়াতে যেতেন এবং তাদের সম্পর্কের কথা জেনে স্থানীয়দের জানান। বিষয়টি জানার পর শাহানাজ রঞ্জুকে হত্যার প্রস্তাব দেন এবং হুমায়ুন তা মেনে নেন।

রোববার সকালে ভুট্টা ক্ষেতে সেচ দেওয়ার সময় পরিকল্পনা মতো রঞ্জুর মাথায় কোদাল দিয়ে আঘাত করেন এবং নিশ্চিত মৃত্যুর জন্য আরও দুটি কোপ দেন। হত্যার পর কোদাল ক্যানেলে ফেলে বাড়ি ফিরে যান হুমায়ুন।

হুসাইন মালিক/জেডএইচ/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।