সিরাজগঞ্জে ব্রিজের কাজ ফেলে উধাও ঠিকাদার

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি সিরাজগঞ্জ
প্রকাশিত: ১০:১৪ এএম, ২১ মার্চ ২০২৫

সিরাজগঞ্জের তাড়াশে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) নির্মাণাধীন একটি ব্রিজের কাজ বন্ধ রেখে উধাও হয়ে গেছে ঠিকাদার। এতে ওই রাস্তা দিয়ে চলাচলকারী মানুষের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

উপজেলা এলজিইডি বিভাগ জানায়, ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে কাটাগাড়ি জিসি রাস্তায় ৩৩২ মিটার চেইনেজ ও ২০ মিটার দীর্ঘ আরসিসি গার্ডার ব্রিজের নির্মাণ কাজ পান নওগাঁর ইথেন এন্টারপ্রাইজ প্রাইভেট লিমিটেড ও ডন এন্টারপ্রাইজ (জেভি) নামে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। এরপর ওই জেলার বাগাতিপাড়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান অহিদুল ইসলাম গকুল কাজটি ক্রয় করেন। পরবর্তীতে তিনিও কাজটি ওয়াহিদুল ইসলাম নামের এক ঠিকাদারের কাছে বিক্রি করে দেন। ব্রিজটি নির্মাণের ব্যয় ধরা হয়েছিল দুই কোটি ৫৫ লাখ ৬১ হাজার টাকা।

স্থানীয়রা বলছেন, কাজের মেয়াদ শেষ হলেও শুধু পাইলিংয়ের কাজ সম্পন্ন করে পালিয়েছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। এতে ব্রিজ নির্মাণ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

স্থানীয় মালশিন গ্রামের আব্দুল আজিজ বলেন, ওই রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন অসংখ্য যানবাহন চলাচল করে। বর্তমানে সরু রাস্তা দিয়ে চলাচল করা কষ্ট ও ঝুঁকিপূর্ণ। রাস্তাটির দুই পাশে উঁচু আবার মাঝখানে নিচু। ফলে প্রতিদিনই ঘটছে দুর্ঘটনা।

ভারী বৃষ্টি হলে বোরো ধানের জমি পানিতে তলিয়ে ফসল নষ্টের আশংকা প্রকাশ করে উত্তর ওয়াপদা বাধের বেল্লাল খান নামের এক কৃষক বলেন, পানি প্রবাহের একমাত্র ব্রিজের নির্মাণ কাজ বন্ধ। ব্রিজের উজানে বিস্তৃত ফসলের মাঠ। বৃষ্টি হলে এসব ফসলের পানি বের হওয়ার অন্য কোনো পথ নেই। ফলে ফসল প্লাবিত হয়ে নষ্ট হয়ে যাবে।

দুর্ভোগের কথা জানিয়ে স্থানীয় মজিবর রহমান বলেন, ব্রিজের ডাইভারশন রাস্তায় চলাচল করতে গিয়ে দুদিন গাড়ি উল্টে পড়ে গিয়েছিলাম। পরে রাস্তার দুইপাশে কিছু বাঁশ পুঁতে দিয়েছি।

এদিকে দ্রুত ব্রিজ নির্মাণ কাজ শেষ করার দাবি জানিয়ে তাড়াশ মহিলা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ জাফর ইকবাল জাগো নিউজকে বলেন, ওই পথ দিয়ে কয়েকটি স্কুল-কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা যাতায়াত করেন। কিন্তু ব্রিজটি সম্পন্ন না হওয়ায় চরম দুর্ভোগে পড়তে হয়।

ঠিকাদার ওয়াহিদুল ইসলাম বলেন, কাজটির বিল পেতে সমস্যা হচ্ছে। তাই কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে।

উপজেলা প্রকৌশলী ফজলুল হক জাগো নিউজকে বলেন, দ্রুত কাজ সম্পন্ন করার জন্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে পরপর দুটি চিঠি দেওয়া হয়েছে। এতেও তারা কাজ শেষ না করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এম এ মালেক/জেডএইচ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।