ঈদযাত্রা: ফিটনেসবিহীন বাস মেরামতে ব্যস্ত কারিগররা

মো. আতিকুর রহমান মো. আতিকুর রহমান ঝালকাঠি
প্রকাশিত: ১১:৩৩ এএম, ২৩ মার্চ ২০২৫

আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে চাপ বাড়বে যাত্রীদের। প্রতিবছরই ঈদে নাড়ির টানে বাড়িতে ফেরেন দেশের বিভিন্ন স্থানে কর্মরতরা। যাত্রী বহনে গাড়ির চাপ সামলাতে ঝালকাঠিতে পুরোনো ও পরিত্যক্ত গাড়িগুলো মেরামত করে চলাচলের উপযোগী করা হচ্ছে। তবে ঈদে ফিটনেসবিহীন গাড়িতে যাত্রী বহন করলে জেলা প্রশাসন থেকে কঠোর ব্যবস্থার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।

ঈদুল ফিতরে দেশের দক্ষিণাঞ্চলে যাত্রীর চাপ বাড়বে, বরিশাল বিভাগীয় শহর থেকে দেশের পশ্চিমাঞ্চলের সাতক্ষীরা-বেনাপোল যাতায়াতের একমাত্র সড়ক পথ ঝালকাঠি হয়ে। ঝালকাঠি আন্তঃজেলা বাস ও মিনিবাস মালিক সমিতির বেশ কয়েকটি আধুনিক গাড়ি থাকলেও পুরাতন গাড়িগুলোও রয়েছে। তার মধ্যে বেশি লক্কড়-ঝক্কড় গাড়িগুলো মেরামত করা হচ্ছে।

বরিশাল-খুলনা আঞ্চলিক মহাসড়কের ঝালকাঠির ষাটপাকিয়া মোড়ে দেখা গেছে, ঈদকে সামনে রেখে লক্কড়-ঝক্কড় পুরোনো বাসগুলো নতুন করে সাজানোর কাজ চলছে। কেউ রং করছেন, কেউ মেরামত করছেন। এ যেন পুরোনোকে নতুন করে গড়ার মহোৎসব। আগামী ২৬ রমজানের মধ্যে এ কাজ শেষ করার তাগিদে শ্রমিকরা ব্যস্ত সময় পার করছেন।

ঈদযাত্রা: ফিটনেসবিহীন বাস মেরামতে ব্যস্ত কারিগররা

আরও পড়ুন-

এ বছর ঈদে দেশের দক্ষিণাঞ্চলে নদীপথের তুলনায় সড়কপথে যাত্রীদের ভিড় বেশি থাকার সম্ভাবনায় বাস মালিকরা পুরোনো বাসগুলো মেরামত করে সড়কে নামানোর চেষ্টা করছেন। তবে এই পদক্ষেপ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে জেলা প্রশাসন।

ঝালকাঠি আন্তঃজেলা বাস শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক রনি জানান, পদ্মাসেতু চালু হওয়ার পর ঢাকা থেকে বরিশাল-ঝালকাঠি হয়ে রাজাপুর ও ভান্ডারিয়া এখন মাত্র চার ও সাড়ে চার ঘণ্টার পথ। অনেকের আবার বরিশালের গাড়িতে উঠে জেলার প্রত্যন্ত এলাকায় যেতে পথিমধ্যে একাধিক বাস পরিবর্তন করতে হয়। এ কারণে সড়কে যাত্রীচাপ বেড়ে যায়। ঈদে এই চাপ কয়েকগুণ বাড়ে। ফলে সড়কে অধিকাংশ পুরোনো, ফিটনেসবিহীন বাস চলাচল করে। প্রশাসনকে অবহিত করার পর তারাও কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।

এছাড়া সড়কে থ্রি হুইলার চলাচল এবং রাতে ডাকাতির কারণে যাত্রী নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন শ্রমিক ইউনিয়নের এ নেতা।

ঈদযাত্রা: ফিটনেসবিহীন বাস মেরামতে ব্যস্ত কারিগররা

পরিবহন ব্যবসায়ীরা জানান, ঈদ ঘিরে ঝালকাঠি জেলার মহাসড়ক হয়ে ৫ থেকে ৬ লাখ মানুষ যাতায়াত করেন। নির্বিঘ্নে যাতায়াতের জন্য সড়কে চেকপোস্ট বসানো এবং টহল কার্যক্রম জোরদার করাসহ প্রশাসনের কঠোর পদক্ষেপ দাবি করেছেন তারা।

নিরাপত্তার বিষয়ে ঝালকাঠি পুলিশ সুপার উজ্জ্বল কুমার রায় জানান, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিরাপত্তার জন্য তৎপর রয়েছে।

এফএ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।