ফরিদপুরে সেই বাসের ফিটনেস সনদ মেয়াদোত্তীর্ণ, তদন্তে কমিটি

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি ফরিদপুর
প্রকাশিত: ০৮:৩৭ পিএম, ০৮ এপ্রিল ২০২৫
বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে গেলে সাতজন প্রাণ হারান। আহত হয়েছেন অন্তত ৩৫ জন

ফরিদপুর সদরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাস খাদে পড়ে সাতজন নিহতের ঘটনা তদন্তে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করেছে জেলা প্রশাসন। বাসটির ফিটনেস সনদ ও ট্যাক্স-টোকেন মেয়াদোত্তীর্ণ বলে জানা গেছে।

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) ফরিদপুরের কার্যালয় সূত্র জানায়, দুর্ঘটনাকবলিত ফরিদপুরগামী হাই ডেক্স (ফরিদপুর-জ ১১-০০৬৬) ফারাবী পরিবহনের বাসটির মালিক ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের শ্রমবিষয়ক সম্পাদক ফায়জুর রহমান। তিনি ভাঙ্গা উপজেলা পৌর সদরের কোর্টপাড় এলাকার বাসিন্দা। বাসটির ফিটনেস সনদ ও ট্যাক্স টোকেনের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। দুর্ঘটনার পর বাসচালক পালিয়ে যান। তবে তার নাম-পরিচয় জানা যায়নি।

এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে বাসটির মালিক ও ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের শ্রমবিষয়ক সম্পাদক ফায়জুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তার মোবাইল নম্বরও বন্ধ পাওয়া যায়।

ফরিদপুরে সেই বাসের ফিটনেস সনদ মেয়াদোত্তীর্ণ, তদন্তে কমিটি

বিআরটিএ ফরিদপুর কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক নাসির উদ্দিন জানান, দুর্ঘটনাকবলিত বাসটির ফিটনেস সনদের মেয়াদ গত ৫ মার্চ শেষ হয়েছে। এছাড়া ২০২৪ সালের ২৬ জুন বাসটির ট্যাক্স টোকেনের মেয়াদও শেষ হয়েছে। ঘটনার পর বাসচালক পালিয়ে যান। তাকে শনাক্তের চেষ্টা চলছে।

এ বিষয়ে ফরিদপুর জেলা প্রশাসক (ডিসি) কামরুল হাসান মোল্লা বলেন, দুর্ঘটনা তদন্তে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মিন্টু বিশ্বাসকে। কমিটিকে আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। ওই প্রতিবেদন ও সুপারিশ অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এর আগে মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) বেলা সোয়া ১১টার দিকে ফরিদপুর-বরিশাল মহাসড়কের সদর উপজেলার বাখুন্ডা এলাকায় বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে মোট সাতজন নিহত হন। এদের মধ্যে তিন নারীও রয়েছেন। আহত হন অন্তত ৩৫ জন। এদের মধ্যে ১২ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

এন কে বি নয়ন/এসআর/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।