বৈশাখে মলিন ইলিশ বেচাকেনা

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি চুয়াডাঙ্গা
প্রকাশিত: ১০:১৩ এএম, ১৪ এপ্রিল ২০২৫

বাংলা নববর্ষ শুধুই একটি তারিখ নয়, এটি বাঙালির আবেগ, সংস্কৃতি ও আত্মপরিচয়ের প্রতীক। দিনটি ঘিরে নানা আয়োজন থাকলেও এক জায়গায় সবার ভাবনা মিলে যায়, পান্তা-ইলিশ। প্রতি বছর এই দিনকে কেন্দ্র করে ইলিশের চাহিদা থাকে তুঙ্গে। তবে এবার চুয়াডাঙ্গা বড় বাজারে দেখা গেছে ভিন্ন চিত্র।

বৈশাখের আগের দিনেও ক্রেতাদের মধ্যে ইলিশ কেনার আগ্রহ তেমন দেখা যায়নি। বাজারে হাতে গোনা কয়েকজন ব্যবসায়ী ইলিশ সাজিয়ে রাখলেও ক্রেতারা দেখেই ফিরে যাচ্ছেন, কিনছেন না কেউই। এমনকি নববর্ষের সকালেও অনেকে ইলিশ মাছ কেনেন। কিন্তু সোমবার (১৪ এপ্রিল) সকালেও বিক্রি চোখে পড়েনি।

রোববার (১৩ এপ্রিল) চুয়াডাঙ্গা বড় বাজারের মাছ বাজার ঘুরে দেখা যায়, মাত্র চারজন ব্যবসায়ী ইলিশ বিক্রি করছেন। তারা জানান, অন্যান্য বছর পহেলা বৈশাখের দু-তিনদিন আগেই ইলিশের চাহিদা থাকত। কিন্তু এবার চাহিদা নেই বললেই চলে। দাম তুলনামূলকভাবে কম, প্রতি কেজি ৭০০-১৬০০ টাকার মধ্যে, তবুও বিক্রি একেবারেই মন্দা।

ইলিশ কিনতে আসা ক্রেতা শাহারিয়ার হোসেন বলেন, প্রতিবছর বৈশাখে পান্তা-ইলিশ খাই, এটা যেন একটা রীতি হয়ে গেছে। কিন্তু এবার বাজারে এসে দেখি মাছ নেই, আর যে দু-একজন বিক্রি করছেন তারা দাম বেশি চাইছেন। মাঝারি সাইজের একটা ইলিশের দাম চাচ্ছে ১২০০ টাকা কেজি। পরিবারের অন্য খরচ সামলে ইলিশ কেনা কষ্টকর।

মাছ ব্যবসায়ী সাহেব আলী বলেন, আমি গত ১০ বছর ধরে পহেলা বৈশাখের আগে ইলিশ বিক্রি করি। অন্যান্য বছর এ সময়ে ক্রেতারা হুমড়ি খেয়ে পড়ত। একদিনেই ২০-৩০ কেজি ইলিশ বিক্রি হতো। এবার সেই চিত্র নেই। দাম কমিয়ে দিয়েছি, তবু ক্রেতারা আগ্রহ দেখাচ্ছেন না।

শিউলি আক্তার নামের এক বেসরকারি চাকরিজীবী নারী এসেছেন চুয়াডাঙ্গা বড় বাজারে। তার সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, ছুটির দিন স্পেশাল রান্না করবো। বাজার করতে এসেছি।

পান্তা-ইলিশ খাবেন না? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পান্তা-ইলিশে আমাদের আগ্রহ কম। বাচ্চাদের তেমন আগ্রহ নেই বলেই এবার বাড়িতে পান্তা-ইলিশের আয়োজন করিনি।

হুসাইন মালিক/জেডএইচ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।