আধুনিক নগরীর অপেক্ষায় বগুড়াবাসী

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক বগুড়া
প্রকাশিত: ০৭:৫৫ পিএম, ২০ এপ্রিল ২০২৫
পর্যাপ্ত ডাস্টবিন না থাকায় সড়কের পাশে ফেলে রাখা হয়েছে আবর্জনা/ ছবি- জাগো নিউজ

বিএনপি নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট সরকার ২০০৬ সালে বগুড়া পৌরসভার আয়তন বাড়িয়েছিল সিটি করপোরেশনের কথা মাথায় রেখে। তারা ক্ষমতা হারানোর পর এ উদ্যোগ আর আলোর মুখ দেখেনি। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের জন্মভূমি হওয়ায় আওয়ামী লীগ শাসনামলে সরকারি কোনো কর্মকর্তা এ নিয়ে প্রস্তাবের সাহস করেননি। রাজনৈতিক রোষানলের ভয়ে স্থানীয় কোনো রাজনীতিবিদও কথা বলেননি।

ক্ষমতার পটপরিবর্তনের পর আশায় বুক বেঁধেছেন স্থানীয়রা। বগুড়া পৌরসভাকে সিটি করপোরেশন ঘোষণার দাবি তাদের দীর্ঘদিনের। রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক জটিলতায় তা বাস্তবায়িত না হলেও সম্প্রতি সরকারের কাছে বগুড়াকে সিটি করপোরেশন করার প্রস্তাব দিয়েছেন জেলা প্রশাসক। ফলে এখন একটি আধুনিক নগরী পাওয়ার অপেক্ষায় দিন গুনছেন বগুড়াবাসী।

এ শহরটি ব্যবসাপ্রধান ও শিল্পসমৃদ্ধ। যে কারণে স্থানীয় আয় পাঁচ কোটি টাকার বেশি। এছাড়া ২০২৩-২৪ অর্থবছরে পৌরসভার বার্ষিক আয় ৪৬ কোটি টাকার বেশি ছিল। এটি সিটি করপোরেশন হওয়ার শর্তের ন্যূনতম সীমা অতিক্রম করে। বগুড়ায় বিসিক শিল্পনগরী রয়েছে। ছোট, মাঝারি ও বড় মিলিয়ে শিল্পপ্রতিষ্ঠান প্রায় ২০ হাজার। প্রায় এক হাজার ৩৪০ কিলোমিটার রাস্তা ও এক হাজার ২১০ কিলোমিটার নালা রয়েছে। এই এলাকায় একটি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজসহ চারটি সরকারি কলেজ, শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেলসহ দুটি সরকারি হাসপাতাল, ব্যাংক, বিমা, শপিংমল, ফাইভ, ফোরস্টার হোটেলসহ বিস্তৃত অবকাঠামো রয়েছে, যা সম্প্রসারণযোগ্য।

বগুড়াকে জেলা ঘোষণা করা হয় ১৮২১ সালে। ১৮৭৬ সালের ১ জুলাই শহরের ১ দশমিক ২৫ বর্গকিলোমিটার এলাকা নিয়ে গঠিত হয় বগুড়া মিউনিসিপ্যালিটি। সর্বশেষ ২০০৬ সালে ৬৯ দশমিক ৫৬ বর্গকিলোমিটারে উন্নীত করা হয় পৌর এলাকার আয়তন। প্রায় দেড়শ বছরে সাড়ে ৫৫ গুণ আয়তন বাড়লেও নাগরিক সুবিধা বাড়েনি তেমন। সিটি করপোরেশন ঘোষণা না হওয়ায় ‘ক’ শ্রেণির এই পৌরসভার বিশাল এলাকা বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে। উন্নত সড়ক, স্বাস্থ্যসেবা, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতাসহ মৌলিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত শহরবাসী।

শহরের সূত্রাপুর কৃষিফার্ম এলাকার বাসিন্দা আব্দুল কাদের মুন্সি (৫৫)। একই এলাকায় তার মুদি দোকান রয়েছে। তিনি বলেন, ‘শহরের প্রাণকেন্দ্রে থাকি। তারপরও কাঙ্ক্ষিত সেবা পাই না। প্রধান সড়কে আবাসিক এলাকার মধ্যে করা হয়েছে পৌরসভার ভাগাড়। আমাদের এলাকাসহ আশপাশে প্রয়োজনীয় ডাস্টবিন নেই। পুরো সড়কই মনে হয় ভাগাড়। রাতে এসব এলাকা থাকে অন্ধকারে। বৈদ্যুতিক বাতিও কম।’ পর্যাপ্ত নালা না থাকায় প্রায়ই এ এলাকায় ময়লা পানি সড়কে উঠে আসে বলেও জানান তিনি।

সিটি করপোরেশন হওয়ার যোগ্যতা অনেক আগেই অর্জন করেছে বগুড়া। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের জন্মভূমি হওয়ায় সরকারি কোনো কর্মকর্তা এ নিয়ে প্রস্তাবের সাহস করেননি। রাজনৈতিক রোষানলের ভয়ে বগুড়ার কোনো রাজনীতিবিদও কথা বলেননি। বিচ্ছিন্নভাবে কিছু সামাজিক সংগঠন স্মারকলিপি পাঠালেও তা গুরুত্ব পায়নি।

রেলস্টেশন সংলগ্ন হাড্ডিপট্টি এলাকায় রয়েছে মিনি বাসস্ট্যান্ড। এখানকার সড়ক দিয়ে দিনে হাজারও মানুষের যাতায়াত। বাসচালক সবুর হোসেন বলেন, সড়কটি রেলস্টেশনের একেবারে কাছে। তবু এক যুগেও এটির সংস্কার করা হয়নি। পাকা এ সড়ক দেখলে বোঝাই যায় না, কখনো এখানে কার্পেটিং ছিল।

শহরের সাতমাথা, জজকোর্ট, নিউমার্কেট এলাকা, কাঁঠালতলা, রাজাবাজার মোড়, ফতেহআলী মোড়, শেরপুর ও গোহাইল রোডের সংযোগ মুখে জমে আছে আবর্জনা। গন্ধে শহরবাসীর পথচলা কঠিন। সাতমাথার কবি নজরুল ইসলাম সড়কের পাশ দিয়ে যাওয়া নালাটি পরিষ্কার হয় না দীর্ঘদিনেও। সেখানে কাপড়ের ভ্রাম্যমাণ দোকান হানিফ মিয়ার। তিনি বলেন, প্রায়ই ময়লা উপচে সড়কে চলে আসে। দুর্গন্ধে থাকা যায় না। সাতমাথার আশপাশের এলাকায় যানবাহনের উচ্চ শব্দের মধ্যে সারাদিন মাথা ভোঁ ভোঁ করে হানিফের।

অর্থনৈতিকভাবেও গুরুত্বপূর্ণ বগুড়া

বগুড়া অর্থনৈতিকভাবেও গুরুত্বপূর্ণ। ১৮২১ সালে জেলা ঘোষণার পর শহর উন্নয়ন ও পরিচালনায় ১৮৬৯ সালে গঠিত হয়েছিল বগুড়া টাউন কমিটি। ১৮৭৬ সালের ১ জুলাই জলেশ্বরীতলা, সূত্রাপুর ও আশপাশের এলাকা নিয়ে বগুড়া মিউনিসিপ্যালিটি গঠিত হয়। তখন আয়তন ছিল ১ দশমিক ২৫ বর্গকিলোমিটার। ১৯৮১ সালের ১ আগস্ট আয়তন বাড়িয়ে ১৪ দশমিক ৭৬ বর্গকিলোমিটারে ও ‘ক’ শ্রেণিতে উন্নীত করে ওয়ার্ড সংখ্যা ৯ থেকে বাড়িয়ে ১২টি করা হয়। সর্বশেষ ২০০৬ সালে চারপাশের ৪৮টি মৌজা পৌর এলাকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়। তখন আয়তন দাঁড়ায় ৬৯ দশমিক ৫৬ বর্গকিলোমিটারে। ওয়ার্ড সংখ্যা দাঁড়ায় ২১টিতে।

বর্ধিত এলাকার জন্য যে পরিমাণ সাপোর্ট দরকার সেটি আসলে পৌরসভার নেই। শহরে উন্নয়ন করতে হলে ট্যাক্স বাড়ানোর বিকল্প নেই। এ মুহূর্তে বগুড়াকে সিটি কপোরেশন ঘোষণা করা দরকার। এতে ব্যবসা-বাণিজ্যে গতি বাড়বে। নাগরিক সেবা বাড়বে।

শহরের মালগ্রাম ও কৈগাড়ি এলাকা পড়েছে বর্ধিত অংশে। এ এলাকায় বাড়ি ঠিকাদার আবু হেনার (৪৩)। তিনি বলেন, ‘বাড়ি থেকে বের হলে কারখানা ও গাড়ির বিকট শব্দ, কালো ধোঁয়া, জলাবদ্ধতার ভোগান্তি। যেখানে সেখানে মাংসের দোকান, জবাই করা পশুর উচ্ছিষ্টাংশ রাস্তায় ফেলে রাখা হয়। বাস ও বেবিট্যাক্সি স্ট্যান্ডে অরাজক পরিস্থিতি। বর্ধিত এলাকার বাসিন্দা হওয়ায় পৌরসভার সব ধরনের নাগরিক ফি দিচ্ছি। কিন্তু কোনো সুবিধা আমরা পাই না।’

বগুড়া পৌরসভা সূত্রে জানা যায়, ‘ক’ শ্রেণির এই পৌরসভার আয়তন বড় হলেও বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির আওতায় বরাদ্দ মেলে অন্য পৌরসভার মতো। এখনো পৌর এলাকায় কাঁচা সড়ক রয়েছে প্রায় ৩৫৫ কিলোমিটার। কাঁচা নালা প্রায় ৪০০ কিলোমিটার। এছাড়া পাকা সড়কের বেশির ভাগই ভাঙাচোড়া। গুরুত্বপূর্ণ অনেক সড়ক খানাখন্দে ভরপুর। নালাও ভেঙে নষ্ট হয়ে গেছে। এসব কাজ সীমিত বাজেটে করা যায় না।

দীর্ঘদিন ধরে আধুনিক শহরের অপেক্ষায় বলে জানান একটি বেসরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তা আমিনুল হক। তিনি বলেন, সিটি করপোরেশন হলে শহরের ট্রাফিক সিস্টেম ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় পরিবর্তন আসত।

২০২৪-২৫ অর্থবছরে বগুড়া পৌরসভায় বাজেট ঘোষণা করা হয় ২৭১ কোটি ১৫ লাখ ৭৩ হাজার ১৩৫ টাকা। এর মধ্যে ৭৯ কোটি টাকা (প্রায় ৩০ শতাংশ) পৌরসভার নিজস্ব আয়। বাকি ১৯১ কোটি ৬০ লাখ টাকা (প্রায় ৭০ শতাংশ) বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের। উন্নয়ন খাতে এডিপি থেকে আয় ২ কোটি টাকা ধরা হয়েছে। যেখানে গত অর্থবছরে আয় ছিল মাত্র ৭৬ লাখ টাকা। আরইউটিডিপি থেকে ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রত্যাশা ছিল।

সিটি করপোরেশন করার প্রস্তাব

সম্প্রতি সরকারের কাছে বগুড়া সিটি করপোরেশন করার প্রস্তাব দিয়েছেন জেলা প্রশাসক হোসনা আফরোজা। তিনি বলেন, বিদ্যমান আইন অনুযায়ী পৌর এলাকার জনসংখ্যা অন্তত চার লাখ হতে হবে। বগুড়া পৌরসভায় বাসিন্দা সাড়ে চার লাখ। জনসংখ্যার ঘনত্ব প্রতি বর্গকিলোমিটারে তিন হাজার জন প্রয়োজন। বগুড়া শহরে এ ঘনত্ব পাঁচ হাজার ৮৪৩ জন। সিটির জন্য আয়তন হতে হয় অন্তত ২৫ বর্গকিলোমিটার। বগুড়া পৌর এলাকা ৬৯ দশমিক ৫৬ বর্গকিলোমিটারের।

এ সড়কটি পাকা ছিল দেখে বোঝা যায় না-ছবি জাগো নিউজএ সড়কটি পাকা ছিল দেখে বোঝা যায় না-ছবি জাগো নিউজ

স্থানীয় সরকার বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, সিটি করপোরেশন হওয়ার যোগ্যতা অনেক আগেই অর্জন করেছে বগুড়া। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের জন্মভূমি হওয়ায় সরকারি কোনো কর্মকর্তা এ নিয়ে প্রস্তাবের সাহস করেননি। রাজনৈতিক রোষানলের ভয়ে বগুড়ার কোনো রাজনীতিবিদও কথা বলেননি। বিচ্ছিন্নভাবে কিছু সামাজিক সংগঠন স্মারকলিপি পাঠালেও তা গুরুত্ব পায়নি। এখন রাজনৈতিক পট পরিবর্তন হয়েছে। গুরুত্ব বিবেচনা করলে বগুড়াকে পেছনে রাখার সুযোগ নেই।

তারা জানিয়েছেন, ১০ এপ্রিল স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে এ বিষয়ে একটি নির্দেশনা এসেছে। উপসচিব মো. ফিরোজ মাহমুদের সই করা নির্দেশনায় স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) প্রতিষ্ঠা বিধিমালা, ২০১০-এর বিধি-৫ অনুযায়ী গণবিজ্ঞপ্তি জারি ও এলাকার অধিবাসীদের মতামত/আপত্তি নিষ্পত্তির পর চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। এর অনুলিপি দেওয়া হয়েছে জেলা প্রশাসকসহ চার কর্মকর্তাকে।

শহরের মাটিডালি এলাকার বাসিন্দা আমিনা বেগম বলেন, ‘আমরা বারবার শুনছি, উন্নয়ন হবে। কিন্তু কোথাও কোনো দৃশ্যমান পরিবর্তন নেই। আমরা যে পৌর এলাকার বাসিন্দা, এটা মনে হয় না।’

বগুড়া পৌরসভার প্রশাসক মাসুম আলী বেগ বলেন, জনসংখ্যার আনুপাতিক হারে পৌরসভার জন্য উন্নয়নসহায়তা বরাদ্দ দরকার। বগুড়া পৌরসভা প্রথম শ্রেণির হিসেবে অন্য পৌরসভার মতোই বরাদ্দ পায়। এখানকার জনসংখ্যা ও ভোটার সংখ্যা নতুন কয়েকটি সিটি করপোরেশনের চেয়ে বেশি। তাই বগুড়াবাসীর দাবি খুব যৌক্তিক।

জেলা প্রশাসক হোসনা আফরোজা বলেন, এ শহরটি ব্যবসাপ্রধান ও শিল্পসমৃদ্ধ। যে কারণে স্থানীয় আয় পাঁচ কোটি টাকার বেশি। এছাড়া ২০২৩-২৪ অর্থবছরে পৌরসভার বার্ষিক আয় ৪৬ কোটি টাকার বেশি ছিল। এটি সিটি করপোরেশন হওয়ার শর্তের ন্যূনতম সীমা অতিক্রম করে। বগুড়ায় বিসিক শিল্পনগরী রয়েছে। ছোট, মাঝারি ও বড় মিলিয়ে শিল্পপ্রতিষ্ঠান প্রায় ২০ হাজার। প্রায় এক হাজার ৩৪০ কিলোমিটার রাস্তা ও এক হাজার ২১০ কিলোমিটার নালা রয়েছে। এই এলাকায় একটি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজসহ চারটি সরকারি কলেজ, শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেলসহ দুটি সরকারি হাসপাতাল, ব্যাংক, বিমা, শপিংমল, ফাইভ, ফোরস্টার হোটেলসহ বিস্তৃত অবকাঠামো রয়েছে, যা সম্প্রসারণযোগ্য।

সুশাসনের জন্য প্রচারাভিযান (সুপ্র) বগুড়া জেলা শাখার সম্পাদক কেজিএম ফারুক বলেন, পৌরসভার নির্দিষ্ট বাজেটে অনেক এলাকার মানুষকে কোনো নাগরিক সুবিধা দেওয়া সম্ভব হয় না। অথচ যথারীতি পৌর কর দিতে হচ্ছে। জমি রেজিস্ট্রি করতেও ফি দিতে হচ্ছে চারগুণ।

বগুড়া চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সাইরুল ইসলাম বলেন, বর্ধিত এলাকার জন্য যে পরিমাণ সাপোর্ট দরকার সেটি আসলে পৌরসভার নেই। শহরে উন্নয়ন করতে হলে ট্যাক্স বাড়ানোর বিকল্প নেই। এ মুহূর্তে বগুড়াকে সিটি কপোরেশন ঘোষণা করা দরকার। এতে ব্যবসা-বাণিজ্যে গতি বাড়বে। নাগরিক সেবা বাড়বে।

এলবি/এসএইচএস/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।