ছুটির দিনে মিরসরাই-সীতাকুন্ডে মানুষের ভিড়

উপজেলা প্রতিনিধি উপজেলা প্রতিনিধি মিরসরাই (চট্টগ্রাম)
প্রকাশিত: ০৯:০৫ পিএম, ০১ মে ২০২৫

মিরসরাই-সীতাকুন্ডে একদিকে পাহাড়, আরেকদিকে সমুদ্র। সবুজ পরিবেশ, নির্মল হ্রদ ও ঝরনা কাছে টানে প্রকৃতিপ্রেমীদের। সময়ের অভাবে যাদের এসব জায়গায় ইচ্ছা থাকলেও আসা হয়ে ওঠে না, তারা বিভিন্ন ছুটি কাজে লাগান।

এবারও মহান মে দিবস ও সাপ্তাহিক ছুটি মিলিয়ে টানা তিনদিনের ছুটি থাকায় অনেকে ছুটে গেছেন মিরসরাই-সীতাকুন্ডে। ফলে এখানকার বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রে দেখা গেছে মানুষের ভিড়।

মিরসরাইয়ের পর্যটন স্পটগুলোর মধ্যে মুহুরি প্রজেক্ট, ডোমখালী সমুদ্র সৈকত, শিল্পনগর সমুদ্র সৈকত, অলিনগর হিলসডেল মাল্টি ফার্ম অ্যান্ড মধুরিমা রিসোর্ট, আরশীনগর ফিউচার পার্ক, দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম কৃত্রিম লেক মহামায়া সেচ প্রকল্প ও হ্রদ, খৈয়াছড়া ঝরনা, রূপসী ঝরনা, বাওয়াছড়া প্রকল্প, বোয়ালিয়া ঝরনা, মেলখুম ট্রেইল উল্লেখযোগ্য।

সীতাকুন্ডে পর্যটন স্পটগুলোর মধ্যে রয়েছে সীতাকুন্ড ইকোপার্ক, সহস্রধারা ঝরনা, বাঁশবাড়িয়া সমুদ্র সৈকত, গুলিয়াখালী সমুদ্র সৈকত, আকিলপুর সমুদ্র সৈকত, চন্দ্রনাথ পাহাড়, ভাটিয়ারি বিএমএ লেক ও ডিসি পার্ক।

এরমধ্যে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম কৃত্রিম লেক মহামায়ার চারদিকে সবুজে ঘেরা পাহাড়। মহামায়ার ‘মায়া’ কেবল এ বর্ণনায়ই সীমাবদ্ধ রাখা যায় না। এ যেন শিল্পীর ক্যানভাসে আঁকা কোনো ছবি।

ছুটির দিনে মিরসরাই-সীতাকুন্ডে মানুষের ভিড়

পরিবার নিয়ে সেখানে বেড়াতে যাওয়া চট্টগ্রামের হালিশহর এলাকার বাসিন্দা সেলিম উদ্দিন বলেন, ছুটি থাকায় পরিবার নিয়ে মহামায়া পার্কে বেড়াতে এসেছি। লেকে ইঞ্জিনচালিত বোটে বেড়ানোর মজাই আলাদা। বাচ্চারাও খুব আনন্দ করেছে।

খৈয়াছরা ঝরনায় বেড়াতে যাওয়া ফেনী কলেজের শিক্ষার্থী আবরার হোসেন বলেন, ৮ বন্ধু মিলে খৈয়াছরায় ঝরনাতে ঘুরতে আসছি। এর আগেও কয়েকবার এসেছি। তবে এবার ঝরনায় পানি কম।

পর্যটকদের কাছে জনপ্রিয় আরেকটি স্পটের নাম আকিলপুর সমুদ্র সৈকত। আগে এই এলাকা ছিল ভীতিকর। বিশেষ করে ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসের কারণে। কিন্তু সরকার এখানে বাধ নির্মাণ করেছে। পাশে সাড়ি সাড়ি গাছ লাগানো হয়েছে। ফলে সৌন্দর্যও এখন বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতিদিন অনেক মানুষ এখানে বেড়াতে আসেন।

মিরসরাই উপজেলার অন্যতম স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন শতাব্দী ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক রনি ভৌমিক বলেন, এ অঞ্চলে অসংখ্য পর্যটন স্পট রয়েছে। এখানে দূর-দূরান্ত থেকে প্রতিদিন শত শত মানুষ ছুটে আসছেন। বাইরে থেকে আরও অনেক মানুষ আসতো যদি এখানে থাকার ব্যবস্থা থাকতো। এখানে হোটেল কিংবা রিসোর্ট নির্মাণ হলে পর্যটক বেড়ে যেত।

এম মাঈন উদ্দিন/জেডএইচ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।