জিআই পণ্যের স্বীকৃতি পেলো টাঙ্গাইলের ‘জামুর্কীর সন্দেশ’

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি টাঙ্গাইল
প্রকাশিত: ০৯:৫৭ পিএম, ০১ মে ২০২৫
টাঙ্গাইলের ‘জামুর্কীর সন্দেশ’

ঐতিহ্যবাহী টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার জামুর্কীর সন্দেশ স্বীকৃতি পেয়েছে ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্য হিসেবে।

বুধবার (৩০ এপ্রিল) বিশ্ব মেধা সম্পদ দিবস উদযাপন উপলক্ষে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক অনুষ্ঠানে এ সনদ দেওয়া হয়। এতে খুশি সন্দেশের কারিগর ও স্থানীয়রা।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি শিল্প ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খানের কাছ থেকে সন্দেশের জিআই নিবন্ধন সনদ গ্রহণ করেন টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসক শরীফা হক।

আরও পড়ুন

জিআই পণ্যের স্বীকৃতি পেলো টাঙ্গাইলের ‘জামুর্কীর সন্দেশ’

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, মির্জাপুর উপজেলার জামুর্কীতে প্রথমে সন্দেশের ব্যবসা শুরু করেন কালিদাস নামের এক ব্যক্তি। এই সন্দেশ স্থানীয়ভাবে ‌‘কালিদাসের সন্দেশ’ হিসেবে প্রসিদ্ধ লাভ করে। গুণগতমান বজায় রাখায় দেশের গণ্ডি পেরিয়ে এই সন্দেশের খ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে ভারতের কলকাতাসহ উপমহাদেশে। প্রায় শত বছর ধরে সব শ্রেণি-পেশার মানুষের আস্থা অর্জন করেছে এই সন্দেশ।

ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের উপজেলার জামুর্কী এলাকায় অবস্থিত এই সন্দেশের দোকান। মহাসড়কের পাশে হওয়ায় দেশের বিভিন্ন এলাকার মানুষ খুব সহজেই বিশেষ স্বাদের এই সন্দেশ কিনতে পারেন।

কালিদাসের সন্দেশের দোকানটি পরিচালনা করেন কালিদাসের নাতি সমর সাহা। এরআগে তার বাবা দোকানটি পরিচালনা করতেন। জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ায় সন্দেশ ব্যবসায়ী এবং স্থানীয়দের মধ্যে খুশির জোয়ার বইছে।

জিআই পণ্যের স্বীকৃতি পেলো টাঙ্গাইলের ‘জামুর্কীর সন্দেশ’

পাকুল্যা গ্রামের বাসিন্দা তপন কুমার শেঠ বলেন, আমাদের এলাকার পণ্য জিআই স্বীকৃতি পাওয়ায় আমরা আনন্দিত। এই স্বীকৃতিতে বর্তমান সরকারের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ।

মির্জাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ বি এম আরিফুল ইসলাম জানান, মির্জাপুরবাসীর চাওয়াকে সরকার স্বীকৃতি দিয়েছে। এটা এই এলাকার জন্য অনেক বড় প্রাপ্তি।

এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক শরীফা হক বলেন, আমাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে জিআই সনদ দেওয়া হয়েছে।

আব্দুল্লাহ আল নোমান/এসআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।