কুড়িগ্রাম সীমান্তে আরও ২৩ জনকে পুশ ইন বিএসএফের
কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলার সোনাহাট, বাবুরহাট ও কেদার সীমান্ত দিয়ে আরও ২৩ জন নারী ও পুরুষকে পুশ ইন করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।
মঙ্গলবার (২৭ মে) ভোরে উপজেলার তিনটি সীমান্ত এলাকা দিয়ে তাদের পুশ ইন করা হয়। পরে ওই তিন সীমান্ত এলাকার বিজিবি ক্যাম্পের সদস্যরা তাদের আটক করেন।
তবে সীমান্ত দিয়ে ঠেলে দেওয়া আটক ব্যক্তিরা কোন দেশের নাগরিক তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এসব নাগরিকদের বিজিবি কেদার, সোনাহাট ও বাবুরহাট ক্যাম্পের হেফাজতে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে নিশ্চিত করেছেন কুড়িগ্রাম-২২ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মাহাবুব উল হক।
সোনাহাট সীমান্ত দিয়ে ছয়জন পুরুষ, তিনজন নারী, বাবুরহাট সীমান্ত দিয়ে ছয়জন পুরুষ ও দুজন নারী এবং কচাকাটা থানার কেদার সীমান্ত দিয়ে চারজন পুরুষ ও দুজন নারীকে পুশ ইন করা হয়েছে।

কুড়িগ্রাম ২২ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মাহাবুব উল হক জানান, জেলার ভূরুঙ্গামারী উপজেলার তিনটি সীমান্ত এলাকা দিয়ে ২৩ জনকে পুশ ইন করার ঘটনা ঘটেছে। তাদের আটক করেছে বিজিবি। তবে পুশ ইন করা ব্যক্তিরা কোন দেশের নাগরিক তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
এর আগে মঙ্গলবার ভোরে জেলার রৌমারী উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়নের বড়াইবাড়ী সীমান্ত দিয়ে ১৪ জনকে বাংলাদেশে পুশ ইন করে বিএসএফ। এ ঘটনায় বড়াইবাড়ী সীমান্তে বিজিবি ও বিএসএফের মধ্যে উত্তেজনা চলছে। আর পুশ ইন করা ওই ১৪ জন ভারতীয় নাগরিক। দুপুরে বিজিবির পক্ষ থেকে পতাকা বৈঠকের উদ্যোগ নেওয়া হলেও এতে রাজি হয়নি বিএসএফ।
জামালপুর-৩৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক (সিও) হাসানুর রহমান বলেন, পতাকা বৈঠকের কথা থাকলেও সেটি হয়নি। আটক ১৪ জনকে বড়াইবাড়ী ক্যাম্পে রাখা হয়েছে। তারা মূলত কোন দেশের নাগরিক তা যাচাই-বাছাই করে পরবর্তীতে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রোকনুজ্জামান মানু/এসআর/এএসএম