ঝিনাইদহে চামড়ার দামে হতাশ মৌসুমি ব্যবসায়ীরা

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি ঝিনাইদহ
প্রকাশিত: ১০:১২ এএম, ০৯ জুন ২০২৫

ঈদুল আজহা পরবর্তী সময়ে ঝিনাইদহে ব্যস্ত সময় পার করছেন কাঁচা চামড়া ব্যবসায়ীরা। আড়তগুলোতে চামড়া প্রক্রিয়াকরণের কাজে শ্রমিকরা এখন ব্যস্ত। তাদের দম ফেলার ফুরসত নেই। জেলার বিভিন্ন এলাকা ও গ্রাম থেকে শহরের আড়তগুলোতে আসছে গরু-ছাগলের চামড়া। তবে এবছর চামড়ার মূল্য সরকার নির্ধারণ করে দিলেও কাঙ্ক্ষিত দাম না পেয়ে হতাশ মৌসুমি ব্যবসায়ীরা।

সরেজমিনে জেলা শহরের চামড়ার আড়তগুলো ঘুরে দেখা গেছে, জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে চামড়া নিয়ে বিক্রি করতে আড়তে যাচ্ছেন বিক্রেতারা। তাদের অধিকাংশই মৌসুমি চামড়া ব্যবসায়ী। আশা নিয়ে চামড়া বিক্রি করতে এলেও কাঙ্ক্ষিত দাম না পেয়ে হতাশ তারা।

বিজ্ঞাপন

জানা গেছে, এ বছর জেলায় প্রায় দেড় লাখ পশু কোরবানি হয়েছে। যার মধ্যে গরু প্রায় ৩৫ হাজার। এছাড়া লক্ষাধিক ছাগল ও ভেড়া কোরবানি হয়েছে। কোরবানি হওয়া এসব পশুর চামড়া ঈদের দিন থেকেই জেলা শহরসহ উপজেলা শহরের বিভিন্ন চামড়ার আড়তে যেতে শুরু করে। আড়তদারদের পাশাপাশি মৌসুমি চামড়ার ব্যবসায়ীরা গ্রামগঞ্জ থেকে চামড়া সংগ্রহ করে তা আড়তে বিক্রি করছেন।

আড়তে আসার পরে লবণ মাখিয়ে চামড়া প্রক্রিয়াজাতকরণের প্রাথমিক ধাপ সম্পন্ন করছেন শ্রমিকরা। আড়তে আড়তে স্তূপ করে রাখা হয়েছে হাজার হাজার চামড়া।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

তবে আড়তদারদের মুখে হাসি ফুটলেও ভিন্ন সুর বিক্রেতাদের কণ্ঠে। দামড়ার কাঙ্ক্ষিত দাম না পেয়ে হতাশ তারা।

বিক্রেতারা বলছেন, সরকার চামড়ার মূল্য নির্ধারণ করে দিলেও ব্যবসায়ী ও আড়তদাররা কাঙ্ক্ষিত দাম দিচ্ছেন না।

মৌসুমি কাঁচা চামড়া ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলাম বলেন, সরকার গরু-ছাগলের চামড়ার দাম নির্ধারণ করে দিলেও আড়ৎদাররা নানান অজুহাতে কাঙ্ক্ষিত দাম দিচ্ছেন না। কাজেই বাধ্য হয়ে মৌসুমি ব্যবসায়ীরা লোকসানে পড়েছেন।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

অপর এক ব্যবসায়ী আজিবার আলী বলেন, গরুর চামড়ার দাম সরকার ১১শ থেকে ১১৫০ টাকা নির্ধারণ করলেও আড়তদাররা ৭০০-৮০০ টাকায় চামড়া কিনছেন। নির্দিষ্ট কিছু ব্যবসায়ীর হাতে চামড়ার ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ থাকায় মৌসুমি ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেটের দুষ্টচক্রের ফাঁদে পড়েছে।

তবে সরকার নির্ধারিত দামেই চামড়া কেনা হয়েছে বলে দাবি করেন ঝিনাইদহ কাঁচা চামড়া ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান।

তিনি বলেন, এবছর জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে ৩৫ হাজার গরু ও ১ লাখ ছাগলের চামড়া সংগ্রহ করার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। বড় গরুর চামড়া ৮০০-১৩০০ টাকা পর্যন্ত বেচাকেনা চলছে। তবে ছাগলের চামড়ার বেচাকেনা চলছে ২০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১২০ টাকা মধ্যে।

বিজ্ঞাপন

জাগোনিউজের খবর পেতে ফলো করুন

তিনি আরও বলেন, গ্রামগঞ্জে কোরবানির পশু জবাই ও চামড়া ছাড়ানোর কাজ অপেশাদার লোকজন করে থাকে। যে কারণে অনেক চামড়া কেটে যায়। ফলে মান নষ্ট হয়। এতে আমরা চাইলেও বেশি দামে ওইসব চামড়া কিনতে পারি না।

শাহজাহান নবীন/জেডএইচ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন jagofeature@gmail.com ঠিকানায়।