বাণিজ্য উপদেষ্টা

চামড়া শিল্প রক্ষায় এ সরকার যত কর্মকাণ্ড করেছে তা আগে কেউ করেনি

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি যশোর
প্রকাশিত: ০৬:৪২ পিএম, ০৯ জুন ২০২৫
যশোরে চামড়ার হাট পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন

বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেছেন, চামড়া শিল্প রক্ষার্থে অন্তর্বর্তী সরকার যত কর্মকাণ্ড করেছে বাংলাদেশের ইতিহাসে কোনো সরকার তা করেনি। সবার সহযোগিতা পেলে আমরা লক্ষ্যে যেতে পারবো।

সোমবার (৯ জুন) দুপুরে দেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের সর্ববৃহৎ চামড়ার হাট রাজারহাট পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

বিজ্ঞাপন

বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, আমরা চামড়া শিল্পে সবার আগে এতিমখানা ও মাদরাসার স্বার্থ রক্ষার কাজ করছি। আমরা কাজ করছি দেশের চামড়া শিল্পের স্বার্থ ও ভবিষ্যৎ নিয়ে। চামড়া শিল্পের যে অধঃপতন ঘটেছে গত ১৫ বছরে, নৈরাজ্য সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়ার জন্য সারাদেশে আমি ব্যক্তিগতভাবে ঘুরে বেড়াচ্ছি। সবকিছু পর্যবেক্ষণ করছি। এছাড়া কন্ট্রোল টিমও কাজ করছে।

চামড়া শিল্প রক্ষায় এ সরকার যত কর্মকাণ্ড করেছে তা আগে কেউ করেনি

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

তিনি আরও বলেন, চামড়ার মূল্য বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে সাড়ে সাত লাখ টন লবণ বিতরণ করা হয়েছে। লবণ দিয়ে সরকার চামড়ার মূল্যবৃদ্ধিতে সহায়কের কাজ করেছে। অনেক মাদরাসা আছে লবণ ছাড়া চামড়া দিয়েছে। সরকার লবণ ছাড়া চামড়ার মূল্য নির্ধারণ করে না। অনেক মৌসুমি ব্যবসায়ী চামড়া সম্পর্কে ধারণা না থাকাতে নষ্ট করেছে, ফলে তারা কাঙ্ক্ষিত দাম পায়নি।

উপদেষ্টা বলেন, ট্যানারি মালিকদের সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য তাদের প্রণোদনার ২২০ কোটির টাকা ঈদের আগে ছাড় করেছে সরকার। বাজার ব্যবস্থাপনা সম্প্রসারণ করেছি। আমরা যে পদক্ষেপ নিয়েছি বহিঃবিশ্বে চামড়া শিল্পের চাহিদা তৈরি হবে। চামড়ার নৈরাজ্য নিয়ে এখনো সরকারের ওপর দায় চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে।

রাজারহাট পরিদর্শনকালে জেলা প্রশাসক আজাহারুল ইসলাম, পুলিশ সুপার রওনক জাহানসহ প্রশাসনের পদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। চামড়ার হাট পরিদর্শন শেষে যশোর সদরের বারিনগরে ইউএসএআইডির অর্থায়নে স্থাপিত সবজির হিমাগার পরিদর্শন করেন।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

মিলন রহমান/এমএন/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন jagofeature@gmail.com ঠিকানায়।