মসলা চাষে প্রযুক্তির ছোঁয়া, বদলে যাচ্ছে কৃষির চিত্র

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক বগুড়া
প্রকাশিত: ০৬:৩৭ পিএম, ১১ জুলাই ২০২৫
চাষাবাদ পদ্ধতি সহজ ও লাভজনক করতে কাজ করে যাচ্ছে বগুড়ার মসলা গবেষণা কেন্দ্র/ছবি-জাগো নিউজ

ফেলে রাখা উঠান, ছাদ বা বাড়ির এক কোণে পড়ে থাকা জায়গা—এসবই এখন বদলে যাচ্ছে যেন ‌‌‘সোনার খনি’তে। কারণ, দেশের নানা প্রান্তে তরুণ উদ্যোক্তারা শুরু করেছেন বস্তায় আদা চাষ। চাষ পদ্ধতিটি যেমন সহজ, তেমনি লাভজনক। আর এর পেছনে বড় ভূমিকা রাখছে বগুড়ার মসলা গবেষণা কেন্দ্র।

বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলার অনাহত গ্রামের তরুণ রুহুল আমীন। ইউটিউব দেখে প্রথমবারের মতো ২২টি বস্তায় চাষ করেন আদা। ফলন দেখে বিস্মিত। এবার বাণিজ্যিকভাবে আদা চাষে নামতে চান তিনি। পরামর্শ নেন মসলা গবেষণা কেন্দ্র থেকে।

রুহুল আমীনের মতো অনেকেই এখন ছাদ, উঠান কিংবা অব্যবহৃত ফাঁকা জায়গা ব্যবহার করছেন মসলা চাষে। শাজাহানপুরের ইমরান হোসেন, নন্দীগ্রামের গৃহবধূ সালমা আক্তার কিংবা শিবগঞ্জের যুবক তৌহিদ এখন বস্তায় আদা, হলুদ, এলাচি চাষে মন দিয়েছেন।

মসলা চাষে প্রযুক্তির ছোঁয়া, বদলে যাচ্ছে কৃষির চিত্র

বগুড়ার মসলা গবেষণা কেন্দ্র একসময় সীমিত গবেষণায় সীমাবদ্ধ থাকলেও এখন দেশের মসলা উৎপাদনের আধুনিকীকরণে অগ্রণী ভূমিকা রাখছে। কেন্দ্রটির উদ্ভাবিত উন্নত জাত, আধুনিক চাষ পদ্ধতি এবং নিয়মিত প্রশিক্ষণ কর্মসূচি চাষিদের মাঝে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।

গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক ড. আলমগীর হোসেন বলেন, ‌‘আমাদের লক্ষ্য মসলা আমদানিনির্ভরতা কমিয়ে দেশের অভ্যন্তরীণ চাহিদা পূরণ। আমরা আধুনিক পদ্ধতিতে কম জায়গায় বেশি উৎপাদন সম্ভব এমন প্রযুক্তি ছড়িয়ে দিচ্ছি।’

‘এখন দেশের জলবায়ুতেও জিরা উৎপাদন সম্ভব হচ্ছে। চলতি মৌসুমে দেশের ১৭টি জেলায় ৮০ জন কৃষক জিরা চাষে যুক্ত হয়েছেন। ধানের তুলনায় জিরায় প্রায় চারগুণ পর্যন্ত লাভের সম্ভাবনা রয়েছে।’

বাংলাদেশে বর্তমানে প্রায় ৩০ ধরনের মসলা চাষ হয়। তবুও বছরে ৫৮ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন চাহিদার বিপরীতে প্রায় ৪৫ লাখ টন আমদানি করতে হয়। এতে প্রতিবছর গড়ে ৮ থেকে ৯ হাজার কোটি টাকা ব্যয় হয় বিদেশি মসলা আমদানিতে।

মসলা গবেষণা কেন্দ্র বলছে, সঠিক প্রযুক্তি প্রয়োগ ও কৃষক প্রশিক্ষণ অব্যাহত থাকলে আগামী ৫-৭ বছরের মধ্যে দেশের অভ্যন্তরীণ উৎপাদন দ্বিগুণ করা সম্ভব।

যেভাবে শুরু

বগুড়ার মহাস্থানগড়ের অদূরে শিবগঞ্জ উপজেলার রায়নগর এলাকায় ১৯৯৬ সালে ৭০ একর জমির ওপর গড়ে ওঠে দেশের একমাত্র পূর্ণাঙ্গ মসলা গবেষণা কেন্দ্র। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বারি) আওতাধীন এই প্রতিষ্ঠান গত দুই যুগে দেশে মসলা চাষে প্রযুক্তিগত বিপ্লব ঘটিয়েছে।

মসলা চাষে প্রযুক্তির ছোঁয়া, বদলে যাচ্ছে কৃষির চিত্র

এই কেন্দ্রের তত্ত্বাবধানে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে স্থাপন করা হয়েছে তিনটি আঞ্চলিক ও চারটি উপ-আঞ্চলিক মসলা গবেষণা কেন্দ্র। আঞ্চলিক কেন্দ্রগুলো মাগুরা, কুমিল্লা ও গাজীপুরে এবং উপ-আঞ্চলিক কেন্দ্রগুলো স্থাপিত হয়েছে লালমনিরহাট, ফরিদপুর, সিলেট ও খাগড়াছড়িতে। যার মাধ্যমে মাঠপর্যায়ে পৌঁছানো সহজ হয়েছে প্রযুক্তি।

এ পর্যন্ত গবেষণা কেন্দ্র থেকে উদ্ভাবিত হয়েছে ৫৮টি উন্নত জাত এবং ১৫৬টি প্রযুক্তি—যার মধ্যে রয়েছে পেঁয়াজ, মরিচ, রসুন, আদা, হলুদ, ধনিয়া, কালোজিরা, মৌরি, রাধুনী, দারুচিনি, গোলমরিচ, পান, জিরাসহ নানান মূল্যবান মসলার জাত ও চাষপ্রণালি। এরইমধ্যে এসব জাত দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে কৃষক পর্যায়ে চাষাবাদ হচ্ছে।

গবেষণা কেন্দ্রের কারিগরি সহায়তায় শিবগঞ্জ উপজেলার দেউলী ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর গ্রামের কৃষক সাইফুল ইসলাম এবার মাত্র আট শতক জমিতে পরীক্ষামূলকভাবে জিরা চাষ করেছেন। তিনি বলেন, ‘কৃষি অফিসের পরামর্শে প্রথমবার অল্প জমিতে জিরা চাষ করেছি। চারার অবস্থা ভালো। আশা করছি ভালো ফলন পাবো। আগামীতে বাণিজ্যিকভাবে চাষ করবো।’

‘এ পর্যন্ত গবেষণা কেন্দ্র থেকে উদ্ভাবিত হয়েছে ৫৮টি উন্নত জাত এবং ১৫৬টি প্রযুক্তি—যার মধ্যে রয়েছে পেঁয়াজ, মরিচ, রসুন, আদা, হলুদ, ধনিয়া, কালোজিরা, মৌরি, রাধুনী, দারুচিনি, গোলমরিচ, পান, জিরাসহ নানান মূল্যবান মসলার জাত ও চাষপ্রণালি। এরইমধ্যে এসব জাত দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে কৃষক পর্যায়ে চাষাবাদ হচ্ছে।’

এই জিরা সম্প্রসারণ কার্যক্রমের তত্ত্বাবধানে রয়েছেন মসলা গবেষণা কেন্দ্রের সিনিয়র সায়েন্টিফিক অফিসার (হর্টিকালচার) ডা. মাহমুদুল হাসান সুজা। তিনি জানান, একসময় কৃষকদের ধারণা ছিল, জিরা শুধু মরু ও ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলের ফসল। কিন্তু প্রযুক্তিগত অভিযোজন ও জাত উন্নয়নের মাধ্যমে সেই ভুল ধারণা বদলে গেছে। এখন দেশের জলবায়ুতেও জিরা উৎপাদন সম্ভব হচ্ছে। চলতি মৌসুমে দেশের ১৭টি জেলায় ৮০ জন কৃষক জিরা চাষে যুক্ত হয়েছেন। ধানের তুলনায় জিরায় প্রায় চারগুণ পর্যন্ত লাভের সম্ভাবনা রয়েছে।

গবেষকরা বলছেন, দেশে মসলার উৎপাদন বাড়িয়ে আমদানিনির্ভরতা কমাতে এই ধরনের গবেষণা কার্যক্রম ও মাঠ পর্যায়ে তার সফল প্রয়োগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আর এই প্রক্রিয়ার নেতৃত্বেই রয়েছে বগুড়ার মসলা গবেষণা কেন্দ্র।

পেঁয়াজ গুঁড়ার উদ্ভাবনে সম্ভাবনার দ্বার

বাজারে পেঁয়াজের অস্থিরতা যখন নিয়মিত চিত্র, তখন সমাধানের পথে গুরুত্বপূর্ণ এক উদ্ভাবন এনেছে বগুড়ার মসলা গবেষণা কেন্দ্র। প্রতিষ্ঠানটি শুধু হলুদ, শুকনা মরিচ, জিরা বা ধনিয়ার উন্নত জাত নয়; এবার উদ্ভাবন করেছে পেঁয়াজ, আদা ও রসুনের প্রক্রিয়াজাত গুঁড়ার প্রযুক্তি। ফলে কাঁচা পেঁয়াজের ঘাটতি বা সংরক্ষণের ঝুঁকি কমিয়ে দীর্ঘমেয়াদে ব্যবহারযোগ্য ‘পেঁয়াজ গুঁড়া’ বাজারজাত করা সম্ভব হবে।

মসলা চাষে প্রযুক্তির ছোঁয়া, বদলে যাচ্ছে কৃষির চিত্র

সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তির এই উদ্ভাবনের ফলে উদ্যোক্তারা সহজেই পেঁয়াজ গুঁড়া উৎপাদন ও সংরক্ষণ করতে পারবেন। গবেষণায় যুক্ত থাকা বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই পদ্ধতি সঠিকভাবে ছড়িয়ে দিতে পারলে দেশের উৎপাদিত পেঁয়াজ দিয়েই আমদানি ছাড়াই ঘাটতি মেটানো সম্ভব হবে।

বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বারি) আওতাধীন এই গবেষণা কার্যক্রমের নেতৃত্ব দিচ্ছেন খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণবিষয়ক গবেষক ড. মাসুদ আলম। তার মতে, অনেক দেশেই পেঁয়াজ গুঁড়ার প্রচলন রয়েছে কিন্তু বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে তা ছিল একেবারেই নতুন। আমরা গবেষণাগারে সফলভাবে এই পদ্ধতি প্রয়োগ করেছি। উদ্যোক্তারা চাইলে এই প্রযুক্তির মাধ্যমে ঘরোয়া বা ক্ষুদ্র শিল্প পর্যায়ে পেঁয়াজ গুঁড়া উৎপাদন করতে পারবেন। এতে পণ্যের দাম স্থিতিশীল থাকবে ও সংরক্ষণও সহজ হবে।

কমবে আমদানিনির্ভরতা

সরকারি তথ্যমতে, দেশে বছরে পেঁয়াজ উৎপাদন হয় প্রায় ২৫ লাখ মেট্রিক টন, কিন্তু সংরক্ষণের অভাবে ২৫–৩০ শতাংশ—অর্থাৎ প্রায় ৬–৭ লাখ টন পেঁয়াজ নষ্ট হয়ে যায়। অথচ চাহিদা রয়েছে ৩৫ লাখ মেট্রিক টনের বেশি। এই ঘাটতি পূরণে প্রতিবছরই বিপুল পরিমাণ পেঁয়াজ আমদানি করতে হয়, যার ওপর নির্ভরতা সৃষ্টি করে বাজারে অস্থিরতা।

‘গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের চারা উৎপাদন ছিল অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং। কিন্তু আমরা সফল হয়েছি। দেশের অনেক জেলাতেই এখন এই পেঁয়াজের চাষ হচ্ছে। পাশাপাশি পেঁয়াজ গুঁড়ার প্রযুক্তিও বাজারে নতুন সম্ভাবনার দিগন্ত খুলেছে। এটা শুধু সংকট মোকাবিলায় নয়, কৃষিভিত্তিক উদ্যোক্তা তৈরিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।’

বিশেষ করে আগস্ট থেকে নভেম্বর মাস পর্যন্ত গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের ঘাটতির সময়ে আমদানির ব্যাঘাত ঘটলেই দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম হঠাৎ বেড়ে যায়। এই সমস্যা সমাধানে বগুড়া মসলা গবেষণা কেন্দ্র উদ্ভাবন করেছে বারি পেঁয়াজ-৫ নামের একটি জাত, যা সারা বছর চাষ উপযোগী।

মসলা চাষে প্রযুক্তির ছোঁয়া, বদলে যাচ্ছে কৃষির চিত্র

গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষেও সফলতা

মসলা গবেষণা কেন্দ্র ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের যৌথ উদ্যোগে বর্তমানে দেশের বিভিন্ন জেলায় বারি পেঁয়াজ-৫ এর চাষাবাদ শুরু হয়েছে। শুধু মাঠে নয়, শহরের ছাদেও পরীক্ষামূলকভাবে এই জাতের পেঁয়াজ চাষ হচ্ছে। এতে পেঁয়াজের মৌসুমি ঘাটতি অনেকটাই কমবে বলে মনে করছেন গবেষকরা।

বগুড়া মসলা গবেষণা কেন্দ্রের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. নুর আলম চৌধুরী বলেন, গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের চারা উৎপাদন ছিল অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং। কিন্তু আমরা সফল হয়েছি। দেশের অনেক জেলাতেই এখন এই পেঁয়াজের চাষ হচ্ছে। পাশাপাশি পেঁয়াজ গুঁড়ার প্রযুক্তিও বাজারে নতুন সম্ভাবনার দিগন্ত খুলেছে। এটা শুধু সংকট মোকাবিলায় নয়, কৃষিভিত্তিক উদ্যোক্তা তৈরিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

মসলা চাষে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনতে কাজ করছে বগুড়ার মসলা গবেষণা কেন্দ্র। এ প্রতিষ্ঠান শুধু জাত উদ্ভাবনেই নয়, প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন ও মাঠপর্যায়ে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কৃষকদের দক্ষ করে তুলছে। ফলে মসলা চাষ এখন শুধু গ্রামীণ অভ্যাস নয়; পরিণত হচ্ছে একটি আধুনিক, প্রযুক্তিনির্ভর খাতে। উদ্ভাবিত উল্লেখযোগ্য কিছু প্রযুক্তির মধ্যে রয়েছে ঢিবি ও বস্তা পদ্ধতিতে আদা রোপণ, জিংক ও বোরন প্রয়োগে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের বীজ ধারণক্ষমতা, ফলন ও গুণগত মান বৃদ্ধি, গ্রীষ্মকালীন মরিচ ও পেঁয়াজের আন্তঃফসল চাষ, রসুনে সমন্বিত পুষ্টি ও সেচ ব্যবস্থাপনা, চারার মাধ্যমে হলুদের উৎপাদন, হলুদ ও মরিচের আন্তঃফসল চাষ, সংরক্ষিত পেঁয়াজের কন্দে রোগজীবাণু, পঁচন ও অঙ্কুরোদগমের হার নির্ণয় এবং রোগের সমন্বিত দমন প্রযুক্তি।

পাশাপাশি এই কেন্দ্র শুধু প্রচলিত মসলাতেই থেমে নেই। তারা গবেষণা করছেন বহু অপ্রচলিত ও সম্ভাবনাময় মসলা ফসল নিয়ে।যেমন: শলুক, তেজপাতা, রাঁধুনী, চুঁইঝাল, একাঙ্গি, কারিপাতা, জিরা, লবঙ্গ, পেস্তা বাদাম, জয়ফল, রোজমেরী, লেমনগ্রাস, মিঠা তুলসি, সুপারি, পান বিলাস, চিভস, ভ্যানিলা, আম আদা, বিলাতি ধনিয়া প্রভৃতি।

গবেষকদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে—উচ্চফলনশীল, পুষ্টিমানসম্পন্ন ও প্রতিকূল পরিবেশ সহিষ্ণু জাত উদ্ভাবন, স্বল্প সময়ে অধিক উৎপাদনক্ষম জাত তৈরি, আধুনিক ও টেকসই উৎপাদন পদ্ধতি, উন্নত মানসম্পন্ন বীজ উৎপাদন, মসলা ফসলের বাজার ব্যবস্থাপনা বিষয়ে সমীক্ষা ও বিশ্লেষণ, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় কৃষক সহায়ক প্রযুক্তি উদ্ভাবন। বিশেষ করে জিরা, এলাচ ও দারচিনির জাত উন্নয়নে কাজ করছেন গবেষকরা।

মসলা চাষে প্রযুক্তির ছোঁয়া, বদলে যাচ্ছে কৃষির চিত্র

বর্তমানে কেন্দ্রটিতে ১৩ জন বিজ্ঞানী গবেষণায় নিয়োজিত রয়েছেন। পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত কৃষি কর্মকর্তা, এনজিও কর্মী, শিক্ষানবিশ ও কৃষকদের নিয়মিত প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন।

মসলা গবেষণা কেন্দ্রের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. জুলফিকার হায়দার প্রধান বলেন, প্রযুক্তি উদ্ভাবনের পাশাপাশি আমরা কৃষকদের হাতে এসব প্রযুক্তি পৌঁছে দিতে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছি। কৃষক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে এখন মাঠেই প্রযুক্তির বাস্তব প্রয়োগ হচ্ছে।

আবহাওয়ার বৈরিতা ও দক্ষ জনবল ঘাটতি মসলা চাষের বিস্তারে এখনো চ্যালেঞ্জ হিসেবে থাকলেও দেশজ প্রযুক্তি, জাত ও চাষ পদ্ধতি মাঠে ছড়িয়ে দিলে মসলার আমদানিনির্ভরতা দ্রুত কমানো সম্ভব বলে তিনি মনে করেন।

এসআর/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।