আমি স্বামী হত্যাকারীর ফাঁসি চাই


প্রকাশিত: ১০:১৮ এএম, ০৭ জুন ২০১৬

আমার সাজানো সংসারটা শেষ করে দেল। আমি এখন নিঃস্ব। আমার সব শেষ হয়ে গেল, কি নিয়ে বাঁচবো, আমার ছলেটা এতিম হয়ে গেল। মারা যাওয়ার আগে তার সঙ্গে কথা বলতি পারিনি। শুধু মুখখান দেহিছি। যে আমার স্বামীরে মেরে ফেলিছে আমি তার ফাঁসি চাই।

ছেলে মহিনকে (৪) জড়িয়ে ধরে এভাবেই বিলাপ করছিলেন নড়াইল সদর উপজেলার তুলারামপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ তুলারামপুর গ্রামের মৃত মুসা মোল্যার স্ত্রী পিয়ারী বেগম (২০)।

প্রতিবেশী মনিরুল ইসলাম জানান, পিয়ারীর স্বামী মুসা মোল্যা দিনমজুরের কাজ করতেন। গত শুক্রবার বিকেলে বাজার সদাই করতে তুলারামপুর বাজারে যান তিনি। কেনাবেচা নিয়ে প্রতিবেশী ফল বিক্রেতা তুহিন মোল্যার সঙ্গে হীরক সিকদারের বাগবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে হীরক সিকদার তুহিন মোল্যাকে ছুরি দিয়ে আঘাত করে। মুসা মোল্যা প্রতিরোধ করতে গেলে তার গলায় ছুরিকাঘাত করা হয়। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় সদর হাসপাতালে নেওয়ার পথে মুসা মারা যান। গুরুতর অবস্থায় তুহিনকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

পিয়ারী বেগম জানান, মহিনের আব্বা শুক্রবার দুপুরের খাবার খেয়ে বাজার সদাই করতে তুলারামপুর বাজারে যায়। পরে শুনি তিনি নড়াল (নড়াইল) হাসপাতালে মারা গেছেন। মরে যাবার আগে আমি তার সঙ্গে কথা কতি পারিনি। সেহানে যায়ে শুধু তার মুখখান দেহিছি। যে আমার ছলডারে এতিম করিছে, আমারে বিধবা বানাইছে আমি তার ফাঁসি চাই।

সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবাস বিশ্বাস বলেন, মুসা মোল্যা হত্যা ঘটনায় তার চাচা আব্দুর রশীদ মোল্যা বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় ছয়জনকে আসামি করা হয়েছে। মামলার চারজন আসামিকে ইতোমধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে।

এর মধ্যে প্রধান আসামি হীরক সিকদার, ছেলে অপু সিদার (১০), মোশফেক রহমান ও তার ভাই মন্নু। বাকি দুইজন আসামি পলাতক রয়েছে। তাদের গ্রেফতারে জার তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।

হাফিজুল নিলু/এফএ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।