ফরিদপুরে দুই বাসের সংঘর্ষে নিহত ৩
ফরিদপুর-মাগুরা মহাসড়কের ফরিদপুর সদর উপজেলার করিমপুরে দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে তিনজন নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন কমপক্ষে ১০যাত্রী।
দুর্ঘটনার পর ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে প্রায় এক ঘণ্টারও বেশি সময় যান চলাচল বন্ধ থাকে। পরে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের চেষ্টায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা হয়।
বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) সকাল ১০টার দিকে সদর উপজেলার কানাইপুরের করিমপুর-মল্লিকপুর এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন, গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার বাটিকামারি গ্রামের মরহুম মোহাম্মদ আলী মৃধার ছেলে বাসচালক আজিজুল হক (৬২), শহরের উত্তর টেপাখোলা মহল্লার আবুল কাশেম মোল্লার ছেলে আব্দুল মান্নান মোল্লা (৭৮) ও মধুখালী উপজেলার গড়িয়াদাহ এলাকার রেপতি বিশ্বাসের স্ত্রীর মিনতি রানী বিশ্বাস (৪২)।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, সকালে সদর উপজেলার কানাইপুরের করিমপুর-মল্লিকপুর এলাকায় ঢাকাগামী রয়েল পরিবহনের সঙ্গে ফরিদপুর থেকে ছেড়ে আসা একটি লোকাল বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এসময় ঘটনাস্থলেই লোকাল বাসের ৩ যাত্রী নিহত হন। দুই বাসের কমপক্ষে ১০ জন যাত্রী আহত হন। আহতদের উদ্ধার করে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনার পরপরই করিমপুর হাইওয়ে থানা পুলিশ উদ্ধার কার্যক্রম শুরু করে। তবে প্রাথমিকভাবে হতাহতদের নাম পরিচয় জানা সম্ভব হয়নি।
প্রত্যক্ষদর্শী ষাটোর্ধ্ব বৃদ্ধ করোম আলী জানান, ঢাকাগামী রয়েল পরিবহনের সঙ্গে ফরিদপুর থেকে ছেড়ে আসা মাগুরাগামী একটি লোকাল বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলে তিনজন নিহত হন। তবে দুটি বাসের গতি বেশি ছিল।
বিষয়টি নিশ্চিত করে করিমপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালাউদ্দিন চৌধুরী জাগো নিউজকে বলেন, দুটি বাসই দ্রুত গতিতে চলছিল। ধারণা করা হচ্ছে, চালকের অসতর্কতার কারণেই এই দুর্ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের তীব্রতায় দুটি বাসই দুমড়ে-মুচড়ে যায়। ঘটনাস্থলেই তিনজন নিহত হন। আহতদের উদ্ধার করে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। নিহতদের পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
এনকেবি নয়ন/এফএ/আরএইচ/এএসএম