নাটোরে সড়ক দুর্ঘটনা

একসঙ্গে জানাজা, একসঙ্গে দাফন একই পরিবারের ৪ জনের

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি কুষ্টিয়া
প্রকাশিত: ০৪:১৯ পিএম, ২৪ জুলাই ২০২৫

নাটোরের বড়াইগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত একই পরিবারের চারজনকে একসঙ্গে দাফন করা হয়েছে। বাকি চারজনকে পৃথক স্থানে দাফন করা হয়। বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) দুপুর ২টার দিকে কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের ধর্মদহ ফরাজিপাড়া কবরস্থানে তাদের পাশাপাশি দাফন করা হয়।

দুর্ঘটনায় নিহত জাহিদুল ইসলামের দুই ছেলে সিঙ্গাপুর থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে গ্রামের বাড়িতে এসে পৌঁছালে দুপুরে একসঙ্গে পরিবারের চারজনের নামাজের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।

নিহতরা হ‌লেন- ওই গ্রামের মৃত জিল্লুর রহমানের ছেলে জাহিদুল ইসলাম (৫৫), তার স্ত্রী সেলিনা খাতুন (৫০), তার ভাই শহিদুল ইসলামের স্ত্রী আনোয়ারা খাতুন আন্না (৫৫) ও মিজানুর রহমানের স্ত্রী আনোয়ারা খাতুন আনু (৫০), নিহত জাহিদুল ইসলামের বোন প্রাগপুর গ্রামের রফেজ চৌধুরীর স্ত্রী ইতি খাতুন (৪০), একই গ্রামের জয়নাল আবেদীনের ছেলে সাহাব হোসেন (৩৫), মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার বেতবাড়িয়া গ্রামের মোহাম্মদ আলীর স্ত্রী আঞ্জুমানারা (৭৫) এবং মেয়ে সীমা খাতুন (৩৫)।

একসঙ্গে জানাজা, একসঙ্গে দাফন একই পরিবারের ৪ জনের

নিহতরা মাইক্রোবাসে করে বাড়ি থেকে সিরাজগঞ্জে অসুস্থ রোগীকে দেখতে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে ট্রাকের ধাক্কায় তাদের মৃত্যু হয়।

এর আগে বুধবার সকাল ১০টার দিকে উপজেলার আইড়মারি এলাকার তরমুজ পাম্পের সামনে বনপাড়া-হাটিকুমরুল মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। তাদের মৃত্যু খবর পেয়ে স্বজনরা ও স্থানীয়রা ছুটে আসেন নিহতদের বাড়িতে। একসঙ্গে এতজনের মৃত্যুর ঘটনায় সবাই যেন বাকরুদ্ধ। তাদের এমন করুণ মৃত্যুতে কিছুতেই থামছে না শোকার্ত স্বজনদের আহাজারি।

একসঙ্গে জানাজা, একসঙ্গে দাফন একই পরিবারের ৪ জনের

এদিকে জাহিদুল ইসলামের বোন ও পাশের প্রাগপুর গ্রামের রফেজ চৌধুরীর স্ত্রী ইতি খাতুন (৪০), জাহিদুলের শাশুড়ি ও শ্যালিকা মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার বেতবাড়ীয়া গ্রামের মোহাম্মদ আলীর স্ত্রী আঞ্জুমানারা (৭৫) এবং মেয়ে সীমা খাতুনের (৩৫) মরদেহ নিজ গ্রামে আনা হয়। এরপর বৃহস্পতিবার সকালে স্থানীয় গোরস্থানে তাদের দাফন সম্পন্ন হয়।

নিহত জাহিদুলের চাচাতো ভাই অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য জানারুল ইসলাম বলেন, ‘সকাল ৭টার দিকে মাইক্রোবাসে করে সিরাজগঞ্জে রোগী দেখতে যাচ্ছিলেন সবাই। জাহিদুলের ছেলে সোহানের অসুস্থ স্ত্রীকে দেখতে যাচ্ছিলেন। এ সময় ট্রাকের ধাক্কায় আটজন মারা গেছেন। ধর্মদহ গ্রামের পাঁচজন মারা গেছেন। তাদের মধ্যে একজন মাইক্রোবাসের চালক।’

এ বিষয়ে স্থানীয় আদাবাড়িয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল বাকি বলেন, ‘এটি অত্যন্ত মর্মান্তিক ঘটনা। একই পরিবারের সদস্য এবং তাদের ঘনিষ্ঠ আত্মীয়রা একসঙ্গে মৃত্যুবরণ করেছেন। আমার ইউনিয়নে এমন ঘটনা এর আগে ঘটেনি।’

আল-মামুন সাগর/আরএইচ/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।