গরু চুরি করে মাঠে জবাই, মাংস নিয়ে রেখে গেলো চামড়া

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক বগুড়া
প্রকাশিত: ০৮:১১ পিএম, ২৭ জুলাই ২০২৫
মাংস নিয়ে চামড়া ফেলে গেছে চোরেরা

বগুড়ার আদমদীঘিতে নীলকন্ট বসাক নামের এক ব্যবসায়ীর গোয়ারঘরের তালা কেটে একটি গরু জবাই করে চামড়া রেখে মাংস নিয়ে গেছে চোর চক্র। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার ছাতিয়ানগ্রাম বসাকপাড়ায়।

এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ করার পর রোববার (২৭ জুলাই) সকালে তদন্তে নামে পুলিশ।

গরুর মালিক নীলকন্ট বসাক জানান, শুক্রবার (২৫ জুলাই) সন্ধ্যায় প্রতিদিনের মতো গরুটিকে খাওয়ানোর পর তিনি গোয়ালঘরে রেখে সান্তাহার হাউজিং কলোনির বাসায় চলে যান। পুরো বাড়ি ফাঁকা ছিল। সেই সুযোগে চোর চক্রটি বাড়ির প্রধান গেট এবং গোয়ালঘরের গেটের তালা কেটে গরুটি চুরি করে নিয়ে যায়। এরপর তার বাড়ি থেকে প্রায় ২০০ মিটার দূরে শিমুলতলী নামে একটি ইউক্যালিপটাস বাগানে গরুটি নিয়ে গিয়ে জবাই করে চোরেরা। সেখানে চামড়া ফেলে রেখে মাংস নিয়ে চলে যায় তারা। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ করেছেন তিনি।

ওই এলাকার আব্দুল মতিন নামের একজর পুকুর পাহারাদার বলেন, নীলকন্ট বসাক সপরিবারে সান্তাহারে থাকেন। তিনি রাতে পুকুর পাহারার পাশাপাশি তার গরুটির দিকেও খেয়াল রাখতেন। শুক্রবার রাতে চোরেরা গোয়ালঘর থেকে গরুটি নির্জন বাগানে নিয়ে গিয়ে জবাই করে মাংস চুরি করে পালিয়ে যায়। সকালে গোয়ালঘরের তালাকাটা দেখে স্থানীয়রা তাকে জানান। পরে তিনি গরুটি খুঁজতে শুরু করেন। শিমুলতলীর ইউক্যালিপটাস বাগানে গরুর চামড়া, রশি, গোবর পড়ে থাকতে দেখেন।

এ বিষয়ে আদমদীঘি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এখন পর্যন্ত কাউকে চিহ্নিত করা যায়নি। আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। আশা করি, খুব শিগগির দোষীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হবে।

তিনি আরও বলেন, ওই এলাকায় কিছুদিন আগে তিনি নিজেই রাত্রিকালীন টহল দিচ্ছিলেন। এসময় চোরেরা গরু চুরি করে সড়কে আনার পর পুলিশের গাড়ি দেখে গরু রেখে পালিয়ে যায়।

‘প্রতি রাতে আমাদের পুলিশি টহল চলে ওই এলাকায়। গরু নিয়ে পালাতে পারবে না ভেবে হয়তো চোর তাদের চুরির ধরন পাল্টিয়েছে’, যোগ করেন ওসি মোস্তাফিজুর রহমান।

এসআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।