পুলিশের খাতায় পলাতক আসামি বিএনপি নেতা, দেখা গেলো বিজয় র‌্যালিতে

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি নেত্রকোনা
প্রকাশিত: ০৭:২২ পিএম, ০৬ আগস্ট ২০২৫

নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় ৫ আগস্টের র‌্যালিতে খোকন আহমেদ নামে এক আসামিকে দেখা গেছে।

সরকারি চাল নিজের গুদামে অবৈধভাবে মজুত রাখার মামলায় বিএনপি নেতা খোকন আহমেদের বিরুদ্ধে মামলা হয়। এরপর থেকে তিনি পুলিশের খাতায় পলাতক আসামি। তবে তাকে ৫ আগস্টের র‌্যালিতে প্রকাশ্যে দেখা গেছে। এতে এলাকায় সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।

অভিযুক্ত মো. খোকন আহমেদ (৫০) নেত্রকোনার কেন্দুয়া পৌর বিএনপির সভাপতি। তিনি কেন্দুয়া পৌরসভার বাদেআঠারো বাড়ি এলাকার বাসিন্দা এবং ওই এলাকায় তার মালিকানাধীন মেসার্স নাহার ট্রেডার্স নামে একটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে।

এদিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ছবি ও ভিডিওতে খোকন আহমেদকে ৫ আগস্টের বিজয় র‌্যালিতে সামনের সারিতে ব্যানার হাতে দেখা গেছে। ওই মিছিলে তার কাছাকাছি ছিলেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব ড. রফিকুল ইসলাম হিলালী।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপি নেতা খোকন আহমেদ বলেন, বিজয় র‌্যালিতে ছিলাম। আজকেও জেলায় রয়েছি।

তবে জামিন নিয়েছেন কি না এ ধরনের প্রশ্নে কিছুটা নীরব থেকে বলেন, এ বিষয়টা পরে জানাবো।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ২০ জুন রাত ৮টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কেন্দুয়া পৌর-শহরের আঠারো বাড়ি এলাকায় খোকনের মালিকানাধীন মেসার্স নাহার ট্রেডার্সে অভিযান চালায় সেনাবাহিনী। গুদাম থেকে অবৈধভাবে মজুত করা ৩০৪ বস্তা চাল জব্দ করা হয়, যার ওজন প্রায় ১৩ হাজার ৮৫৪ কেজি। এসব চালের বাজার মূল্য আনুমানিক পাঁচ লাখ ৫৪ হাজার ১৬০ টাকা।

অভিযানের সময় খোকন আহমেদকে একাধিকবার মোবাইলে কল করে ডাকা হলেও তিনি উপস্থিত হননি। একপর‌্যায়ে তিনি মোবাইল বন্ধ করে দেন। এ ঘটনায় আদালতের নির্দেশে ১ জুলাই খোকনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়। তারপর থেকে তিনি এলাকায় ঘোরাঘুরি করলেও অদৃশ্য কারণে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেনি।

এ বিষয়ে কেন্দুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, খোকন আহমেদের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে। তিনি জামিন নেননি, পলাতক রয়েছেন। তিনি গতকালের র‌্যালিতে ছিলেন, এটা আমাদের চোখে পড়েনি।

এইচ এম কামাল/জেডএইচ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।