পাবনা-১

নিজামীর ছেলে দাঁড়িপাল্লার প্রার্থী, ধানের শীষ চান অনেকেই

আলমগীর হোসাইন আলমগীর হোসাইন , জেলা প্রতিনিধি পাবনা
প্রকাশিত: ০৮:৪৩ পিএম, ০৬ আগস্ট ২০২৫
ছবিতে ব্যারিস্টার নাজিবুর রহমান মোমেন, এমএ আজীজ, হাজী ইউনুস আলী ও মাসুদুল হক মাসুম

চব্বিশের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই ফ্যাসিবাদবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর দাবি ছিল দ্রুত একটা গ্রহণযোগ্য জাতীয় নির্বাচন। তবে সুস্পষ্ট নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণা নিয়ে ধোঁয়াশায় রেখেছিল অন্তর্বর্তী সরকার। আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে সংসদ নির্বাচন আয়োজনে সিইসিকে চিঠি দেবেন এ তথ্য জানিয়ে ধোঁয়াশা দূর করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে পঁচিশের ৫ আগস্ট জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণে তিনি এ ঘোষণা দেন। এর পরদিন ৬ আগস্ট প্রধান নির্বাচন কমিশনার এএমএম নাসির উদ্দিনও জানান ছাব্বিশের ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে রমজানের আগেই ভোট আয়োজনের প্রস্তুতির কথা।

এর ফলে সারাদেশে ভোটের আবহ তৈরি হয়েছে। যদিও সম্প্রতি নির্বাচনের ঘোষণা আসলেও পাবনার পাঁচটি সংসদীয় আসনের কয়েকটিতে নির্বাচনী উত্তেজনা বা প্রতিযোগিতাপূর্ণ পরিবেশ সৃষ্টি হয় অনেক আগ থেকেই। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর তা আরও বেগবান হবে বলেই ধারণা করা হচ্ছে।

এরমধ্যে জেলার সাঁথিয়া ও বেড়া উপজেলার একাংশ নিয়ে গঠিত পাবনা-১ আসন অন্যতম। পাবনার অন্য চারটি আসনের জন্য চারজন মনোনয়ন প্রত্যাশীকে নির্বাচনে অংশ নিতে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা প্রাথমিকভাবে নির্দেশনা দিলেও এ আসন থেকে এখনো কাউকেই তেমন নির্দেশনা দেওয়া হয়নি।

মানুষ ভোট দেওয়ার জন্য মুখিয়ে আছেন। কিন্তু দেশে এখনো ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার নির্বাচন অনুষ্ঠানের পরিবেশ সৃষ্টি হয়নি। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির পরিবর্তন ও কাঠামোগত সংস্কার ছাড়া সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব না। কারণ ভোটকেন্দ্র দখল, ভোট কাটাসহ জনগণ এখনো নানারকম ভীতির মধ্যে রয়েছে। এক্ষেত্রে আগে এ জায়গা থেকে জনগণকে শঙ্কামুক্ত করা উচিত।

ফলে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশীরা জনসংযোগ বাড়ানোর পাশাপাশি মনোনয়ন দৌড়েও এগিয়ে থাকার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন। স্থানীয়রা বলছেন, সবকিছু ছাপিয়ে আগামী নির্বাচনে এ আসনে জমজমাট প্রতিদ্বন্দ্বিতা হতে পারে জামায়াত প্রার্থী ও বিএনপি প্রার্থীর মধ্যে।

এ আসনে জামায়াত তথা দাঁড়িপাল্লা মার্কার প্রার্থী মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে শেখ হাসিনা গঠিত ট্রাইব্যুনালে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত জামায়াতের সাবেক আমির মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীর ছেলে ব্যারিস্টার নাজিবুর রহমান মোমেন। বিএনপি এ আসনে এখনও প্রার্থী দেয়নি। তবে দলটির মনোনয়ন প্রত্যাশী অনেক।

আমার রাজনৈতিক পরিচয়ের বাইরেও নিজ নির্বাচনী এলাকায় দলমত নির্বিশেষে একটি বড় সমর্থন রয়েছে। তারাই আগামী নির্বাচন নিয়ে আমাকে আশাবাদী করে তুলেছে। দলীয় হাইকমান্ডের পক্ষ থেকেও ওই এলাকায় আমাকে প্রার্থী করার বিভিন্ন ইঙ্গিত পেয়েছি। এক্ষেত্রে মনোনয়ন নিয়েও আমি আশাবাদী। আর ভোট ও বিজয়ের ক্ষেত্রে বলবো- জামায়াতের সুনির্দিষ্ট কিছু ভোট ছাড়া অন্য সবাই আমাকে সমর্থন যোগাচ্ছে।

এরইমধ্যে এ আসনের সাবেক এমপি ও আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক আবু সাইয়িদেরও এবার নির্বাচনে অংশ নেওয়ার গুঞ্জন উঠেছে। তবে আওয়ামী ঘরানার এই প্রার্থী শেষ পর্যন্ত নির্বাচন করতে পারবেন কি-না তা নিয়ে সংশয় আছে।

স্থানীয় নির্বাচন কমিশনের তথ্যানুযায়ী, জেলার সাঁথিয়া ও বেড়া উপজেলার একটি পৌরসভা ও চারটি ইউনিয়ন নিয়ে এ আসন গঠিত। সাঁথিয়া উপজেলার ১ লাখ ৫৬ হাজার ১৮২ জন নারী, ১ লাখ ৬৪ হাজার ৪১৫ জন পুরুষ ও একজন তৃতীয় লিঙ্গেরসহ মোট ভোটার ৩ লাখ ২০ হাজার ৫৯৯ জন। একইভাবে বেড়ার একাংশে তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার না থাকলেও নারী ও পুরুষ মিলিয়ে ১ লাখ ২২ হাজার ১৪০ জনসহ জুনের শেষ সপ্তাহ পর্যন্ত এ আসনে মোট ভোটার ৪ লাখ ৪২ হাজার ৭৩৯ জন।

আবু সাইয়িদ ফ্যাসিবাদের দোসর। ৫ আগস্টের পরও তিনি নিজ বাড়িতে বৈঠক করে আবার তার প্রমাণ দিয়েছেন। তিনি ফ্যাসিবাদের পুনরুজ্জীবন ঘটানোর চেষ্টা করছেন। এরা তো আগামী কয়েকটা নির্বাচনে প্রার্থী হবার নৈতিক অধিকারই রাখেন না। স্থানীয় জনগণও প্রার্থী হিসেবে তাদের মেনে নেবে না।

তথ্য বলছে, ১৯৯১ ও ২০০১ সালে এ আসনটি জামায়াতে ইসলামীর দখলে ছিল। মানবতাবিরোধী অপরাধে হাসিনার ট্রাইব্যুনালে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত জামায়াতের সাবেক আমির মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী দুই মেয়াদে এ আসনটিতে সংসদ সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এরপর আর জামায়াত এ আসনটি দখলে নিতে পারেনি। এছাড়া ১৯৮৬ সালে জাতীয় পার্টির ও ১৯৯৬ সালে অসম্পূর্ণ মেয়াদে মনজুর কাদের এ আসনে বিএনপির এমপি ছিলেন। ১৯৯৬ সালের জুন থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্যের দায়িত্ব পালন করেন অধ্যাপক আবু সাইয়িদ। এরপর আওয়ামী লীগের পক্ষে ২০০৮ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত এ আসনটি দখলে রেখেছিলেন সাবেক ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকু। টুকু ও তার ছেলের তাণ্ডবের কারণে এসময়টা বেড়া-সাাঁথিয়াবাসীর কাছে এক শোষণ ও ভীতির অধ্যায় হিসেবে পরিচিত বলে থাকেন স্থানীয়রা। বাপ-ছেলের রোষানল থেকে রেহাই পায়নি টুকুর আপন ভাই-ও।

এ আসনে বিএনপির পক্ষ থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী রয়েছেন অন্তত ৮ থেকে ১০ জন। এদের মধ্যে দেশবরেণ্য সাংবাদিক ও টকশো ব্যক্তিত্ব এম এ আজিজ ও মনজুর কাদের অন্যতম। এছাড়া সাঁথিয়া উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ভিপি শামসুর রহমান, বর্তমান আহ্বায়ক খায়রুন্নাহার খানম মিরু, কেন্দ্রীয় তাঁতীদলের সহ-সভাপতি হাজী ইউনুস আলী, সাবেক ছাত্রনেতা ডা. মীর মো. শফিকুল ইসলাম, সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা মো. সালাহ উদ্দিন খান ও কেন্দ্রীয় যুবদলের সদস্য মাসুদুল হক মাসুমসহ আরও কয়েকজন এ সংসদ নির্বাচনে বিএনপির ধানের শীষের কাণ্ডারি হতে চাইবেন। এ লক্ষ্যে প্রায় সবাই এরইমধ্যে মাঠে কর্মী ও জনসংযোগ শুরু করেছেন। কেউ কেউ বাজার বা বিভিন্ন এলাকা ঘুরে ঘুরে দোয়া প্রত্যাশী লিফলেট বিতরণের মাধ্যমে পরিচিতি বাড়ানোর চেষ্টা করছেন। যারা বছরজুড়েই লোকাল রাজনীতি করেন তারা আবার স্থানীয় কর্মী-সমর্থক নিয়ে উঠোন বৈঠক, কর্মিসভা বা আলোচনা সভার মধ্য দিয়ে নিজের অবস্থান বাড়াতে চাইছেন। একইসঙ্গে দলীয় টিকিট পেতে কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়িয়েছেন এসব নেতা।

তবে অধিকাংশের তুলনায় এ আসনে সংস্কারপন্থী নেতা সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক আবু সাইয়িদের জনপ্রিয়তা তুলনামূলক বেশি বলে দাবি তার কর্মী সমর্থকদের। গত কয়েকটি নির্বাচনে স্বতন্ত্র ও গণফোরামের প্রার্থী হয়ে সাবেক ডেপুটি স্পিকার টুকুর কাছে হেরে যান তিনি। এসব নির্বাচনে অনিয়ম ও ভোট ডাকাতির অভিযোগও উত্থাপন করেন তিনি। গণমাধ্যম ও বিভিন্ন মাধ্যমে এসব নির্বাচনে কেন্দ্র দখলে ভোট ডাকাতিসহ স্পষ্ট অনিয়মের প্রমাণ মেলে।

ছবিতে সালাহ উদ্দিন খান, ভিপি শামসুর রহমান ও অধ্যাপক আবু সাইয়িদছবিতে সালাহ উদ্দিন খান, ভিপি শামসুর রহমান ও অধ্যাপক আবু সাইয়িদ

এ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনারও সৃষ্টি হয়। প্রবীণ রাজনীতিবিদ ও ভিন্ন ইমেজের হওয়ায় এবারের নির্বাচনেও এ আসনে আবু সাইয়িদ একটি বড় ফ্যাক্টর বলে মনে করছেন অনেকে। যদিও ৫ আগস্টের পর তার বিরুদ্ধেও মামলা হয়েছে। তবে ২০২৬ সালের সংসদ নির্বাচনে তার অংশগ্রহণ নিয়ে অনিশ্চয়তা থাকলেও সুষ্ঠু ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচনী পরিবেশ বা লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড পেলে তার নিজ নির্বাচনী এলাকার মানুষের পালস বিবেচনা করে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান অধ্যাপক আবু সাইয়িদ।

কোনো দলের পক্ষ থেকে নির্বাচনে অংশ নেবেন কি না এ বিষয়টি পরিষ্কার করেননি তিনি। এখনো নির্বাচনী সুষ্ঠু পরিবেশ সৃষ্টি হয়নি জানিয়ে তিনি বলেন, পরিস্থিতি একই থাকলে কোনোভাবেই নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হবে না। এক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসনকে স্বাধীন ও নিরপেক্ষ হতে হবে।

এদিকে এ আসনটি জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমির মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীর হওয়ায় শক্ত অবস্থান রয়েছে জামায়াত মনোনীত প্রার্থী নিজামীর ছেলে ব্যারস্টিার নাজিবুর রহমান মোমেনের। কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে এরইমধ্যে কয়েকটি বড় সভা-সমাবেশও করেছেন তিনি। এছাড়া ক্রমাগত চালিয়ে যাচ্ছেন জনসংযোগ। উচ্চ শিক্ষিত, ভালো ব্যবহার ও নেতৃত্বের গুণাবলির কারণে স্থানীয় জামায়াত নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের কাছে বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছেন তিনি।

অনেকের ধারণা ব্যারস্টিার নাজিবুর রহমান মোমেন এই আসনে বিএনপির প্রার্থীর শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী হবেন।

এ বিষয়ে কথা হয় ব্যারিস্টার নাজিবুর রহমান মোমেনের সঙ্গে। জাগো নিউজকে তিনি বলেন, মানুষ ভোট দেওয়ার জন্য মুখিয়ে আছে। কিন্তু দেশে এখনো ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার নির্বাচন অনুষ্ঠানের পরিবেশ সৃষ্টি হয়নি। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির পরিবর্তন ও কাঠামোগত সংস্কার ছাড়া সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব না। কারণ ভোটকেন্দ্র দখল, ভোট কাটাসহ জনগণ এখনো নানারকম ভীতির মধ্যে রয়েছে। এক্ষেত্রে আগে এ জায়গা থেকে জনগণকে শঙ্কামুক্ত করা উচিত।

সমর্থন বিবেচনায় মাঠের পরিস্থিতি জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রতিপক্ষকে ছোট করে দেখার সুযোগ নেই। তবে এখনো যে তথ্য রয়েছে তাতে আমাদের অবস্থান ইতিবাচক। তাছাড়া আমরা ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য এতোটা ডেসপারেট না। জনগণ যাকে ইচ্ছা ভোট দিয়ে ক্ষমতায় আনুক। আমরা চাই জনগণ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারুক।

এসময় বিএনপি মনোনীত প্রার্থীকে প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে গ্রহণ করলেও অধ্যাপক আবু সাইয়িদকে প্রত্যাখান করে তিনি বলেন, আবু সাইয়িদ ফ্যাসিবাদের দোসর। ৫ আগস্টের পরও তিনি নিজ বাড়িতে বৈঠক করে আবার তার প্রমাণ দিয়েছেন। তিনি ফ্যাসিবাদের পুনরুজ্জীবন ঘটানোর চেষ্টা করছেন। এরা তো আগামী কয়েকটা নির্বাচনে প্রার্থী হবার নৈতিক অধিকারই রাখেন না। স্থানীয় জনগণও প্রার্থী হিসেবে তাদের মেনে নেবে না।

তবে সব হিসাবের বাইরে এম এ আজিজ, মো. সালাহ উদ্দিন খান ও মনজুর কাদেরসহ বিএনপির কয়েকজন সম্ভাব্য প্রার্থীর অবস্থানও একেবারে হালকা নয়। তাদের ব্যাপক জনসমর্থন রয়েছে। মনোনয়ন পাওয়া সাপেক্ষে তাদের মধ্য থেকেও জনপ্রতিনিধি বেরিয়ে আসার সম্ভাবনাও কম নয়।

নির্বাচনের বিষয়ে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী মনজুর কাদেরের সঙ্গে চেষ্টা করেও ফোন রিসিভ না করায় যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তবে একই দলের আরেক মনোনয়ন প্রত্যাশী সাংবাদিক ও টকশো ব্যক্তিত্ব এম এ আজিজ বলেন, আমার রাজনৈতিক পরিচয়ের বাইরেও নিজ নির্বাচনী এলাকায় দলমত নির্বিশেষে একটি বড় সমর্থন রয়েছে। তারাই আগামী নির্বাচন নিয়ে আমাকে আশাবাদী করে তুলেছে। দলীয় হাইকমান্ডের পক্ষ থেকেও ওই এলাকায় আমাকে প্রার্থী করার বিভিন্ন ইঙ্গিত পেয়েছি। এক্ষেত্রে মনোনয়ন নিয়েও আমি আশাবাদী। আর ভোট ও বিজয়ের ক্ষেত্রে বলবো- জামায়াতের সুনির্দিষ্ট কিছু ভোট ছাড়া অন্য সবাই আমাকে সমর্থন যোগাচ্ছে। সবমিলিয়ে নির্বাচনে অংশ নেবার সুযোগ হলে বিজয় নিয়ে আমি দারুণ আশাবাদী।

এছাড়া এনসিপির কমিটি বা কার্যক্রম না থাকায় পাবনা-১ আসনে তাদের নিয়ে কোনো আলোচনা না থাকলেও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশসহ অন্যান্য কয়েকটি দলের সম্ভাব্য প্রার্থীরাও নিজেদের মতো করে প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তবে কাউকেই বাইরে দেখা যাচ্ছে না।

এদিকে এ আসনে গণঅধিকার পরিষদের পক্ষ থেকে এখনো তেমন সম্ভাব্য প্রার্থী নেই বলে জানিয়েছেন দলটির স্থানীয় সিনিয়র কয়েকজন নেতা।

এএইচআইএন/এসএইচএস/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।