তিস্তার পানি বিপৎসীমার ওপরে, বন্যার শঙ্কা

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি লালমনিরহাট
প্রকাশিত: ০৮:২২ পিএম, ০৫ অক্টোবর ২০২৫

কয়েক দিনের টানা ভারী বর্ষণ ও উজানের পাহাড়ি ঢলে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে। রোববার (৫ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৬টায় দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়া পয়েন্টে ৫২ দশমিক ২৫ মিটার পানির প্রবাহ রেকর্ড করা হয়েছে। যা বিপৎসীমার ১০ সেন্টিমিটার ওপরে। এতে নিম্নাঞ্চলে বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, সোমবার সকাল ৯টা পর্যন্ত অন্তত ১২ ঘণ্টা তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার ওপরে প্রবাহিত হতে পারে। এর ফলে লালমনিরহাট, নীলফামারী, রংপুর ও কুড়িগ্রামের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, দুদিনের ভারী বৃষ্টিপাত ও উজানের ঢলে তিস্তা নদীর পানি ক্রমাগত বাড়ছে। রোববার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ১২ ঘণ্টায় পানি বেড়েছে প্রায় ৮০ সেন্টিমিটার। সকাল ৯টায় বিপৎসীমার ৬৫ সেন্টিমিটার নিচে থাকলেও দুপুরে সেটি বেড়ে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হতে শুরু করে।

এতে নদীর তীরের বহু পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। ডুবে গেছে মাছের খামার, রোপা আমন, শাকসবজির খেত ও চরাঞ্চলের রাস্তাঘাট। নৌকায় চলাচল করছে চরাঞ্চলের মানুষ।

তিস্তার পানি বিপৎসীমার ওপরে, বন্যার শঙ্কা

সিন্দুর্না এলাকার বাসিন্দা রইচ উদ্দিন বলেন, দুপুরের পর থেকে নদীতে পানি বাড়ছে। নিম্নাঞ্চলের ঘরবাড়ি পানিতে তলিয়ে গেছে। বন্যার আশঙ্কায় রয়েছি।

লালমনিরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. শায়খুল আরিফিন জাগো নিউজকে বলেন, তিস্তা তীরবর্তী এলাকায় বর্তমানে রোপা আমন, চিনা বাদাম ও সবজির চাষ চলছে। পানি যদি তিন থেকে চার দিন স্থায়ী হয় তাহলে কৃষকদের ব্যাপক ক্ষতি হবে। তবে এক থেকে দুই দিনের মধ্যে পানি নেমে গেলে ক্ষতি তুলনামূলক কম হবে।

লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সুনিল কুমার বলেন, ভারী বৃষ্টি ও উজানের ঢলের কারণে তিস্তার পানি বাড়ছে। আগামী ১২ ঘণ্টা পর্যন্ত এ প্রবণতা থাকতে পারে। আমরা পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি।

মহসীন ইসলাম শাওন/আরএইচ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।