খুলনার বাজারে চড়া সবজির দাম
খুলনার বাজারে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে সবজি। মাছের দামও কমেনি। খুচরা ব্যবসায়ীদের দাবি, বৃষ্টি ও সরবরাহ না থাকায় সবজির দাম বেড়েছে।
রোববার (১২ অক্টোবর) খুলনার নতুন বাজার, মিস্ত্রি পাড়া বাজার, জোড়াকল বাজার ও নিউ মার্কেট বাজার ঘুরে এমনটা জানা যায়।
বাজার ঘুরে দেখা যায়, সবজির বাজারে, টমেটো ১২০, পটোল ৬০, চিচিঙ্গা ৬০ ও কচুমুখি ৩০ টাকা কেজি, চায়না গাজর ১৪০, মোটা গোল বেগুন ১২০ ও শসা ৬০ টাকা, ধুন্দল ৬০, শিম ১২০-১৪০ টাকা, কাঁকরোল ৭০ ৮০ টাকা, ঝিঙে ৬০-৭০, চিকন বেগুন ৬০-৭০ টাকা, ঢ্যাঁড়স ৭০-৮০, মিষ্টি কুমড়া ৫০ টাকা, পেঁপে ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। কাঁচামরিচ ২৮০-৩২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

মাংসের বাজারে, ব্রয়লার মুরগি ১৭০-১৮০ টাকা কেজি দরে, সোনালি ২৭০-২৮০ টাকা কেজি দরে ও লেয়ার ২৯০-৩০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। গরুর মাংস ৭৫০ টাকা কেজি দরে ও খাসির মাংস ১১৫০ টাকা থেকে ১২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
মাছের বাজারে, রুই মাছ আকারভেদে ৩০০-৩৫০ টাকা, ভেটকি মাছ আকারভেদে ৬০০-৮০০ টাকা কেজি, তেলাপিয়া ২০০ টাকা, পাবদা ৪০০-৪৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এক কেজি ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ২২০০-২৩০০ টাকা কেজি দরে, ৭০০-৮০০ গ্রামের ইলিশের দাম ১৭০০-১৮০০ টাকা কেজি, ৪ থেকে ৫টি মিলিয়ে এক কেজি ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৬০০-৭০০ টাকা কেজি দরে।

সবজি বাজারের খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, ফের কয়েকদিন বৃষ্টি হওয়ায় সবজির দাম বেড়েছে। মাঝে সব সবজির দাম প্রায় কেজিতে ১০-১৫ টাকা কমেছিলো। তবে সরবরাহ বাড়লে আর শীতকালীন সবজি উঠতে শুরু করলে দাম আরো কমে যাবে।
পাইকারি বাজারে আড়তদাররা জানান, বাজারে সবজির সরবরাহ কম কিন্তু চাহিদা অনেক বেশি। বৃষ্টির কারণে সবজি না আসায় সব সবজির দাম কিছুটা বাড়তি। এরপর তো পরিবহন ব্যয়ও বেড়েছে। এজন্য দাম কিছুটা বেড়েছে।

জোড়াকল বাজারের খুচরা সবজি ব্যবসায়ী আলফাজ করিম বলেন, শীতকালীন কিছু সবজি উঠলেও চড়া দাম। ক্রেতাদের সব সবজির চাহিদাই বেশি। দাম বেশি হওয়ায় অনেকে কম কম সবজি ক্রয় করছেন। তবে সরবরাহ বাড়লে দাম আরো কমে যাবে। কাঁচামরিচরে দামও কেজিতে ৫০-৬০ টাকা বেশি দিয়ে পাইকার বাজার থেকে কিনে আনতে হয়। আমাদের তো সীমিত লাভ হয়।
জোড়াকল বাজারে বাজারে আসা তাহমিদা হক বলেন, ১০০ টাকায় এক পদে সবজি কেনাও কষ্টকর হয়ে পড়েছে। প্রতিদিন দাম বাড়ে। কমে মাত্র ১০ টাকা। কোনো সবজি ৫০ টাকার নিচে নেই। আর মাছের বাজারেও একই অবস্থা। সব ধরনের মাছের দাম বাড়তি। তিনি আরো বলেন, নিয়মিত বাজার মনিটরিং করলে ও সিন্ডিকেট ভাঙলে দাম এমনিই কমে যাবে বলে দাবি তার।
আরিফুর রহমান/এমএন/এমএস