রংপুরে বেড়েছে ডিমের দাম
রংপুরের বাজারে সপ্তাহের ব্যবধানে দাম বেড়েছে পোলট্রি মুরগির ডিমের। অপরিবর্তিত রয়েছে প্রায় সবধরনের সবজির দাম। এছাড়া মাছ, মাংস, চাল, ডাল ও তেলের দামও রয়েছে আগের মতো।
মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) রংপুর নগরীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, খুচরা বাজারে পোলট্রি মুরগির ডিমের হালি বিক্রি হচ্ছে ৪৬-৪৮ টাকা। যা গত সপ্তাহে ছিল ৪৪-৪৬ টাকা। আর পাইকারি বাজারে একশত ডিম বিক্রি হচ্ছে ১০৫০ থেকে ১১০০ টাকা। সেই হিসেবে প্রতিহালি ডিমের দাম পড়ছে ৪২ থেকে ৪৪ টাকা।

মুলাটোল আমতলা বাজারের মুদি দোকানি ভুট্টু মিয়া বলেন, দুদিন আগেও ডিমের হালি ৪৪-৪৬ টাকা ছিল। আজ দাম বেড়েছে।
এছাড়া খুচরা বাজারে পেঁয়াজ ৭০-৭৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। কাঁচামরিচ গতকাল ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও আজ খুচরা বাজারে ১৪০-১৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
লালবাগ বাজারের কাঁচামরিচ বিক্রেতা লিটন মিয়া বলেন, গতকাল কাঁচামরিচ খুচরা বাজারে ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। আজ হঠাৎ করে দাম বেড়েছে। পাইকারি বাজারে পাঁচ কেজি কাঁচামরিচের দাম পড়ছে ৬০০ টাকা।

সবজি বাজার ঘুরে দেখা যায়, খুচরা পর্যায়ে টমেটো ও গাজর গত সপ্তাহের মতোই ১৪০-১৬০ টাকা, কাঁকরোল ৬০-৭০ টাকা, ঝিংগা ৭০-৮০ টাকা, মুলা ৩০-৪০ টাকা, ফুলকপি ১২০-১৩০ টাকা, চালকুমড়া (আকারভেদে) ৫০-৬০ টাকা, কাঁচকলা ২৫-৩০ টাকা হালি, চিকন বেগুন ৭০-৮০ টাকা থেকে কমে ৫০-৬০ টাকা, গোল বেগুন ৮০-১০০ টাকা
ঢ্যাঁড়স ৭০-৮০ টাকা থেকে কমে ৬০-৭০ টাকা, পটল ৫০-৬০ টাকা, বরবটির ৭০-৮০ টাকা, শিম ১৬০-১৮০ টাকা থেকে বেড়ে ১৮০-২০০ টাকা, পেঁপে ২০-২৫ টাকা, শসা আগের মতোই ৩০-৪০ টাকা, করলা ৭০-৮০ টাকা, লাউ (আকারভেদে) ৩০-৫০ টাকা, কচুরলতি ৫০-৬০ টাকা, কচুর ২৫-৩০ টাকা, লেবুর হালি ২৫-২০ টাকা, ধনেপাতা ২৫০-৩০০ টাকা থেকে কমে ১৮০-২০০ টাকা এবং মিষ্টি কুমড়া ৫০-৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
অপরদিকে দেশি আদা ১৪০-১৬০ টাকা, আমদানি করা আদা ১৮০-২০০ টাকা, দেশি রসুন আগের মতোই ১০০-১২০ টাকা, আমদানি করা রসুন ১৮০-২০০ টাকা, শুকনা মরিচ আগের মতো ৩৫০-৪০০ টাকা এবং সব ধরনের শাক ১০-২০ টাকা আঁটি দরে বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে কার্ডিনাল আলু গত সপ্তাহের মতোই ১৫-২০ টাকা, শিল আলু ৪০-৪৫ টাকা, ঝাউ আলু ৪০-৪৫ টাকা, দেশি সাদা আলু ২৫-৩০ টাকা এবং বগুড়ার লাল পাগড়ি ২৫-৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
স্টেশন বাজারের সবজি বিক্রেতা আরমান হোসেন বলেন, বাজারে শীতকালীন সবজির সরবরাহ সামান্য পরিমাণে আসতে শুরু করেছে। সামনে যত দিন যাবে ততই শীতকালীন সবজির আমদানি বাড়বে। এতে সবজির দাম কিছুটা কমতে পারে বলে আশা করা যাচ্ছে। তবে গত সপ্তাহের তুলনায় সবজির দাম বেশি একটা হেরফের হয়নি বলেও তিনি জানান।

মুরগির বাজার ঘুরে দেখা যায়, ব্রয়লার মুরগি গত সপ্তাহের মতোই ১৭০-১৮০ টাকা, পাকিস্তানি সোনালি মুরগি ২৯০-৩০০ টাকা, পাকিস্তানি হাইব্রিড জাতের মুরগি ২৭০-২৮০ টাকা এবং দেশি মুরগি ৪৮০-৫০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে গরুর মাংস অপরিবর্তিত ৭২০-৭৫০ টাকা এবং ছাগলের মাংস ১০০০-১২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
খুচরা বাজারে এক লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল আগের মতো ১৮৫-১৯০ টাকা এবং খোলা সয়াবিন তেল ১৮০-২০০ টাকা, মসুর ডাল (চিকন) ১৫০-১৬০ টাকা, মাঝারি ১০০-১১০ টাকা, মুগডাল ১৬০-১৮০ টাকা, বুটের ডাল ১২০-১৩০ টাকা, খোলা চিনি ১১০ টাকা, ছোলাবুট ১০০-১১০ টাকা, প্যাকেট আটার দাম ৫৫ টাকা, খোলা আটা ৪৫-৫০ টাকা এবং ময়দা ৬৫-৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
চালের বাজার ঘুরে দেখা যায়, গত সপ্তাহের মতোই স্বর্ণা (মোটা) ৪৮-৫০ টাকা, স্বর্ণা (চিকন) ৫৮-৬০ টাকা, বিআর২৮- ৭০-৭৫ টাকা, বিআর২৯- ৬০-৬৫ টাকা, জিরাশাইল ৭২-৭৫ টাকা, মিনিকেট ৮৫-৯০ এবং নাজিরশাইল ৯০-৯৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
মাছের বাজার ঘুরে দেখা যায়, আকারভেদে রুইমাছ ৩০০-৩৮০ টাকা, টেংরা ৪০০-৫৬০ টাকা, মৃগেল ২২০-২৫০ টাকা, কারপু ২৫০-২৬০ টাকা, পাঙাশ ১৫০-২০০ টাকা, তেলাপিয়া ২০০-২৫০, কাতল ৩০০-৫০০ টাকা, বাটা ১৮০-২৪০ টাকা, শিং ৩০০-৪০০ টাকা, সিলভার কার্প ১৮০-২৬০ টাকা এবং গছিমাছ ৮০০-১২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
জিতু কবীর/এমএন/জিকেএস