ঘুস নেওয়ার অভিযোগে ভূমি কার্যালয়ের নারী কর্মচারীকে বরখাস্ত

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি নীলফামারী
প্রকাশিত: ০৫:২৭ পিএম, ১৩ নভেম্বর ২০২৫

নীলফামারী ডিমলায় ঘুস নেওয়ার অভিযোগে উপজেলা ভূমি কার্যালয়ের এক নারী কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। সম্প্রতি তার ঘুস গ্রহণের একটি ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হওয়ার পর এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ নায়িরুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করছেন। এর আগে বুধবার বিকেলে জেলা প্রশাসকের স্বাক্ষরিত এক আদেশে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

বরখাস্ত ওই নারী কর্মচারী হলেন- হাসফিয়া আক্তার বানু চৌধুরী। তিনি ডিমলা উপজেলার পশ্চিম ছাতনাই ইউনিয়ন ভূমি কার্যালয়ে জারিকারক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

আদেশে বলা হয়, হাসফিয়া আক্তার বানু চৌধুরী বর্তমানে ডিমলা উপজেলার পশ্চিম ছাতনাই ইউনিয়ন ভূমি কার্যালয়ে জারিকারক হিসেবে কর্মরত আছেন। এর আগে তিনি নীলফামারী সদর উপজেলা ভূমি অফিসে ছিলেন। সম্প্রতি তার বিরুদ্ধে জমির নামজারি সংক্রান্ত কাজে ঘুস নেওয়ার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার হয়। ভিডিওটি প্রচারের পর সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীর শৃঙ্খলা ও আপিল বিধিমালা অনুযায়ী অভিযোগের তদন্ত প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে। তদন্ত চলাকালীন সময়ের জন্য তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হলো।

ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, এক ব্যক্তি জমির নামজারি করতে অফিসে এসেছেন। এ সময় হাসফিয়া আক্তার তার কাছ থেকে ঘুসের টাকা গুনে নিচ্ছেন। ভিডিওতে তাকে বলতে শোনা যায়, আপনার কাজ হয়ে যাবে, চিন্তা করবেন না। ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর গত রোববার তাকে বদলি করা হয়েছিল। তবে তদন্তের স্বার্থে বুধবার তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে হাসফিয়া আক্তার বানু চৌধুরী বলেন, তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। তিনি কোনো ঘুস নেননি। ভিডিওটি তার না।

জানতে চাইলে নীলফামারী জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ নায়িরুজ্জামান বলেন, তার বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। এ কারণে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তদন্তে প্রতিবেদন পেলে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আমিরুল হক/কেএইচকে/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।