ট্রান্সশিপমেন্ট

ভারতের অনুমতি না মেলায় বুড়িমারীতে আটকা ভুটানের পণ্য

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি লালমনিরহাট
প্রকাশিত: ১১:৫৫ এএম, ৩০ নভেম্বর ২০২৫

ভারতের ভূখণ্ড ব্যবহারের অনুমতি না পাওয়ায় বাংলাদেশের ওপর দিয়ে ভুটানে পণ্য পরিবহনের (ট্রানশিপমেন্ট) পরীক্ষামূলক কার্যক্রম শুরুতেই হোঁচট খেয়েছে। থাইল্যান্ড থেকে চট্টগ্রাম বন্দর হয়ে আসা ভুটানের প্রথম ট্রানশিপমেন্ট চালানের পণ্যবাহী একটি কনটেইনার লালমনিরহাটের বুড়িমারী স্থলবন্দরে আটকে আছে।

গত বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর ) কনটেইনারটি বুড়িমারী স্থলবন্দরে পৌঁছায়। এরপর বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার কয়েক দফা চেষ্টা করেও ভারতীয় কর্তৃপক্ষের ‘নো অবজেকশন’ বা অনুমতি না থাকায় পণ্যটি ভারতের চ্যাংড়াবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে প্রবেশ করানো সম্ভব হয়নি।

বাংলাদেশ ও ভুটান প্রটোকল চুক্তির আওতায় দুই দেশের কানেক্টিভিটি বা যোগাযোগ বাড়াতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। গত এপ্রিলে অনুষ্ঠিত দুই দেশের বাণিজ্যসচিব পর্যায়ের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, বাংলাদেশের সমুদ্রবন্দর ও সড়কপথ এবং ভারতের সড়কপথ ব্যবহার করে পরীক্ষামূলকভাবে দুটি পণ্যের চালান ভুটানে পাঠানো হবে। এরই অংশ হিসেবে এই প্রথম চালানটি চট্টগ্রাম হয়ে বুড়িমারী আসে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, থাইল্যান্ডের ব্যাংকক থেকে ‘আবিত ট্রেডিং কোম্পানি লিমিটেড’এর পাঠানো এই চালানে ছয় ধরনের পণ্য রয়েছে। এর মধ্যে ফলের জুস, জেলি, শুকনো ফল, লিচু ফ্লেভারের ক্যান্ডি ও শ্যাম্পু উল্লেখযোগ্য। কনটেইনারটি গত ২২ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রাম বন্দরে এসে পৌঁছায় ও সেখান থেকে সড়কপথে বুড়িমারীতে আনা হয়।

বেনকো লিমিটেডের প্রতিনিধি ও সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য ফারুক হোসেন বলেন, চট্টগ্রাম থেকে আসা ভুটানের পরীক্ষামূলক ট্রানশিপমেন্ট চালানটি বর্তমানে বুড়িমারীতেই অবস্থান করছে। ভারত তাদের সড়ক ব্যবহারের অনুমতি দিলেই আমরা পণ্যটি ওপারে পাঠাতে পারবো।

ভারতের অনুমতি না মেলায় বুড়িমারীতে আটকা ভুটানের পণ্য

বুড়িমারী স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের সহকারী পরিচালক (ট্রাফিক) মাহমুদুল হাসান নিশ্চিত করেছেন যে, বৃহস্পতিবার থেকেই কনটেইনারটি বন্দরের ইয়ার্ডে রক্ষণাবেক্ষণ করা হচ্ছে।

অন্যদিকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন বলে জানিয়েছেন বুড়িমারী কাস্টমস স্টেশনের সহকারী কমিশনার দেলোয়ার হোসেন। তিনি বলেন, ভুটানের চালানের সব কাস্টমস প্রক্রিয়া আমরা সম্পন্ন করেছি। এখন শুধু ভারতীয় কাস্টমস বা কর্তৃপক্ষের অনুমতির অপেক্ষা। সবুজ সংকেত পেলেই পণ্যটি ভুটানের উদ্দেশ্যে ছাড় করা হবে।

শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত, ভারতের উচ্চপর্যায়ের কর্তৃপক্ষ কবে নাগাদ অনুমতি দেবে বা আদৌ দেবে কি না, সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কোনো দপ্তর নিশ্চিত তথ্য দিতে পারেনি। ফলে অনিশ্চয়তার মুখেই পড়ে রয়েছে বহুল প্রতীক্ষিত এই পরীক্ষামূলক ট্রানশিপমেন্ট কার্যক্রম।

মহসীন ইসলাম শাওন/এমএন/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।