কুড়িগ্রাম

রাতের আঁধারে সরকারি রাস্তা দখল করে দোকান নির্মাণের অভিযোগ

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি কু‌ড়িগ্রাম
প্রকাশিত: ০৯:৫৭ পিএম, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫

কুড়িগ্রামের চিলমারীতে রাতের আঁধারে সরকারি রাস্তা ও হাট সেটঘর দখল করে একটি ঘর নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। মানুষের চলাচল, যানবাহনের যাতায়াত এবং বাজারে প্রবেশের একমাত্র পথ হওয়ায় এ স্থানে হঠাৎ এমন নির্মাণ কাজ শুরু হওয়ায় স্থানীয়দের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, কালাম নামের এক ব্যক্তি প্রভাব খাটিয়ে রাতের অন্ধকারে উপজেলার অষ্টমিরচর ইউনিয়নের ডাটিয়ারচর বাজারে অবৈধভাবে ঘর নির্মাণ করছেন। এতে পথচারীদের স্বাভাবিক চলাচল বাধাগ্রস্ত হচ্ছে এবং বাজারের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

ডাঠিয়ার চর বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক আজিজুর রহমান জানান, ১২ বছর আগে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় এ বাজারটি গড়ে তোলা হয় এবং তখন জমির চারদিকে সীমানা প্রাচীরও নির্মাণ করা হয়েছিল। সেই সময় কালামও উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু এতদিন পর এসে তিনি রাস্তা দখল করে ঘর তুলছেন।

আজিজুর বলেন, যদি তার সত্যিই জমি থাকে, তাহলে নিয়ম মেনে নির্মাণ করুক। আর যদি জমি না থাকে, তাহলে অবৈধভাবে দখল নেওয়ার কোনো অধিকার তার নেই। তিনি আরও জানান, এ বিষয়ে চিলমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) বরাবর লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।

চিলমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সবুজ কুমার বসাক বলেন, ইউনিয়ন পরিষদের জমি অবৈধ দখলের একটি একটি অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগের প্রেক্ষিতে ঢুষমারা থানাকে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলা হয়েছে।

অভিযুক্ত কালাম মিয়া বলেন, আমি সরকারি জায়গা দখল করিনি। বরং আওয়ামী লীগের সভাপতি হাবিবুর রহমান সহ কয়েকজন জোরপূর্বক আমার জায়গা দখল করে বাজার ও সেট বানিয়েছে। আমার জায়গায় আমি ঘর তুলছি এখানে দখল করলাম কই। উল্টো ওরাইতো দখল করছে।

ঢুষমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মতিয়ার রহমান জানায়, থানায় অভিযোগ পেয়ে এরমধ্যে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এলাকাবাসী স্থানীয়ভাবে সমাধানের চেষ্টা করছে। আর যেহেতু জমিজমার ব্যাপার তাই সমাধান না হলে আদালতে মামলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

রোকনুজ্জামান মানু/আরএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।