বগুড়ায় জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহীদদের স্মরণে ‘ডিজিটাল স্মৃতিস্তম্ভ’
বগুড়ায় জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের স্মরণে ডিজিটাল স্মৃতিস্তম্ভের উদ্বোধন করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। রোববার (২১ ডিসেম্বর) বিকেলে শহরের শহীদ টিটু মিলনায়তনে জেলা বিএনপি আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এই স্মৃতিস্তম্ভের উদ্বোধন করেন।
ডিজিটাল স্মৃতিস্তম্ভের অংশ হিসেবে প্রাথমিক পর্যায়ে বগুড়া শহরের কেন্দ্রবিন্দু সাতমাথা ও সরকারি আজিজুল হক কলেজসহ ২০টি জনগুরুত্বপূর্ণ স্থানে সর্বস্তরের মানুষের জন্য ‘ফ্রি ওয়াইফাই’ সুবিধা চালু করা হয়েছে। আয়োজকরা জানিয়েছেন, পর্যায়ক্রমে জেলার আরও ৪০টি স্থানে এই সুবিধা সম্প্রসারণ করা হবে।
জেলা বিএনপির সভাপতি রেজাউল করিম বাদশা বলেন, শহীদদের আত্মত্যাগ তরুণ প্রজন্মের কাছে স্মরণীয় করে রাখতেই এই ডিজিটাল স্মৃতিস্তম্ভের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ইন্টারনেটের এই মুক্ত সংযোগের মাধ্যমে সাধারণ মানুষ শহীদদের সম্পর্কে জানতে পারবেন এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার পথে এক ধাপ এগিয়ে যাবেন।
তিনি জানান, এই সেবা নিতে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের কয়েকটি ধাপ পার করতে হবে। যার মধ্য দিয়ে তারা জুলাই শহীদদের বিষয়ে জানতে পারবেন। একজন ব্যবহারকারী সর্বোচ্চ এক ঘণ্টা এই সেবা নিতে পারবেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তারেক রহমান বলেন, অতীতেও ধ্বংসের কিনারা থেকে দেশকে রক্ষা করেছে বিএনপি, এবারও করবে। তবে সামনে কঠিন সময় আসছে, তাই আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
বক্তব্যের শুরুতে তিনি জুলাই আন্দোলনে নিহত ওসমান হাদির স্মৃতিচারণ করে বলেন, ওসমান হাদি ছিলেন গণতন্ত্রের অকুতোভয় সৈনিক। তিনি ভোটের রাজনীতিতে বিশ্বাস করতেন বলেই নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলেন। জুলাই আন্দোলনের শহীদ ও যোদ্ধাদের পাশাপাশি ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের সম্মান অক্ষুণ্ন রাখতে দেশ গড়ার কাজে সবাইকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।
তারেক রহমান আরও বলেন, দেশ এখন স্বৈরাচারের হাত থেকে মুক্ত। এই স্বাধীনতাকে অর্থবহ করতে হলে ধ্বংসস্তূপ থেকে দেশকে নতুন করে গড়ে তুলতে হবে।
জেলা বিএনপির বর্তমান ও সাবেক শীর্ষ নেতাদের উপস্থিতিতে সভা একসময় জনসমুদ্রে রূপ নেয়। অনুষ্ঠানে জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ হওয়া পরিবারের সদস্য ও আন্দোলনের আহত যোদ্ধারা অংশ নেন।
এমএন