শিবগঞ্জ

যুবককে বৈদ্যুতিক খুঁটিতে বেঁধে হাত-পা কেটে নেওয়ার চেষ্টা

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি চাঁপাইনবাবগঞ্জ
প্রকাশিত: ০৩:০৭ পিএম, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫

চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে আবু সুফিয়ান সিজু (২৫) নামে এক যুবককে বৈদ্যুতিক খুঁটিতে বেঁধে দুই হাত-পা কেটে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। অভিযুক্তরা জামায়াত-শিবিরের কর্মী বলে দাবি করেছেন আবু সুফিয়ান সিজুর পরিবার।

বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার শ্যামপুর ইউনিয়নের উমরপুর ঘাটে এ ঘটনা ঘটে। বর্তমানে ওই যুবক রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তিনি শ্যামপুর-বাজিতপুর গ্রামের রবিউল ইসলামের ছেলে।

আবু সুফিয়ান সিজু বলেন, ‘আমার এক আত্মীয়কে বিরক্ত করে উপজেলার ধোবড়া এলাকার মোস্তাক নামে এক ছেলে। এজন্য মোস্তাককে আমি সতর্ক করি। এরই জের ধরে আমাকে বিদ্যুতের খুঁটিতে বেঁধে দুই হাত ও একটি পা কেটে দিয়েছে আনোয়ার, নূরুল ও রাজ্জক হুজুর। রাজ্জাক হুজুরসহ আরও ৪-৫ জন আমাকে ধরে ছিল, আর আনোয়ার ও নূরুল আমার হাত পা কেটেছে।’

আবু সুফিয়ান সিজুর মা সুফিয়া বেগম বলেন, ‘তার ভাগনিকে উপজেলার ধোবড়া এলাকার মোস্তাক আলী নামের এক যুবক দীর্ঘদিন ধরে বিরক্ত করে আসছিল। এ কারণে গত ২৪ ডিসেম্বর দুপুরে তার ছেলে মোস্তাক আলীকে ডেকে এনে সতর্ক করে। সন্ধ্যায় উপমরপুর ঘাট দিয়ে বাড়িতে আসছিল তার ছেলে। এসময় স্থানীয় শিবির কর্মী আনোয়ার, নূরুল ও রাজ্জক হুজুর তাকে ধরে নিয়ে একটি বিদুৎতে খুঁটিতে বেঁধে চাইনিজ কুড়াল দিয়ে দুই হাত ও দুই পা কেটে দ্বিখণ্ডিত করে দেয়। এমনকি প্রায় ৩ ঘণ্টা ধরে তাকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়েছে।’ 

স্থানীয়রা জানান, জামায়াত-শিবিরের কয়েকজন কর্মী সিজুকে ধরে বৈদ্যুতিক খুঁটির সঙ্গে বেঁধে ধারালো অস্ত্র দিয়ে তার দুই হাত ও পায়ে এলোপাথাড়ি কোপাতে থাকে। এমন দৃশ্য দূর থেকে স্থানীয়রা দেখলেও এর প্রতিবাদ করার সাহস পায়নি। পরে তারা মৃত ভেবে ফেলে রেখে চলে গেলে গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয়রা সিজুকে উদ্ধার করে শিবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। পরে অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

এদিকে শিবগঞ্জ উপজেলা জামায়াতের আমির সাদিকুল ইসলাম বলেন, সিজু এলাকায় সন্ত্রাসী নামেই পরিচিত। গতকাল সিজুর শাস্তি ও তাকে এ ঘটনায় যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে তাদের মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী। এ ঘটনায় যাদের নাম এসেছে তারা আমাদের অঙ্গ সংগঠনের কর্মী নয়। তবে আমাদের সমর্থক হতে পারে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এ.এন.এম. ওয়াসিম ফিরোজ বলেন, এ ঘটনায় আহত ব্যক্তির বাবা বাদী হয়ে মামলা করেছেন। মামলার প্রেক্ষিতে শাহাআলম ও রাজ্জাক নামে দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে তারা জামায়াত কর্মী কি না আমার জানা নেই।

সোহান মাহমুদ/এফএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।