কুমিল্লা নিয়ে আলাদা পরিকল্পনা রয়েছে: মনিরুল হক চৌধুরী
বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও কুমিল্লা-৬ আসনে বিএনপির দলীয় প্রার্থী মনিরুল হক চৌধুরী বলেন, ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের পর দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশ নিয়ে তার একটি পরিকল্পনার কথা বলেন। ঠিক তেমনি কুমিল্লা নিয়েও আমার আলাদা পরিকল্পনা রয়েছে। আধুনিক কুমিল্লা বিনির্মাণে এবং কুমিল্লাকে নতুনভাবে সাজাতে আমি সে পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি।
শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) কুমিল্লা বাঁচাও মঞ্চের উদ্যোগে ‘আমার স্বপ্ন আমার কুমিল্লা’ শীর্ষক মুক্ত সংলাপে তিনি এসব কথা বলেন।
মনিরুল হক চৌধুরী বলেন, একটি শহরকে সাজাতে, একটি নগরকে সাজাতে শুধু এককেন্দ্রিক চিন্তা কিংবা উন্নয়ন করলে হবে না, সামগ্রিক উন্নয়নের চিন্তা, বিকাশ ও বাস্তবায়নের মাধ্যমেই একটি অঞ্চলকে সাজাতে হবে। ‘আই হ্যাভ এ প্ল্যান ফর কুমিল্লা টু, আই হ্যাভ এ প্ল্যান ফর কুমিল্লা’স পিপল’।
তিনি বলেন, কুমিল্লা প্রাচীন শহর। ব্রিটিশ আমল থেকেই কুমিল্লা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ জনপদ। কুমিল্লা বিভাগ এ অঞ্চলের প্রাণের দাবি। দীর্ঘদিন ধরে এ দাবিটি উপেক্ষিত হয়ে আসছে। বিএনপি সরকার গঠন করলে, আমি সংসদে যাওয়ার সুযোগ পেলে কুমিল্লা বিভাগ অগ্রাধিকার ভিত্তিতে আদায় করবো ইনশাল্লাহ। ঢাকা চট্টগ্রাম সরাসরি রেললাইন চালুর বিষয়ে এডিবি ইতোমধ্যে অনুমোদন দিয়েছে। শিগ্গিরই কাজ শুরু হবে ইনশাল্লাহ। এতে করে রাজধানীর সঙ্গে এ অঞ্চলে রেল যোগাযোগে সময় বাঁচবে ৪ ঘণ্টা।
মনিরুল হক বলেন, ব্রিটিশ আমল থেকে কুমিল্লা বিমানবন্দর ছিল। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে দীর্ঘদিন ধরে এ বিমানবন্দরটি অচলাবস্থা। দ্রুত বিমানবন্দর চালু করতে আমি ‘কুমিল্লা বাঁচাও মঞ্চ’র উদ্যোগে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছি। এ বিমানবন্দর চালু হলে এ অঞ্চলের বিদেশগামী মানুষের ভোগান্তি কমবে, ইপিজেডে বিদেশি ক্রেতারা সহজে আসা-যাওয়া করতে পারবে।
শহর বিকেন্দ্রীকরণের বিষয়ে তিনি বলেন, এই শহরে জায়গা না থাকার পরেও সব সরকারি দপ্তর এখানেই করতে চাচ্ছে। এই আদর্শ সদরকে গোমতীর উত্তরে নিয়ে যাওয়ার কথা আমি অনেক আগেই বলেছিলাম, তারা নিয়েছে, তবে লেইট করে।
এ সময় কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম ভুঁইয়া স্বপন, সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মোজাহিদ চৌধুরী, সাবেক এডিশনাল পিপি অ্যাডভোকেট গোলাম ফারুক, অধুনা থিয়েটারের প্রতিষ্ঠাতা অ্যাডভোকেট শহিদুল হক স্বপন, সদর দক্ষিণ উপজেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট আক্তার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক ফারুক চৌধুরী প্রমুখ।
জাহিদ পাটোয়ারী/কেএইচকে