এতিমখানায় থেকে সোহেলের অর্জন জিপিএ-৫


প্রকাশিত: ০৬:০৬ এএম, ২২ আগস্ট ২০১৬

ছোটবেলায় বাবা-মাকে হারিয়ে সোহেল রানার ঠাঁই মেলে এতিমখানায়। এতিমখানায় তার বেড়ে উঠা। বাবা-মাকে হারালেও মনোবল হারায়নি সে। দারিদ্রতা আর কষ্ট দমাতে পারেনি তাকে।

সোহেল এ বছর হাতীবান্ধা আলিমুদ্দিন ডিগ্রি কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে। ২০১৪ সালে এসএসসি পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগ থেকে সে জিপিএ-৫ পেয়েছিল।

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার টংভাঙ্গা গ্রামে ১৪ বছর আগে বাবা মজিবর রহমান মারা যায়। এর কিছুদিন পরই মা ফাতেমা বেগমও মারা গেলে সোহেল রানার ঠাঁই হয় স্থানীয় হাতীবান্ধা শাহ গরীবুল্ল্যাহ এতিমখানায়। সেখান থেকে স্কুলে ভর্তির সুযোগ পেয়ে পড়াশোনা শুরু করেন। বিনা চিকিৎসায় বাবা-মায়ের মৃত্যু পর থেকে সে স্বপ্ন দেখছে বড় হয়ে ডাক্তার হবে।

আলিমুদ্দিন ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ সারওয়ার হায়াত খান বলেন, অদম্য মেধাবী সোহেল রানা পড়াশোনায় খুবই মনোযোগী। আমি আশা করি সে চিকিৎসক হয়ে মানুষের সেবা করবে।

হাতীবান্ধা শাহ্ গরীবুল্ল্যাহ এতিমখানার শিক্ষক আব্দুল গণি জানান, এতিম সোহেল রানা অনেক কষ্ট করে পড়াশুনা চালিয়ে গেছে। তার স্বপ্ন চিকিৎসক হওয়ার তাই সমাজের হৃদবান মানুষের সহযোগিতা পেলে হয়তো তার স্বপ্ন পূরণ হবে। আমি তার সাফল্য কামনা করি।

এসএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।