প্রেমের ফাঁদ পেতে আসামি ধরলেন নারী পুলিশ
লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে যৌতুকের টাকা না পেয়ে গলা কেটে স্ত্রীকে হত্যা করায় ঘাতক স্বামী মো. সুমন (৩০) পুলিশের প্রেমের ফাঁদে ধরা পড়েছেন। কমলনগর থানার এক নারী পুলিশ প্রেমের ফাঁদে পড়ে শনিবার বিকেল সাড়ে ৫ টার দিকে কুমিল্লা বিশ্বরোড এলাকায় তিনি গ্রেফতার হন।
গ্রেফতারকৃত ঘাতক স্বামী সুমন চাঁদপুর জেলার কচুয়া উপজেলার পাতুরিয়া গ্রামের বাসিন্দা বাচ্চু মিয়ার ছেলে ও হত্যা মামলার আসামী।
কমলনগর থানার (ওসি/দতন্ত) ইকবাল হোসেন বলেন, যৌতুকের জন্য শ্বশুর বাড়িতে স্ত্রীকে গলাকেটে হত্যা করে সুমন পালিয়ে যায়। তখন তার বিরুদ্ধে কমলনগর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। পরে তাকে ধরতে পুলিশ সদস্য আনিকা চক্রবর্তীকে দিয়ে প্রেমের ফাঁদ পাতা হয়। প্রতিদিন তাদের মধ্যে মোবাইল ফোনে কথা হতো। এভাবে দু’জনের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। সম্পর্ক গভীর হয়ে উঠলে সুমন দেখতে চায় আনিকাকে, অনিকা সুমনকে। দেখা হয় দু’জনার।
তবে, ঘাতক সুমন ধরা পড়েন পুলিশের প্রেমের ফাঁদে।
কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবির আহাম্মদ জানান, ওসি তদন্ত ইকবাল হোসেন, উপ পরিদর্শক (এসআই) আবদুল ওহাব, সহকারী উপ পরিদর্শক (এএসআই) রেজাউল ও নারী পুলিশ সদস্য আনিকার বিশেষ অভিযানে ঘাতক সুমন গ্রেফতার হয়েছে। প্রসঙ্গত, গত ৯ মার্চ সোমবার গভীর রাতে লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলার চর কাদিরা গ্রামের বাসিন্দা মৃত তাজুল হকের মেয়ে রাশেদা বেগমকে (২৪) যৌতুকের জন্য স্বামী সুমন গলাকেটে হত্যা করেন।
এমজেড/পিআর