টার্কি মুরগিতে সাফল্য


প্রকাশিত: ০৪:১৩ এএম, ১০ মার্চ ২০১৭

বিদেশি পাখি টার্কি এখন প্রতিপালিত হচ্ছে জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার ধুরইল গ্রামে। গ্রামের বেকার দশ যুবক উপজেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগ ও একটি স্বেচ্ছাসেবি প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতায় এই লাভজনক খামার প্রতিষ্ঠা করেন। এখন এই খামার দেখে উৎসাহিত হচ্ছে উপজেলাসহ জেলার অনেক যুবক। টার্কি মুরগিকে মাচা ও লিটার পদ্ধতিতে পালনের মাধ্যমে তা জনপ্রিয় করে তোলা হচ্ছে।

স্বেচ্ছাসেবি প্রতিষ্ঠানটি প্রথমে জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার ধুরইল গ্রামের দশ খামারিকে বিনামূল্যে সাড়ে ছয়শ গ্রাম ওজনের ২০টি করে টার্কি সরবরাহ করে। আড়াই মাস প্রতিপালনের পর টার্কির ওজন হয়েছে ছয় কেজি। এক বছর প্রতিপালন করলে এর ওজন হবে অন্তত ১৫ কেজি আর উচ্চতা হবে সাধারণত তিন থেকে সাড়ে তিন ফিট।

Terki
টার্কি মুরগি বছরে ডিম পাড়ে ১২০টির মত। লেয়ার ও ব্রয়লার মুরগির তুলনায় টার্কির রোগ বালাই এবং প্রতিপালন খরচ অনেক কম বলে জানালেন খামারিরা।

সাধারণ মুরগির তুলনায় টার্কি খুব দ্রুত বাড়ে। ফলে কম সময় ও কম খরচে মাংস ও ডিম উৎপাদন করে লাভবান হয় খামরিরা। তাছাড়া মোরগ টার্কির ময়ুরের মত পেখম খুব দৃষ্টিনন্দন।

Terki
টার্কি মুরগির প্রিয় খাবার কলমি শাক, পালং শাক, পাতা কপিসহ ওই জাতীয় সকল লাতা-পাতা ও শাক-সবজি এবং নেপিয়ার ঘাস। খাবারগুলো সারাদিনে তাদের সামান্য পরিমাণে দিতে হয়। এই খাবারগুলোর পাশাপাশি পোল্ট্রি ফিড খুব অল্প পরিমাণে দিতে হয়। পোল্ট্রি ফিড না দিলেও তাদের খাবাবের কোনো অসুবিধা হয় না।

পাঁচবিবি উপজেলার ধুরইল গ্রামের টার্কি খামারি মনছের আলম, এনামুল হক, আইয়ুব আলী ও সিরাজুল ইসলাম বলেন, দেশি মুরগির তুলনায় এদের পালন করা খুব সহজ এবং দেশি মুরগির চেয়ে টার্কি কম সময়ে দ্রুত বেড়ে ওঠে যার ফলে অল্প সময়ে কম খরচে ডিম ও মাংস উৎপাদন করে লাভবান হওয়া যায়।

টার্কি মুরগি পালন দেখতে আসা দিনাজপুর জেলার ফুলবাড়ি উপজেলার বেনজির হোসেন ও আক্কেলপুর উপজেলার রায়কালি গ্রামের দুলাল হোসেন জানান, টার্কি মুরগি পালন করা খুব লাভজনক ও খরচ কম। এরা দ্রুত বড় হয়। সেজন্য দেখতে এসেছি, ফিরে গিয়ে আমরাও প্রতিপালন করার চেষ্টা করবো।

Terki
পাঁচবিবি উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মামুনুর রশিদ বলেন, দেশের অভিজাত রেস্টুরেন্টে এর ব্যাপক চাহিদা থাকায় এটি সম্প্রসারণের কাজ করছে প্রাণি সম্পদ বিভাগ। টার্কি চাষ অত্যন্ত সহজ, লাভজনক ও প্রোটিন সমৃদ্ধ। কেউ এটি প্রতিপালন করতে চাইলে তাকে সার্বিক সহযোগিতা করা হবে।

এছাড়াও টার্কি প্রতিপালন দেশের ক্রমবর্ধমান প্রোটিনের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি বেকারত্ব ঘোচাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে বলেও জানান এ কর্মকর্তা।

রাশেদুজ্জামান/এফএ/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।