লোক সংস্কৃতির অন্যতম ঘরানা নড়াইলের অষ্টক গান


প্রকাশিত: ০৩:০৪ পিএম, ১৩ এপ্রিল ২০১৭

লোক সংস্কৃতির অন্যতম একটি ঘরানা হলো নড়াইলের অষ্টক গান। সাধারণত বসন্তকালে অর্থাৎ চৈত্র মাসের শেষের দিকে চৈত্র সংক্রান্তিকে সামনে রেখে গ্রামে গ্রামে হাট বাজারে এই গান পরিবেশিত হয়ে থাকে।

রাধা-কৃষ্ণ, শিব-দুর্গা, রামায়ণ-মহাভারতের কাহিনী ছাড়া পণ প্রথা, সাম্প্রদায়িক প্রসঙ্গ, কৃষি সমস্যা, বৃক্ষরোপন, সমাজের অসঙ্গতি বা শিক্ষামূলক বিষয় ইত্যাদি অষ্টক গানের বিষয়বস্তু।

অষ্ট সখির সহযোগে এই গান পরিবেশিত হয় বলে একে অষ্টক বলা হয়েছে। এটি একটি গোষ্ঠীবদ্ধ নৃত্যসহ সাঙ্গীতিক পরিবেশনা। সামনে অষ্ট সখি এবং পেছনে হারমোনিয়াম, বেহালা, বাঁশি, কাসি, কত্তাল সহযোগে এই গান পরিবেশিত হয়।

অষ্টক গান বাংলার ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির একটি অংশ। নড়াইল সদরের বাহিরডাঙ্গা গ্রামের প্রয়াত স্বভাব কবি বিপিন সরকার অসংখ্য অষ্টক গান ও অষ্টক যাত্রা পালা লিখেছেন এবং সুর করেছেন।

বাহিরডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা সহকারী অধ্যাপক গোলক চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, মুরুব্বিদের কাছে শুনেছি, নড়াইল অঞ্চল থেকেই অষ্টক গানের সৃষ্টি।

যুগ যুগ ধরে নড়াইল পৌর এলাকার বাহিরডাঙ্গা, দুর্গাপুর, বাঁশভিটা, মুলিয়া, এগারখানসহ বিভিন্ন এলাকার নমশুদ্র সম্প্রদায় বাঙালির হাজার বছরের লোক সংস্কৃতির এ ঘরানাকে লালন করে চলেছে।

হাফিজুল নিলু/এএম/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।