শেরপুরে বন্যহাতির আক্রমণে কৃষক নিহত

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি শেরপুর
প্রকাশিত: ০২:২৯ এএম, ১১ আগস্ট ২০১৭

শেরপুরে শ্রীবরদী উপজেলার সীমান্তবর্তী হালুয়াহাটি গ্রামে বন্যহাতির আক্রমণে এক কৃষক নিহত ও তার স্ত্রী এবং এক ছেলে আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত আব্দুল হাই (৭০) ওই গ্রামের তনু মন্ডলের ছেলে। আহত ইসরাফিল মিয়া ও তার মা’কে শ্রীবরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

শ্রীবরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রেজাউল করিম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, রাতে ৩০/৪০টি বন্যহাতির একটি দল পাহাড় থেকে খাদ্যের সন্দেহে লোকালয়ে নেমে আসে। এসব হাতির দল খেতের পাকা আউশ ধান ও বসতবাড়ির পার্শ্ববর্তী শিমুল আলুখেতে নেমে তান্ডব চালায়।

স্থানীয় লোকজন আলোর মশাল জ্বালিয়ে, টর্চ লাইটের আলো ফেলে ও চিৎকার-চেঁচামেচি করে বন্যহাতি তাড়াতে চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে বন্যহাতির দল বসতবাড়িতে উঠে আসার সময় কৃষক আব্দুল হাই ও তার স্ত্রী-সন্তান সামনে পড়ে। এসময় একটি হাতি আব্দুল হাইকে শুড় পেচিয়ে ধরে পায়ে পিষ্ট করলে ঘটনাস্থলেই তিনি নিহত হন। তাকে উদ্ধার করতে গিয়ে স্ত্রী এবং ছেলেও বন্যহাতির আক্রমণে আহত হন।

উল্লেখ্য, গত দুই সপ্তাহের ব্যবধানে শেরপুর সীমান্তে বন্যহাতির আক্রমণে এনিয়ে দুই কৃষক নিহত হলেন। গত ২৯ জুলাই মধ্যরাতে ঝিনাইগাতী উপজেলার গজনী গ্রামে বন্যহাতির আক্রমণে গারো কৃষক পলরেশ সাংমা (৫৭) নিহত হন।

এদিকে ঝিনাইগাতী উপজেলার কাংশা ইউনিয়নের সীমান্তঘেষা বড় গজনী গ্রামে বন্যহাতির আক্রমণে ৩টি মাটির ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, গভীর রাতে পাহাড় থেকে নেমে আসা ৪০/৪৫টি বন্যহাতির দল ওই গ্রামের কৃষকদের প্রায় ২০ শতাংশ জমির শিমুল আলুরখেত ও প্রায় ১৫টি কলাগাছ বিনষ্ট করে। এসময় হাতির দল ওই গ্রামের গিনেন্দ্র মানখিন, তুনুন মারাক ও মারনাত সাংমার ৩টি বসতঘর মাথা ও শুড় দিয়ে গুতিয়ে আংশিক বিধ্বস্ত করে। এসব বিধ্বস্ত বসতঘরগুলো যেকোনো সময় ভেঙে পড়তে পারে।

বনবিভাগের রাংটিয়া রেঞ্জের গজনী বিট কর্মকর্তা মো. আব্দুর রফিক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, সম্প্রতি গজনী এবং আশপাশের এলাকায় বন্যহাতির আনাগোনা কিছুটা বেড়েছে। খাবারের সন্ধানে বন্যহাতি লোকালয়ে হানা দিচ্ছে এবং জনগণের জানমালের ক্ষতিসাধন করছে।

হাকিম বাবুল/এফএ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।