মোদির আগমনে ছিটমহলগুলোতে চলছে আনন্দ উল্লাস


প্রকাশিত: ১০:৩৬ এএম, ০৬ জুন ২০১৫

নীলফামারীর ডিমলায় চারটি ছিটমহলে সীমান্ত চুক্তি অনুমোদনের পর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ আগমন উপলক্ষে ছিটমহলগুলোতে চলছে বাধ ভাঙা আনন্দ উল্লাস। উভয় দেশের সরকার স্থল সীমান্ত চুক্তি অনুমোদন হওয়ায় ছিটমহলবাসীরা দ্রুত তা হস্তান্তর চায়।

শনিবার সকালে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ভারতের ছিটমহল বড়খানকিবাড়ির বাসিন্দা ময়মন নেছা উচ্ছাস প্রকাশ করে বলেন, মৃত্যুর শেষ সময় এসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুজিব-ইন্দিরা চুক্তি বাস্তবায়ন করছে। আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানাই।

একই ছিটমহলের বাসিন্দা জয়গোন জানায়, আমরা ভারতের ছিটমহলে বসবাস করলেও আমাদের সরকারিভাবে কোনো সুবিধা দেওয়া হয় না। এবার সরকার চুক্তি হস্তান্তর করলে সব সুযোগ সুবিধা পাওয়া যাবে। আমার ভোটের অধিকার পাবো। আর স্বাধীনভাবে মত প্রকাশ করতে পরাবো।

ফরহাদ হোসেন জানান, আমরা সকলেই বাংলাদেশের নাগরিক হতে চায়। আর ছিটমহল চুক্তি হস্তান্তর হলে আমরা বাংলাদেশ সরকারের যাবতীয় সুযোগ সুবিধা পাবো বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

বড়খানকী খারিজা গীতালদহের আব্দুল রহমান বলেন, উভয় দেশের সরকারের আন্তরিক মনোভাব ও ছিটমহলবাসীদের দুর্ভোগ উপলক্ষি করতে পেয়ে সীমান্ত চুক্তিটি অনুমোদন করা হয়েছে। আমরা ছিটমহলবাসীরা চাই দ্রুত সীমান্ত চুক্তির বিষয়টি সরকারের মধ্যে হস্তান্তর করা হউক।

নগর জিকাবাড়ির আকতারুজ্জামান বলেন, আমরা দ্রুত সীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়ন চাই। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি বাংলাদেশ সফরে আসার সংবাদে ছিটমহলবাসীদের আনন্দে আত্মহারা। দীর্ঘ ৬৮ বছরের বন্দীদশা থেকে তারা মুক্তি পেতে যাচ্ছে।

এদিকে, মোদির সফরকে কেন্দ্র করে ছিটমহলের প্রতিটি বাড়িতে চলছে উৎসবের আমেজ। বাংলাদেশের অভ্যন্তরে অবস্থিত প্রত্যেকটি ছিটমহলে উড়ছে বাংলাদেশি পতাকা। আর পতাকা হাতে নিয়ে হচ্ছে আনন্দ মিছিল।

জাহেদুল ইসলাম/এআরএ/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।