সোনারগাঁওয়ে গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলার এলাহীনগরে যৌতুকের দাবিতে লতা মনিকা (২০) নামে এক গৃহবধূকে শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছে শ্বশুর জাহেদ আলী, শাশুড়ি মমতাজ, ভাসুর মাহবুব ও ভাবি সায়মা। শুক্রবার দুপুর ১টার দিকে ঘরের বৈদ্যুতিক পাখার সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় ওই গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত লতা মনিকা ওই এলাকার আব্দুল জব্বারের মেয়ে। তিনি শম্ভুপুরা ইসলামিয়া মাদরাসা থেকে চলতি বছর দাখিল পরীক্ষায় এ গ্রেড পয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে।
নিহতের পিতা আব্দুল জব্বার জাগো নিউজকে জানান, প্রায় সাত মাস আগে এলাহীনগর এলাকার দুবাই প্রবাসী শাহজালালের সঙ্গে তার মেয়ের বিয়ে হয়। বিয়ের সময় বরপক্ষ ৮০ হাজার টাকা যৌতুক দাবি করেছিল। এর মধ্যে ৩০ হাজার টাকা বাকি ছিল। বিয়ের কিছুদিন পর শাহজালাল দুবাই চলে যায়। এরপর যৌতুকের বাকি টাকার জন্য শ্বশুর বাড়ির লোকজন তাকে চাপ দিতে থাকে।
টাকা পরিশোধ করতে না পারায় তাকে ঠিকমতো খেতে দিতো না। গত পাঁচ দিন এক রকম অনাহারেই কেটেছে মনিকার। জব্বারের দাবি শ্বশুরবাড়ির লোকজনই মনিকাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে ঘরের বৈদ্যুতিক পাখার সঙ্গে ঝুলিয়ে আত্মহত্যা বলে চালানোর চেষ্টা করেছে।
সোনারগাঁ থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল হক শিকদার জাগো নিউজকে জানান, ওই গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ ১০০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্টের পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। এ ঘটনার পর থেকে শ্বশুরবাড়ির লোকজন পলাতক রয়েছে বলেও জানান তিনি।
শাহাদাৎ হোসেন/এআরএ/এমএস