স্বর্ণ চোরাচালানের নিরাপদ রুট সাতক্ষীরা

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি সাতক্ষীরা
প্রকাশিত: ০১:১০ পিএম, ২৪ ডিসেম্বর ২০১৭

দেশের দক্ষিণাঞ্চলের সীমান্তবর্তী জেলা সাতক্ষীরা। ২৩৮ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত। আর এ সীমান্তের বিভিন্ন চোরাই পথ দিয়ে প্রতিদিন পাচার হচ্ছে কেজি কেজি স্বর্ণ। চোরাচালানিরা নিরাপদ রুট হিসেবে ব্যবহার করছে সাতক্ষীরার এসব সীমান্তবর্তী এলাকার পথ।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, স্বর্ণ আমদানিতে কড়াকড়ি আরোপ করায় ভারতে স্বর্ণ আমদানি ৯৫ শতাংশ কমে যায়। সেই সঙ্গে ভারত স্বর্ণ আমদানির শুল্ক হার ৬ থেকে বাড়িয়ে ১০ শতাংশ করা হয়েছে।

ফলে শুরু হয় চোরাই পথে ভারতে স্বর্ণ পাচার। বিশ্বের সর্ববৃহৎ স্বর্ণ ব্যবহারকারী দেশ ভারতে স্বর্ণ পাচার অতিমাত্রায় বেড়ে যায়। বর্তমানে এ অঞ্চলে ও ভারতের পশ্চিম বঙ্গের চোরাচালানিদের কাছে স্বর্ণ পাচার এখন অধিকতর লাভজনক ব্যবসায় পরিণত হয়েছ। মধ্যপ্রাচ্যের দুবাই থেকে স্বর্ণ চারাচালান হয়ে বাংলাদেশ আসছে। এরপর বিভিন্ন স্থান ঘুরে সাতক্ষীরার সীমান্ত পথ দিয়ে ঢুকছে ভারতে।

এছাড়া স্বর্ণ চোরাচালানের জন্য গড়ে উঠেছে শক্তিশালী সিন্ডিকেট। এ সিন্ডিকেটের সঙ্গে প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতা, ব্যবসায়ী ও সীমান্তবর্তী এলাকার স্থানীয় প্রভাবশালীরা জড়িত বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকে জানান।

স্বর্ণ চোরাচালানের নিরাপদ রুট হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে সাতক্ষীরার সীমান্তবর্তী অঞ্চলগুলো বিষয়টি স্বীকার করে সাতক্ষীরা ৩৮-বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল আরমান হোসেন বলেন, আমরাও মনে করি সাতক্ষীরার সীমান্তবর্তী অঞ্চলগুলো স্বর্ণ চোরাচালানের রুট হিসেবে ব্যবহার করছে চোরাকারবারিরা।

তবে বিজিবির পক্ষ থেকে অভিযান থেমে নেই। বিভিন্ন সময় ভারতে পাচারকালে সীমান্ত এলাকা থেকে স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে চোরাকারবারিকেও আটক হয়েছে। চোরাচালানিরা স্বর্ণ পাচারের যেমন চেষ্টা করছে তেমনি বিজিবির পক্ষ থেকেও অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান তিনি।

আকরামুল ইসলাম/এএম/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।