বীর বাহাদুরের বর্ণাঢ্য জীবন
পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি ১৯৬০ সালের ১০ জানুয়ারি পার্বত্য জেলা বান্দরবানের এক সাধারণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি মোট ছয়বার জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এর মধ্যে ১৯৯১, ১৯৯৬, ২০০১, ২০০৮, ২০১৪ ও সর্বশেষ ২০১৮ সাল মিলিয়ে ষষ্ঠ বারের মতো আওয়ামী লীগ থেকে নির্বাচিত হন তিনি। তার বাবার নাম লাল মোহন বাহাদুর। মাতা মা চ য়ই।
প্রাইমারি শিক্ষাগ্রহণ শেষে বান্দরবান সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে তার শিক্ষাজীবন শুরু হয়। ১৯৭৬ সালে ওই বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাস করে প্রথমে চট্টগ্রাম সরকারি কলেজে ভর্তি হন এবং পরে বান্দরবান সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন ।
মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকে গণ্ডি শেষে ১৯৮৩ সালে তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় হতে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ থেকে এম এ ডিগ্রি লাভ করেন। পেশায় তিনি একজন ব্যবসায়ী। ছাত্রজীবন থেকেই তিনি রাজনীতিতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। ১৯৭৯ সালে প্রথমবারের মতো বান্দরবান পার্বত্য জেলা স্থানীয় সরকার পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন।
পরে ১৯৯১ ও ৯৬ সালে পর পর দুবার জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন বীর বাহাদুর। এছাড়াও ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর ঐতিহাসিক শান্তিচুক্তির পূর্বে এ সংক্রান্ত সংলাপ কমিটির অন্যতম সদস্য এবং তৎকালীন সরকারের বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
১৯৯৭ সালে ফিফা বিশ্বকাপ ফুটবল কোয়ালিফাই রাউন্ডে অংশগ্রহণের লক্ষে মালয়েশিয়া গমন করেন এবং বাংলাদেশ ফুটবল দলের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
১৯৯৮ সালে উপমন্ত্রীর পদমর্যাদায় প্রথম বারের মতো এবং ২০০৮ সালে প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদায় দ্বিতীয় বারের মতো পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড, রাঙ্গামাটি-এর চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন। এর ফলে তিনি পার্বত্য অঞ্চলের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যোগাযোগ, কৃষি তথা ভৌত অবকাঠামোগত ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকাণ্ড পরিচালনায় সুযোগ পান।
তিনি ছাত্র জীবন থেকেই খেলাধুলা ও সংস্কৃতি চর্চায় গভীর মনোযোগী। তার স্বীকৃতি স্বরূপ ১৯৯৮ সাল থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সিনিয়র সহ-সভাপতি এবং বাংলাদেশ ফুটবল রেফারি কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। দীর্ঘদিন ধরে তিনি দক্ষতার সঙ্গে আঞ্চলিক ও জাতীয় পর্যায়ে ফুটবল টুর্নামেন্ট খেলা পরিচালনার দায়িত্ব পালন করেন।
বীর বাহাদুর উ শৈ সিং ১৯৯১ সালে মে হ্লা প্র’র সঙ্গে পরিণয় সূত্রে আবদ্ধ হন। তিনি দুই ছেলে ও এক মেয়ে সন্তানের জনক।
সৈকত দাশ/এমএএস/জেআইএম