একই সময়ে দুই দুর্ঘটনা, প্রাণ হারালেন ৩ জন

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক সিলেট
প্রকাশিত: ০৮:৪৫ পিএম, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

সিলেটের গোলাপগঞ্জ ও কানাইঘাট উপজেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় শিশুসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন আরও ৩০ জন। সোমবার বিকেলে এসব দুর্ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, বিকেল ৩টায় গোলাপগঞ্জের নুরজাহান সিএনজি পাম্পের সামনে সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও মাইক্রোবাসের সংঘর্ষে অটোরিকশার চালক সুমন আহমদ (২৬) নিহত হন। তিনি উপজেলার বাঘা ইউনিয়নের এখলাছপুর গ্রামের ছবির উদ্দিনের ছেলে। এ ঘটনায় জাবেদ আহমদ (২৫) নামের এক যাত্রী আহত হন। তিনি পৌর এলাকার রণকেলি দক্ষিণভাগ গ্রামের ফারুক আলীর ছেলে।

এদিকে, কানাইঘাট ও জকিগঞ্জ উপজেলার সীমান্ত এলাকা রামপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় জকিগঞ্জের নিলাম্বরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণির ছাত্রী তাসমিয়া বেগম (৬) ও মুহিবুর রহমান (৪৩) নিহত হয়েছেন। তাসমিয়া উপজেলার কাজলসার ইউনিয়নের নিলাম্বরপুর গ্রামের ছমির আলীর মেয়ে। মুহিবুর রহমান কাড়াবাল্লাহ গ্রামের বাসিন্দা। এ ঘটনায় অন্তত ২৯ জন আহত হয়েছেন।

গোলাপগঞ্জ মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম ফজলুল হক শিবলী বলেন, সোমবার বিকেল ৩টার দিকে সিলেট-জকিগঞ্জ সড়কের নুরজাহান সিএনজি পাম্পের সামনে সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও মাইক্রোবাসের সংঘর্ষে অটোরিকশার চালক সুমন নিহত হয়েছেন। তার মরদেহ উদ্ধার করে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া দুর্ঘটনাকবলিত গাড়ি দুটি জব্দ করা হয়েছে।

কানাইঘাট থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল আহাদ বলেন, সিলেটগামী একটি যাত্রীবাহী বাস বিকেল ৩টার দিকে উপজেলার রামপুর এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে যায়। এতে নিলাম্বরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণির ছাত্রী তাসমিয়া বেগম (৬) ও মুহিবুর রহমান (৪৩) নিহত হন। আহত হয়েছেন আরও ২৯ জন। খবর পেয়ে নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

জকিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার আব্দুল আহাদ বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় আহত জকিগঞ্জ উপজেলার শাহগলী এলাকার এরশাদ আলীর মেয়ে ফাতেমা বেগম (৫০), মৃত রবীন্দ্র মোহন দাসের ছেলে রাধা বিনোদ (৫৭), কামাল উদ্দিনের ছেলে গিয়াস উদ্দিন (৪৫), এওলাসার গ্রামের সুধারাম রায়ের ছেলে নির্মল রায় (২২), নিজগ্রামের আবদুন নুরের ছেলে কয়ছর আহমদ (৩২), কাপনা গ্রামের আবদুল বাছিতের স্ত্রী জ্যাসমিন বেগমকে (২৯) সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া আহত ১৫ জনকে জকিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এদের চিকিৎসা চলছে বলেও জানান আবাসিক মেডিকেল অফিসার আব্দুল আহাদ।

ছামির মাহমুদ/এএম/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।