চিকিৎসাধীন নার্সের মৃত্যু, রামেক হাসপাতালে ভাঙচুর

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দিলারা খাতুন নামের এক নার্সের মৃত্যু হয়েছে। রামেক হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় তার। দিলারা খাতুন রাজশাহীর বাঘা উপজেলার নওডাঙা গ্রামের সবুজ আহমেদ মিঠুনের স্ত্রী।
এ ঘটনায় রোববার সন্ধ্যায় অন্য নার্সরা আইসিইউর দরজার কাঁচ ভাঙচুর করেন। খবর পেয়ে হাসপাতাল বক্স পুলিশের সদস্যরা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
সবুজের অভিযোগ, তার স্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে শনিবার দুপুরের আগেই। কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ঘোষণা দিয়েছে রোববার সন্ধ্যায়।
তিনি জানান, এর আগে সন্তান প্রসবের জন্য বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) স্ত্রী দিলারাকে হাসপাতালে ভর্তি করেন সবুজ। এরপর অপারেশন থিয়েটারে নেয়া হলে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। দ্বিতীয় দফায় অপারেশনের পর দিলারা জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। তখন তাকে হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। সেখানে তিন দিনে তার শরীরে ১৬ ব্যাগ রক্ত দেয়া হয়।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাদের জানিয়েছিল, দিলারা জন্ডিসে আক্রান্ত। এছাড়া তার কিডনি নষ্টসহ রক্ত দূষিত হয়েছে। তিন দিনে চিকিৎসায় তারা প্রায় এক লাখ টাকা খরচ করেন। শনিবার থেকে তাদের রোগী দেখতে দেয়া হয়নি। রোববার সন্ধ্যায় দিলারার মৃত্যু হয়েছে বলে জানায় হাসপাতালের চিকিৎসকরা।
সবুজের দাবি, দিলারার মরদেহ থেকে পানি বের হচ্ছে। এ থেকে তারা ধারণা করছেন, শনিবারই দিলারার মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তা গোপন রেখেছে।
এই খবর ছড়িয়ে পড়লে সন্ধ্যায় হাসপাতালে বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন দিলারার সহকর্মীরা। তারা আইসিইউয়ের দরজার কাঁচ ভাঙচুর করেন। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ। এরপর হাসপাতাল পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল জামিলুর রহমানের সঙ্গে বৈঠকে বসেন তারা। এ সময় হাসপাতাল পরিচালক ঘটনা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিলে তারা কাজে ফেরেন।
এ বিষয়ে কথা বলতে কয়েক দফা ফোন করা হলেও আইসিইউ বিভাগের ইনচার্জ ডা. আবু হেনা মোস্তফা কামাল ফোন ধরেননি।
হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জামিলুর রহমান এখনই এ ঘটনা সম্পর্কে গণমাধ্যমে কোনো কথা বলতে চান না বলে জানিয়েছেন।
ফেরদৌস সিদ্দিকী/এমএসএইচ