জরাজীর্ণ সেতুই যেন একমাত্র ভরসা

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি গাইবান্ধা
প্রকাশিত: ১২:৩৭ পিএম, ০৫ জুলাই ২০১৯

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার নাকাইহাট ইউনিয়নে নলেয়া নদীর ওপর আমিনের ঘাটে সেতু নির্মাণের কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি। ৮০ ফুট দৈর্ঘ্য জরাজীর্ণ কাঠের সেতুর ওপর দিয়েই ঝুঁকি নিয়েই জনগণকে পথ চলাচল করতে হচ্ছে। এই কাঠের সেতুতে কোনো যানবাহন চলাচল করতে পারে না বলে মালামাল পরিবহনেও এলাকাবাসীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

এ ব্যাপারে গাইবান্ধা-৪ (গোবিন্দগঞ্জ) আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য, উপজেলা চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে একটি ব্রিজ নির্মাণের জন্য দাবি জানানো হলেও এখন পর্যন্ত তা বাস্তবায়ন হয়নি।

পুরানদহ গ্রামের মেঘারচর পাড়ার গ্রামের বাসিন্দা স্কুল ছাত্র মাহমুদ মিয়া জানান, জরাজীর্ণ কাঠের সেতু দিয়ে পারাপারে বেশি সমস্যায় পড়তে হয় স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থী, বয়স্ক মানুষ ও শিশুদের। এই প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে নিয়মিত গোবিন্দগঞ্জের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যাতায়াত করে থাকে এ অঞ্চলের শিক্ষার্থীরা।

স্থানীয় যুবক সবুজ সরকার জানান, গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা সদরের ব্যবসা-বাণিজ্য, হাটবাজার, চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে যাতায়াত, মামলা মোকদ্দমাসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় কাজে এই সেতুর ওপর দিয়েই নলেয়া নদীর এ পারের মানুষদের যেতে হয় উপজেলা সদরে। রিকশা-ভ্যানসহ হালকা যানবাহন তো দূরের কথা পায়ে হেঁটে ঝুঁকিপূর্ণভাবে সেতুটি পার হতে হয় বলে জানান এলাকার লোকজন।

এ বিষয়ে নাকাইহাট ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল কাদের জানান, এলাকার মানুষের চলাচলের দুর্ভোগ দীর্ঘদিনের। প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ না পাওয়ায় নলেয়া নদীর ওপর ব্রিজ-সেতু নির্মাণ করা সম্ভব হয়নি। তবে এলাকাবাসীর দাবির মুখে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা পরিষদের উদ্যোগে ২০১৭ সালে আমিনের ঘাটে কাঠের এই সেতুটি নির্মিত হয়।

আমিনের ঘাটে নলেয়া নদীর ওপর কাঠের সেতু নির্মাণের জন্য প্রাক্কলন তৈরি করে অনুমোদনের জন্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে এমপি। স্বল্প সময়ের মধ্যে সেতুটি নির্মাণের কাজ শুরু হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

জাহিদ খন্দকার/এমআরএম/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।