মেহেরপুরে বেড়েছে শীতের তীব্রতা, তাপমাত্রা ৮.৫ ডিগ্রি

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি মেহেরপুর
প্রকাশিত: ১১:২০ এএম, ২২ জানুয়ারি ২০২০

মেহেরপুরে বেড়েছে শীতের তীব্রতা। বুধবার (২২ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় মেহেরপুর-চুয়াডাঙ্গা অঞ্চলে সর্বনিম্ন ৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিস। এ অঞ্চলে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

এদিকে শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় নিম্ন আয়ের মানুষ ও দিনমজুরদের কষ্টের শেষ নেই। ভোরে তীব্র শীতে কাজে বের হতে পারছেন না অনেকেই। এতে তাদের আয়-রোজগার কমে গেছে। খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন তারা।

মেহেরপুর জেলার ওপর দিয়ে এখন মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। মধ্যরাতে ঘন কুয়াশা পড়ছে, সঙ্গে বইছে উত্তরের হিমেল হাওয়া। এতে শীতের তীব্রতা বাড়ছে। শীতের প্রকোপ থেকে বাঁচতে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ ছুটছেন পুরাতন শীতের পোশাকের দোকানে।

Meherpur-cold

মেহেরপুর জেলা শহর, গাংনী ও মুজিবনগর উপজেলা শহর ছাড়াও জেলার বড় হাট-বাজারগুলোতে এখন পুরাতন শীতের পোশাকের বেচাকেনা চলছে। হাটগুলোতে নির্ধারিত দিন ও শহরগুলোতে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত এসব পোশাকের পসরা নিয়ে বসছেন ক্রেতারা। সোয়েটার, জ্যাকেট, মাফলার ও শিশুদের হরেক রকমের শীতের পোশাক নিয়ে ক্রেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন বিক্রেতারা।

মেহেরপুর হোটেল বাজার এলাকার পুরাতন শীতের পোশাক বিক্রেতা জাহিদুল ইসলাম বলেন, চলতি বছরে ব্যবসা খুব ভালো হচ্ছে। দুই দিন ধরে শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় ক্রেতাদের আগমন বেশি।

Meherpur-cold

পোশাক ক্রেতা রাযহান বলেন, এ পোশাক এখন শুধু গরিবের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। শীত নিবারণের প্রয়োজনে সব ধরনের মানুষই কেনাকাটা করছেন। তবে গরিবদের শীত নিবারণে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে এসব পুরাতন পোশাকের দোকানগুলো।

মেহেরপুরের জেলা প্রশাসক আতাউল গনি বলেন, জেলার খেটে খাওয়া মানুষ, দিনমজুর, ছিন্নমূল ও দরিদ্রদের মধ্যে ১৩ হাজার ৫০০ কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়াও শিশুদের মাঝে এক হাজার ৩০০ শীতবস্ত্র দেয়া হয়েছে। তিনি এই শীতে ছিন্নমূল ও দরিদ্রদের সহযোগিতায় সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।

আসিফ ইকবাল/আরএআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।