করোনা মোকাবিলায় কঠোর বার্তা দিলেন সাতক্ষীরার ডিসি
দেশের চরম সংকটকালীন মুহূর্তে ফেসবুকে ভিডিও বার্তার মাধ্যমে সাতক্ষীরা জেলাবাসীকে সতর্ক করেছেন জেলা প্রশাসক (ডিসি) এস এম মোস্তফা কামাল। মঙ্গলবার (২৪ মার্চ) সন্ধ্যা ৬টার দিকে ফেসবুকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে করোনা মোকাবিলায় সাতক্ষীরা জেলার সার্বিক চিত্র তুলে ধরেন জেলা প্রশাসক।
জেলাবাসীকে ঘর থেকে বাইরে না আসার আহ্বান জানিয়ে জেলা প্রশাসক এস এম মোস্তফা কামাল বলেন, করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য সব ধরণের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। আপনারা বাসায় থাকলেই নিরাপদ থাকবেন। বাইরে বের হলে করোনাভাইরাস সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সাতক্ষীরায় এখন পর্যন্ত কেউ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এমন কোনো তথ্য নেই।
তিনি বলেন, বর্তমান পর্যন্ত সাড়ে আট হাজারের ওপরে মানুষ বিভিন্ন দেশ থেকে বাড়িতে ফিরেছেন। তারা বাড়িতে অবস্থান করছেন। কেউ কেউ বাইরে ঘোরাফেরা করছেন। এখন থেকে যে কেউ বাইরে বের হলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের হওয়া যাবে না। বের হলেই কঠোর ব্যবস্থা।
জেলা প্রশাসক আরও বলেন, জেলার মানুষকে নিরাপদে রাখতে সর্বোচ্চ কঠোরতা অবলম্বন করা হবে। বাইরে বের হলে সেনাবাহিনী, পুলিশ, ম্যাজিস্ট্রেট ব্যবস্থা নেবে। লোক সমাগম হয় এমন জায়গা খোলা রাখা যাবে না। এমন পাওয়া গেলেই ব্যবস্থা। কাউকেই ছাড় দেয়া হবে না। জেলার প্রত্যেকটি মোড়ে মোড়ে একটু পর পর প্রশাসনিক টহল থাকবে।
জেলার সকল ইউএনও, থানার ওসিদের নির্দেশনা দিয়ে জেলা প্রশাসক এস এম মোস্তফা কামাল বলেন, জরুরী প্রয়োজন ছাড়া বাইরে ঘুরছে এমন কাউকে পাওয়া গেলে সঙ্গে সঙ্গেই আইনগত ব্যবস্থা নেবেন। কোনো প্রকার আপত্তি আমি শুনতে চাই না। মানুষকে বাঁচাতে এর বাইরে কোনো বিকল্প নেই।
জনপ্রতিনিধিদের উদ্দেশে জেলা প্রশাসক বলেন, ব্লিসিন পাউডার পানিতে মিশ্রন ঘটিয়ে সকল স্থানে স্প্রে করুন। জীবানুমুক্ত করুন।
চিকিৎসক, নার্স ও স্বেচ্ছাসেবীদের ধন্যবাদ জানিয়ে জেলা প্রশাসক বলেন, জাতির এ ক্রান্তিলগ্নে যারা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চিকিৎসাসেবা প্রদান করছেন সকলকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। ডাক্তার, নার্সদের পিপিই সরবরাহ করা হয়েছে। প্রয়োজন হলে আরও করা হবে। আমরা একটি যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়েছি। এ যুদ্ধে আমাদের জয়ী হতে হবে।
অসাধু ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, যারা বিভিন্ন নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বেশি নিচ্ছেন তাদের বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আকরামুল ইসলাম/আরএআর/পিআর