কুষ্টিয়ায় একজনের মৃত্যু, দুই চিকিৎসকসহ ৯ জন কোয়ারেন্টাইনে
কুষ্টিয়া শহরতলীর চৌড়হাস এলাকায় সর্দি, কাশি ও শ্বাসকষ্টে ৪০ বছর বয়সী এক ইজিবাইক চালকের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার সকালে পরিবারের লোকজন তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের দুই চিকিৎসকসহ ৭ জন স্টাফকে কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে। একইসঙ্গে মৃত ব্যাক্তির বাড়িসহ আশপাশের ৮-১০টি বাড়ি লকডাউন ঘোষণা করে ওই এলাকায় জনগণের চলাচল সীমিত করা হয়েছে।
কুষ্টিয়ার সিভিল সার্জন এইচএম আনোয়ারুল ইসলাম জানান, ওই ব্যক্তি তিন দিন ধরে সর্দি, কাশি ও শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন। হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই তার মৃত্যু হয়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে তিনি করানোভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে থাকতে পারেন। এ জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে। আইইডিসিআর’র নিয়ম মেনে লাশ দাফন করা হবে।
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) তাপস কুমার সরকার জানান, সোমবার সকাল ৭টার দিকে ওই ব্যক্তিকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসেন তার পরিবারের সদস্যরা। এ সময় কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা দেখতে পান হাসপাতালে পৌঁছার আগেই তিনি মারা গেছেন।
পরিবারের সদস্যরা হাসপাতালের চিকিৎসকদের জানান, ওই ব্যক্তি (৪০) পেশায় একজন ইজিবাইকচালক ছিলেন। শহরের চৌড়হাস এলাকায় পরিবার নিয়ে ভাড়া বাসায় থাকতেন। গত শুক্রবার তার সর্দি দেখা দেয়। এরপর থেকে প্রচণ্ড কাশি ও শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। সোমবার সকালে শ্বাসকষ্টের সমস্যা বেড়ে যায়। একপর্যায়ে তিনি নিস্তেজ হয়ে পড়েন। পরে তাকে তারা হাসপাতালে নিয়ে আসেন।
আরএমও তাপস কুমার সরকার বলেন, ইজিবাইক চালকের পরিবারের কোনো সদস্য প্রবাসী নন বলে তারা জানতে পেরেছেন। কিন্তু ইজিবাইক চালানোর সময় করোনাভাইরাসের বাহক কারও সংস্পর্শে যেতে পারেন। এজন্য মৃত ওই ব্যক্তির শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। বাড়তি সতর্কতা হিসেবে হাসপাতালের জরুরি বিভাগের দুইজন চিকিৎসকসহ ৭ জন স্টাফকে কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে ঘটনার পর পরই কুষ্টিয়া সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জোবায়ের হোসেন চৌধুরীসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা শহরতলীর চৌড়হাস এলাকার মৃত ব্যক্তির বাড়িসহ আশপাশের ৮-১০টি বাড়ি লকডাউন ঘোষণা করেন। সেইসঙ্গে ওই এলাকায় জনগণের চলাচলও সীমিত ঘোষণা করেন।
আল মামুন সাগর/এফএ/এমকেএইচ