কোয়ারেন্টাইন শেষে ৩০০ পরিবারকে খাবার দিলেন প্রবাসী
বাহরাইন থেকে ১৮ দিন আগে দেশে ফেরেন প্রবাসী আব্দুল জাকির সরকার। তার বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার বুধল ইউনিয়নের বেতবাড়িয়া গ্রামে। বাড়িতে এসেই সরকারি নির্দেশনা মেনে ১৪ দিন ছিলেন হোম কোয়ারেন্টাইন। কোয়ারেন্টাইন শেষ হওয়ার পর বুধবার (১ এপ্রিল) বিকেলে নিজ গ্রামের দরিদ্র পরিবারগুলোর মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেছেন এই প্রবাসী।
জাকিরের কাছ থেকে খাদ্য সামগ্রী পেয়ে চোখে-মুখে আনন্দের ছাপ ছিল বেতবাড়িয়া গ্রামের বৃদ্ধা শিন্দি বেগমের। এক ছেলে ও ছয় মেয়ে নিয়ে তার সংসার। তার বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার বেতবাড়িয়া গ্রামে। স্বামী লাল মিয়া মারা যাওয়ার পর রিকশা চালিয়ে ছেলেই সংসার চালান। অভাবের সংসারে ছেলে যেদিন উপার্জন করতে পারেন সেদিন কপালে খাবার জোটে। কিন্তু ছেলের অসুস্থতা ও করোনাভাইরাসের প্রভাবে রিকশা চালাতে না পারায় কদিন ধরে খেয়ে না খেয়ে দিন কাটছে শিন্দি বেগমের। একমাত্র উপার্জনক্ষম ছেলের অসুস্থতায় দিশাহীন পড়েছেন তিনি। বিপদের এই সময়ে এখন ভরসা মানষের সাহায্য। লাঠিতে ভর করে এসেছিলেন প্রবাসী জাকিরের বাড়িতে খাদ্য সামগ্রী নিতে। জাকিরের দেয়া খাদ্য সামগ্রী পেয়ে দারুণ খুশি শিন্দি বেগম। অন্তত এক সপ্তাহ তিনি এই খাদ্য সামগ্রী দিয়ে চলতে পারবেন।
শিন্দি বেগমের মতো এমন তিনশ দরিদ্র পরিবারেকে খাদ্য সমাগ্রী দেয়া হয়েছে। নিজ বাড়ির উঠানে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে প্রবাসী জাকির ব্যক্তি উদ্যোগে খাদ্য সামগ্রীগুলো বিতরণ করেন। প্রত্যেককে তিন কেজি চাল, দুই কেজি আলু, এক কেজি ডাল, এক কেজি তেল, দুই কেজি পেঁয়াজ ও একটি করে সাবান দেয়া হয়।
খাদ্য সামগ্রী বিতরণ উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট লোকমান হোসেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি খ. আ. ম. রশিদুল ইসলাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া টেলিভিশন জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মনজুরুল আলম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আজিজুল সঞ্চয়/আরএআর/এমএস