জ্বর-সর্দি-কাশিতে আক্রান্তদের ফ্রি চিকিৎসা দিচ্ছে সেনাবাহিনী
নাটোরে জ্বর ও সর্দি-কাশিসহ নানা রোগের চিকিৎসাসেবা শুরু করেছে সেনাবাহিনী। একই সঙ্গে কোনো ব্যক্তির শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রয়েছে কি-না প্রাথমিকভাবে সেটিও যাচাই-বাছাই করছে সেনাবাহিনীর প্রশিক্ষিত মেডিকেল টিম।
শনিবার (০৪ এপ্রিল) সকাল থেকে সেনাবাহিনীর এ চিকিৎসা কার্যক্রম শুরু হয়। প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে এ কার্যক্রম হাতে নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন দায়িত্বপ্রাপ্ত কমান্ডিং অফিসার লে. কর্নেল আরিফ।
স্থানীয় সূত্র জানায়, নানা রোগের উপসর্গ নিয়ে শনিবার সকাল থেকে বাসুদেবপুর নাটোর কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে স্থাপিত সেনাবাহিনীর অস্থায়ী মেডিকেল ক্যাম্পে আসেন নানা বয়সী মানুষ। সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করে মেডিকেল টিমের সদস্যরা থার্মাল স্ক্যানারের মাধ্যমে প্রথমে তাপমাত্রা নির্ণয় করছেন। এরপর দিচ্ছেন চিকিৎসা। সেনাবাহিনীর চিকিৎসাসেবা এবং বিনামূল্যে ওষুধ পেয়ে খুশি সাধারণ মানুষ।
বাসুদেবপুর গ্রামের আমনুরা বেওয়া বলেন, খবর পাওয়ার পর সেনাবাহিনীর মেডিকেল ক্যাম্পে আসি। আমার জ্বর ও সর্দি-কাশির কথা তাদের বললে ভালোভাবে দেখে চিকিৎসা দিয়েছে। সেই সঙ্গে বিনামূল্যে ওষুধও পেয়েছি তাদের কাছ থেকে।
সেনাবাহিনী পরিচালিত ২১ ফিল্ড অ্যাম্বুলেন্সের একটি প্রতিনিধি দল এ চিকিৎসাসেবা কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। এ সময় রোগীদের চিকিৎসাসেবা দেন বগুড়া ক্যান্টনমেন্টের চিকিৎসাসেবা প্রধান লে. কর্নেল ডা. তাহমিনা আক্তার ও সহকারী চিকিৎসক ক্যাপ্টেন মাহমুদ।
প্রাথমিকভাবে জ্বর ও সর্দি-কাশিসহ নানা রোগীর সংখ্যা বেশি বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক দলের প্রধান লে. কর্নেল ডা. তাহমিনা আক্তার।
সকালে সেনাবাহিনীর অস্থায়ী মেডিকেল ক্যাম্প পরিদর্শন করেন নাটোরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. শাহরিয়াজ। এ সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাকিব আল রাব্বি উপস্থিত ছিলেন।
১৭ প্যারা পদাতিক ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক ও নাটোর জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত কমান্ডিং অফিসার লে. কর্নেল আরিফ বলেন, করোনা দুর্যোগের সময়ে অনেক মানুষ চিকিৎসাসেবা বঞ্চিত হচ্ছেন। সাধারণ মানুষের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করার জন্য প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলোতে এ ধরনের মেডিকেল ক্যাম্প করার পরিকল্পনা নিয়েছে সেনাবাহিনী। রোগীদের করোনা উপসর্গ রয়েছে কি-না তাও নিশ্চিত করছি আমরা।
নাটোরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) শাহরিয়াজ বলেন, করোনা দুর্যোগে সেনাবাহিনীর এ ধরনের চিকিৎসাসেবা প্রশংসনীয়। তারা সবগুলো উপজেলায় এ কার্যক্রম চালিয়ে যাবে বলে আশা করছি।
রেজাউল করিম রেজা/এএম/জেআইএম