কুমিল্লায় জেলা পরিষদ সদস্যের বাড়ি লকডাউন
কুমিল্লার দেবিদ্বারে জেলা পরিষদ সদস্য মো. শাহজাহান সরকারের বাড়ি লকডাউন ঘোষণা করেছে উপজেলা প্রশাসন। রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে উপজেলার সুলতানপুর ইউনিয়নের তুলাগাঁও গ্রামে তার বাড়ি লকডাউন ঘোষণা করেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোসা. সাহিদা আক্তার।
এ সময় দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আহমেদ কবীর উপস্থিত ছিলেন। তবে ওই জেলা পরিষদ সদস্য সপরিবারে কুমিল্লা জেলা সদরের বাসায় অবস্থান করছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত শুক্রবার (৩ এপ্রিল) ঢাকার শনিরআখড়া থেকে কুমিল্লা জেলা পরিষদ সদস্য মো. শাহজাহান সরকারের ভাতিজির দুই মেয়ে দেবিদ্বার উপজেলার তুলাগাঁও গ্রামে নানার বাড়িতে বেড়াতে আসে। এর আগে ওই দুই মেয়ের বাবা ও মাকে করোনা সংক্রমণ সন্দেহে ঢাকার একটি হাসপাতালে পাঠালে সেখানে তাদের বাবার পজিটিভ এবং মায়ের নেগেটিভ রিপোর্ট আসে।
এ ব্যাপারে জেলা পরিষদ সদস্য মো. শাহজাহান সরকার বলেন, আমার ভাতিজির দুই মেয়ে ঢাকায় থেকে পড়াশোনা করতো। ওদের বাবা একটি প্রাইভেট কোম্পনিতে চাকরি করে। চাকরির সুবাধে ওদের বাবা কয়েকদিন আগে ভারতীয় এক নাগরিকের সঙ্গে মিটিং করেন। ওই মিটিংয়ের দুইদিন পরই তার শরীরে জ্বর, ঠান্ডা, ও সর্দি দেখা দেয়। পরে করোনা সংক্রমণ সন্দেহে ঢাকার একটি হাসপাতালে পাঠানো হলে সেখানে তার করোনার পজিটিভ রিপোর্ট পাওয়া যায়। বর্তমানে তিনি ঢাকার একটি হাসপাতালে আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ কারণে আজ বাড়িটি লকডাউন করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আহমেদ কবীর জানান, ওই দুই স্কুলছাত্রীর বাবার করোনা সংক্রমণ রিপোর্ট পজিটিভ হওয়ায় তাদেরকে ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোসা. সাহিদা আক্তার জানান, ঢাকা থেকে গ্রামে নানার বাড়িতে বেড়াতে আসে ওই দুই ছাত্রী। তবে তাদের শরীরে করোনা সংক্রমণের কোনো উপসর্গ পাওয়া যায়নি। তাদের বাবার করোনা সংক্রমণ পজিটিভ হওয়ায় তারা নানার বাড়ি দেবিদ্বারে চলে আসে। তাই তাদের নানার বাড়ি লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, দেবিদ্বার উপজেলায় করোনা সংক্রমণ সন্দেহে এই প্রথম কোনো বাড়ি লকডাউন ঘোষণা করল প্রশাসন। এ উপজেলা থেকে এখন পর্যন্ত কোনো করোনা রোগী পাওয়া যায়নি।
কামাল উদ্দিন/আরএআর/এমকেএইচ